Home Page

Selltoearn.com Latest Offer
Offer Id: 922
Company Name: Habib IT & English Solution Center
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: GAZIPUR
Offer Title: Click for details

Offer Details: ইংরেজি ও কম্পিউটার শেখানো হয় !!!
ঠিকানা: সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।
মোবাইল নং: 01823-660266, 01920-325316
বিস্তারিত আরও জানতে ভিজিট করুন: Web & FB/Selltoearn.com
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 921
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: habiburpali@gmail.com
Business Type: Career
Location: GAZIPUR
Offer Title: Click for details

Offer Details: বিক্রয়কর্মী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবশ্যক (পুরুষ ও মহিলা)
কর্মস্থল: সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।
পদের সংখ্যা: ০২ ।
যোগ্যতা: নূন্যতম এসএসসি পাশ।
অন্যান্য: ইন্টারনেট ও কম্পিউটার চালানো জানতে হবে ।
বেতন ও অন্যান্য সুবিধা: আলোচনা সাপেক্ষে।
ই-মেইলের মাধ্যমেও পাঠানো যাবে নিচের এই ঠিকানায়:
 selltoearn.com@gmail.com
 info@selltoearn.com
আবেদনপত্র, সিভি (অবশ্যই মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে), সম্প্রতি তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিণ ছবি, নিজের এবং পিতামাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা
জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি সরাসরি জমা দেয়া যাবে নিচের নাম্বারে কল করে (ঠিকানা: সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।):
 01823-660266
 01920-325316
সেলটুআর্ন ডট কম।
সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 920
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

হতাশা বা মানসিক অবসাদ কি ? বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতে হতাশা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবেন ?

হতাশা বা মানসিক অবসাদ কি ? বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতে হতাশা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবেন ?

হতাশা শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হল হত+আশা = হতাশা। অর্থাৎ প্রত্যাশিত কোন কিছু হতে যে বিপরীত বা হত আশার পুন:জন্ম হয় তাই হতাশা। মানুষ অনেক ক্ষেত্র হতে হতাশাগ্রস্ত হয়। ব্যাপক প্রাপ্তির আশায় বুক বেধে মানুষ যখন নিরাশ হয় তখন সে বরই অসহায় হয়ে পরে। আর হতাশার পরিমান যখন সর্বোচ্চ অবস্থায় অবস্থিত হয় তখন মানুষ এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছা ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে আর তখনই সে ঘটায় মারাত্মক দুর্ঘটনা এমনকি হতে পারে আত্মহত্যা যা আমাদের কারোও ক্ষেত্রে কাম্য নয়। মনিষিগণ বলে থাকেন “আপনি কখনই হতাশ হবেন না; মনে রাখবেন আজ হয়তো আকাশে অনেক মেঘ, কাল কোন সূর্য্যের অস্তিত্ব দেখা যাবে না কিন্তু অবশ্যই এমনও একটি দিন আসবে যে দিন আকাশে কোন মেঘ থাকবে না এবং সূর্য্য দেখা যাবে খুব ভালভাবে”

হতাশা নামক এই ব্যাধির সবচেয়ে প্রধান প্রতিষেধক হল নিজেকে সব সময় কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত রাখা।

প্রতিটি মানুষের জীবনে উথ্যান পতন রয়েছে। যে জীবনে ঝুঁকি, প্রত্যাশা, অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা, পরাজয় নেই সে জীবনে সাফল্যের মধ্যে প্রকৃত সুখ নেই।

হতাশা বা মানসিক অবসাদ বা depression এই প্রত্যেকটি শব্দ একটি শব্দের সমার্থক শব্দ যা কিনা যেকারো জীবনে বিনা অনুমতিতে এসে তার জীবন এর রং পাল্টে দিয়ে যায়। করোনা মহামারীর মত হতাশাও এক ধরণের মহামারীর মত হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশে। পত্রিকার পাতা খুললে এমন কোন দিন পাওয়া দুষ্কর যেদিন হতাশায় পরে মানুষ আত্নহত্যা করে নি!!

এই হতাশায় ভুগতে দেখা যায় আজকাল স্কুল ও কলেজের ছেলেমেয়েদের, কিন্তু তাদের কিসের হতাশা যাদের জীবনের শুরুই এখনও হয়নি?

কি এই হতাশা? (What is depression?) কি কারণে মানুষ হতাশায় পরে? কি করে বোঝতে পারবো কেউ হতাশায় আছে? কি এমন হয় যে মানুষ হতাশায় ডুবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জীবন ত্যাগ করতেও কুন্ঠিত বোধ করে না? যদিও সে জানে যে তার আর এই পৃথিবীতে ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই। এর থেকে মুক্তির কি উপায়?হতাশাকে যদি বইয়ের ভাষায় সংজ্ঞায়িত করি তাহলে দাঁড়ায়, কোন কিছুর ইচ্ছেপূরণ না হলে বা কাজের আশানুরূপ ফল না পেলে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয় তাই হলো হতাশা। মানুষের তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা-ই হতাশার লক্ষণ।

হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি যার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি কখনও মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে যার ফলাফল সরূপ সে তার জীবন শেষ করে দেয় বা অনেক সময় অনেক অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে থাকে। বর্তমান সময়ে মানুষ নানা কারণে হতাশায় পড়ে থাকে। আমরা সকলেই এক বীভৎস সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যা থেকে চাইলে রাতারাতি উৎরানো সম্ভব না৷ এই কারণে অনেকেরই চাকরী চলে গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।

নিম্নে হতাশার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো;
১.বিশাল সংখ্যক বেকার মানুষদের নতুন কর্মসংস্থান না পাওয়ার হতাশা,
২.নতুন চাকরী প্রার্থীদের চাকরী পরীক্ষা না দিতে পারার হতাশা,
৩.ছেলমেয়েদের মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ার হতাশা,
৪.টিকটক ভিডিও গেমস না খেলতে দেওয়ার হতাশা,
৫.উচ্চাকাঙ্ক্ষা,
৬.প্রেমে ব্যর্থ হওয়া,
৭.নুতন চাকরি শুরু করা,
৮.নতুন কোনো স্কুলে যাওয়া, বা শিক্ষা জীবন শেষ করা,
৯.বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি নানান কারনে মানুষ হতাশ হয়ে থাকে।

এই হতাশা এক ধরণের সামাজিক অবক্ষয়। যার ফলে ব্যক্তি একা ক্ষতিগ্রস্থ হোন না, সাথে তার পরিবারও সামাজিক লোকলজ্জার মুখে পড়েন। তবে সকল সময় শুধু ব্যক্তি একা দোষী থাকেন না, কখনো পরিবারও সমান ভাবে এই হতাশার পিছনে দায়ী থাকেন। কখনও পরিবারের অতিউচ্চ চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েও মানুষ এই হতাশা নামক সমস্যার মুখে পড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবো কেউ হতাশাগ্রস্থ?

একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষের মাঝে নিম্ন লিখিত সিমটমগুলো দেখা যায়;
১। যারা হতাশায় থাকে তাদের মেজাজ সাধারণত খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
২। একজনের রাগ অন্য জনের উপর মেটায় কারণ তারা অন্যমনস্ক থাকে সাধারণত।
৩। মন খারাপ করে বসে থাকা।
৪। সবসময় উদাসীন থাকা।
৫। অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাবে।
৬। সবসময় মন খারাপ থাকা।
৭। কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
৮। নিজেকে মূল্যহীন ভাবা
৯। কথা বলতে তাড়াহুড়ো করা ইত্যাদি

এখন প্রশ্ন হলো হতাশায় পড়লে কি করবো? যাতে জীবন নাশের মত ঘটনা থেকে বেঁচে থাকা যায়? বা অন্য মানুষকেই বা আমরা কি উপদেশ দিতে পারি? হতাশা কাটানোর নানান ধরণের উপায় আছে।

নিম্নে ১১ ধরণের উপায়ের কথা উল্লেখ করা হলো যা কিনা আপনার হতাশা কাটানোর ঔষধ হতে পারে;

১.বই পড়াঃ

বই পড়া একটা ভালও মাধ্যম হতে পারে হতাশা কাটানোর। আপনি বিভিন্ন ধরণের বই যেমনঃ উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনি কিংবা সাইন্স ফিকশন ইত্যাদি বই পড়তে পারেন। আবার সফলতার কিংবা ব্যর্থতার বইও পড়তে পারেন। এতে করে আপনি যখন বই পড়বেন নতুন কিছু জানার সাথে সাথে আপনি চরিত্রগুলো ভিতরে ঢুকে যাবেন যা কিনা আপনার সাময়িকভাবে হতাশা কাটানোর সহায়ক হতে পারে।

২.গান শুনাঃ

গান শোনাও একটি চমৎকার মাধ্যম হতে পারে হতাশা কাটানোর। বিভিন্ন ধরণের গান যেমনঃ কষ্টের গান, সুখের গান অথবা দেশাত্নবোধক গান শুনতে পারেন। যখন আপনার মুড অফ থাকে তখন গান শুনলে আপনার মুড সুইং হয় আপনি আলাদা একটা জগৎ এ থাকেন যা কিনা আপনাকে হতাশা থেকে দূরে রাখে। আপনার খেয়াল অন্যদিকে থাকে।

৩.নতুন পরিবেশে ঘুরে আসাঃ

যদি আপনার অনেক ওয়ার্কলোড থাকে বা কোন কারণে মন খারাপ অথবা আপনার কোন কাজেই মন বসছে না তাহলে সাময়িকভাবে সময় নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ফ্রেশ এয়ার আপনার মন ও শরীরের জন্যে খুবিই উপকারী, সাথে সাথে নতুন জায়গা নতুন কিছু শিখার মাধ্যম। আপনার কাছের কেউ যার সাথে কমফোরটেবল কাছে কিংবা দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসলে তা আপনাকে হতাশা থেকে মুক্তি দিবে।

৪. মেডিটেশন করাঃ

মেডিটেশন মানে হচ্ছে আপনি বর্তমানে যা আছে ভুলে কোন একটা স্পেসিফিক বিষয়ে কনসেনট্রেট করা অর্থাৎ আপনি আলাদা কিছুতে বেশি মনোযোগী হয়ে যাবেন যার ফলে আপনি হতাশা থেকে দূরে থাকবেন। মেডিটেশন শুধুমাত্র আপনাকে মনোযোগী করে তোলবে না। প্রতিদিন মেডিটেশন করা ব্যক্তি কাজের প্রতি অধ্যাবসায়ি, ধৈর্য্যশীল ও সংযোমি হয়। এটা অনেকটা একের ভেতর দশ টাইপের। প্রতিদিন মেডিটেশন আপনাকে অনেক কিছু দিবে।

৫.বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়াঃ

বন্ধু একটা বেস্ট মাধ্যম হতে পারে আপনার হতাশা কাটানোর জন্যে। ভাল বন্ধু অনেকটা ঘরের পিলারের মত। তারা সময়ে ও অসময়ে আপনার পাশে সব সময় থাকবে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে, তাদের সাথে খোশগল্পে মেতে থাকলে, হাসাহাসি করলে আপনার মাইন্ড অনেক রিলাক্স হয় যা আপনাকে হতাশা থেকে দূরে রাখে।

৬. ইসলামিক গজল শোনা ও বই পড়াঃ

ইসলামিক অনেক গজল আছে যেগুলো শুনলে মন অনেক হালকা হয়ে যায়। আবার অনেক বই আছে হতাশা থাকে রিকোভার করার যা পড়লে আপনার হতাশা দূর হয়ে যাবে। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে একটা দোয়া আছে আপনি চাইলে তা পড়তে পারেন। দোয়াটি নিম্নরূপ; উচ্চারণঃ ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ। অর্থঃ ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’[ তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত ]

৭. ডাক্রারের কাছে যাওয়া বা কাছের কারও কাছে সমস্যার কথা খুলে বলাঃ

অনেক সময় কথা চেপে রাখা থেকে প্রেশার বেড়ে যায়, এমনকি প্রচন্ড রকমের হতাশায় মানুষ সাময়িক স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে ফলে উল্টা পাল্টা কথা বলে। তাই চরম পর্যায়ে যাওয়ার আগে ভাল কোন সাইকায়েট্রিস্ট দেখাতে পারেন, যার কাছে আপনি সব কথা খুলে বলতে পারবেন। তারপর ওই ডাক্তার আপনাকে একটা ভাল সমাধানের পথ দেখাবে। অথবা আপনার কাছের কেউ যার কাছে আপনি সব কথা শেয়ার করেন, যে আপনাকে একটা ভাল সমাধানের পথ দেখাবে তার কাছে সব সমস্যার কথা খুলে বলুন। তবে এমন কাউকে না বলাই উত্তম যে কিনা সমাধান দেওয়ার বদলে মজা নিবে।

৮. নিয়মিত খেলাধুলা করাঃ

নিয়মিত খেলাধুলা শরীর ও মন উভয়কেই ভাল রাখে। আপনি হতাশায় থাকলে, নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারেন যাকিনা আপনাকে নতুন কিছুতে নিজেকে মত্ত রাখার মাধ্যমে হতাশা থাকে দূরে রাখবে। খেলাধুলা এক ধরণের মেডিসিন হিসেবে কাজ করে বিষন্নতার জন্যে।

৯. সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখাঃ

কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আপনি যখন অলস থাকবেন তখন নানান রকম হতাশার চিন্তা মাতায় ঘুরে। তাই আপনি নানান ধরণের কাজের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। ঘরের কাজ করতে পারেন, বিভিন্ন ধরণের শিক্ষনীয় মুভি দেখতে পারেন যার ফলে আপনি ব্যস্ত থাকবেন আর হতাশা আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে।

১০. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ

অনেক সময় ব্যস্ততায় পড়ে, মানসিক অবসাদ থেকে কিংবা অতিরিক্ত টেনশন থেকে ঠিক মত ঘুম আসে না, ফলে সারাক্ষণ মেজাজ খিটখিট হয়ে থাকে। আর এই ঘুম না আসা থেকে মানসিক এক ধরণের অবসাদের তৈরী হয় যাকিনা হতাশার কারণ। ডাক্তারের হিসেব অনুযায়ী একজন মানুষের দৈনিক ৮-৯ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও আপনার হতাশা তৈরী হতে পারে।

১১. গাছ লাগাতে পারেনঃ

পরিবেশ মানুষের মন পরিবর্তনের একটা বড় মাধ্যম। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আপনার বাড়ির পাশে কিংবা বাড়ির ছাদে গাছ লাগাতে পারেন। যা কিনা আপনাকে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি আপনাকে সতেজ রাখবে আর যদি শাকসবজি লাগান তাহলে তা আপনার খাদ্যেরও একটা মাধ্যম হয়।

পরিশেষে…

ইংরেজীতে একটা কথা আছে "দ্যা শো মাস্ট গো অন" অর্থাৎ আপনার যাই হোক না কেন জীবনের এই যুদ্ধে আপনাকে লড়ে যেতে হবে। আপনি হেরে গেলেন তো অন্য কারও জিতার সম্ভাবনা বেড়ে গেল, অন্য কেউ আপনার জায়গা দখল করে নিল। হতাশায় পড়ে জীবন নাশ বা থেমে থাকা কোনও উপায় হতে পারে না। যাই হোক না কেন আপনাকে হতাশ হওয়া চলবে না। মনে রাখবেন আলেকজ্যান্ডার ছয়বার হারার পর সপ্তম বারে জয়ী হয়েছিল, মুকেশ আম্বানি রাতারাতি বড়লোক হয় নি, সুপারস্টার হওয়ার জন্যে শাহরুখকে কত রাত রাস্তার পাশে কাটাতে হয়েছে!!, এভারেস্ট জয়ের জন্যে এডমন্ড হিলারি কে অনেক ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছিল! কিন্তু তারা কি হতাশ হয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছে? নাকি থেমে গিয়েছিল? যদি থেমে যেত, তাহলে কি তারা আজকে আমার আপনার আইডল হতে পারতো? হতাশা সবার জীবনেই আসে কিন্তু সবাই ভেঙ্গে পড়ে না তখন আপনাকে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে উঠে দাড়াতে হবে। সব কিছুই আপনার কাছে এক নতুন সম্ভাবনা হয়ে আসবে আপনাকে শুধু সঠিক পথ সঠিক সময়ে খুঁজে নিতে হবে। তাহলেই আপনি সফল হবেন, ইন শা আল্লাহ।


Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 919
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

DRESS SEO কি ? মানুষ কিভাবে আপনার লেখা/পোস্টটি খুব সহজে দেখবে??

DRESS SEO কি ? মানুষ কিভাবে আপনার লেখা/পোস্টটি খুব সহজে দেখবে??

DRESS SEO এর সম্পূর্ণ মানে হল-
D=Direct Address Wise Website Browsing/SMS/Leaflet/Visiting Card etc.
R=Referral Website Browsing/Display Ads via Website Browsing
E=Email Via Website Browsing
S=Social Site Via Website Browsing
S=Search Engine Via Website Browsing
সুতরাং এই DRESS SEO হল একটি আংশিক Off page SEO (Search Engine Optimization) আপনার কোন পোস্ট/লেখা অথবা ভিডিও যদি আপনি অনলাইনে প্রচার করে থাকেন এবং যদি আপনি চান তা অনেক মানুষ দেখুক তাহলে উপরের DRESS SEO পদ্ধতিটি আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।

Direct Method:

1. অর্থাৎ সেই পোস্ট/লেখাটিকে আরও প্রমোট করার জন্য আপনাকে প্রিন্ট মিডিয়ার সাহায্য নিতে হবে। টিভি/রেডিও/মাইকিং (সাউন্ড) মিডিয়ার সাহায্যেও আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব এড্রেসের ব্যাপারে প্রমোশন করতে পারেন।

Referral Method/Display Ads Method:

2. আপনি চাইলে ব্যাকলিং ক্রিয়েট করা এবং অন্য কোন স্বনামধন্য ওয়েব সাইটের সাহায্যে আপনার ওয়েব এড্রেসের লিংক একটি বেনার এড অথবা ডিসপ্লে এডের মাধ্যমে আপনার ওয়েব এড্রেসের ট্রাফিক বাড়াতে পারেন।

Email Method:

3. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে আপনার বিজনেস প্রোপোজাল পাঠিয়ে আপনি আপনার ওয়েব এড্রেসের ট্রাফিক বাড়াতে পারেন।

Social Site Method:

4. সামাজিক যোগাযোগের জন্য অনেক সাইট রয়েছে যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি এখানে ফ্রি একাউন্ট খুলতে হবে।এবং সেখানে আপনার পোস্টটি শেয়ার করতে হবে তাহলে কাস্টমার ঐ লিংকের মাধ্যমে আপনার ওয়েব ঠিকানায় ভিজিট করবে।

Search Engine Method:

5. এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা অন পেজ এসইও এর আওতাভুক্ত কেননা এখা্নে গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের কিছুটা নির্দেশনা অনুসারে আপনার ওয়েব পেজকে অপটিমাইজ বা সাজাতে হয়। যেমন: টাইটেল, মেটা টেগ, হেডার ওয়ান - হেডার সিক্স, গুগলের নিকট থেকে প্রাপ্ত সাইট ভেরিফিকেশন কোড ইত্যাদি। এই কাজগুলো সম্পাদন হলে গুগলে সার্চ করা মাত্রই আপনার ওয়েব ঠিকানাতে চলে আসবে কাস্টমার আর এভাবেই আপনি আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন।

নোট: সর্বোপরি একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার লেখা বা কনটেন্টটি যেন একটি ইউনিক বা ব্যাতিক্রমধর্মী হয় আর তা থেকে একজন ক্লায়েন্ট বা পাঠক যেন সম্পূর্ণ সমাধান পান তাহলে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার লেখাটিকে তার প্রথম পেইজের সর্ব প্রথমে দেখাতে বাধ্য।

এবার আসা যাক কিভাবে গুগলের প্রথম পেজে নিজের সাইট বা ব্লগ নিয়ে আসবেন:

একজন প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বা ব্লগ লেখক মাত্রই তার স্বপ্ন থাকে যে, তার লিখা গুগলে সার্চ করলে প্রথম পেইজে দেখাক। কারণ একজন লেখকের স্বার্থকতা তার লিখা পড়া এবং সেটা থেকে টাকা ইনকাম করার উপর নির্ভর করে। বেশি মানুষ লিখা পড়বে অর্থাৎ যত বেশি ট্রাফিক হবে তার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ততই ইনকাম। তাই স্বভাবতই মনে প্রশ্ন আসে কি কৌশল অবলম্বন করলে মানে কিভাবে লিখলে গুগলে প্রথম পেইজে ওয়েবসাইট বা ব্লগকে নিয়ে আসা যায়?

আর তাই কী-ওয়ার্ড রিসার্চের পর আমাদের আজকের আলোচনা সময় উপযোগী খুবিই গুরত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে আর তা হলো; কীভাবে গুগলের প্রথম পেইজে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ নিয়ে আসবেন তা নিয়ে?

আপনার ওয়েবসাইট আছে কিংবা আপনি ব্লগ লিখেন কিন্তু আপনার লিখা কি করে গুগলে রেঙ্ক করাবেন তার কৌশল আপনার জানা নেই এটা অনেকটা ঢাল তলোয়ার ছাড়া যুদ্ধ করার মতন। তাহলে যুদ্ধে যাওয়া আর ওয়েবসাইট বা ব্লগ লিখা আপনার জন্যে একিই রকম। কারণ এখানে আপনার হার নিশ্চিত।

গুগলে র্যা ঙ্ক করার মাধ্যমেই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুগলে প্রথম পেইজে আসে। যার ফলে একজন কাঙ্খিত ব্যক্তি ইন্টারনেট সার্চ করা মাত্রই গুগল তার প্রথম পেইজে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটি দেখবে। বিভিন্ন ধরণের সাইটের মধ্যে যেমনঃ গুগল, পিপীলিকা, আস্ক ডটকম, গিফি, লাইব্রেরিজ ডট আইও, বিং ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে গুগল হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন। তাই যারা লিখালিখি করেন বা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্যে গুগল হতে পারে একটা সেরা প্ল্যাটফর্ম।

এখন প্রশ্ন আসে গুগল কেন বা কী করে আপনার পেইজের লিখাকে প্রথমে নিয়ে আসবে ?

প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকতে হলে অন্যান্য মানুষ যা ভাবছে তার চেয়ে একটু ডিফারেন্ট অ্যাংগেলে ভাবতে হবে আপনাকে। স্রোতের উল্টো পথে হাটতে হবে আপনাকে, তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন। যেমনঃ গুগলে কীভাবে লিখলে পেইজ র্যাং কিংয়ে আসবে তার চেয়ে বেটার হয় যদি আপনি এভাবে ভাবেন যে,

গুগল কোন ধরণের লিখাকে ফার্স্ট পেইজে দেয়? কি কি বিষয় তারা দেখে?

গুগলে প্রথম পেইজে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ আসার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি ঠিক মত কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন কিনা, এসইও বেইজড কিনা, গুগল ফ্রেন্ডলি কিনা এগুলোর উপর। আমরা আজকে ধাপে ধাপে সবগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যেই সব ওয়েবসাইট বা ব্লগের সাথে সার্চকৃত ব্যক্তির কী-ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি রিলেভেন্ট হয় গুগল সাধারণত ওই সব লিখাকে ফার্স্ট পেইজে দেয়। অর্থাৎ যেই ব্যক্তি সার্চ করলো, তার সাথে

আপনার লিখার কী-ওয়ার্ড বেশি মিলে গেলে তখন গুগল ওই পেজকে ফার্স্টে রাখবে।

আবার যদি এমন হয় যে, সার্চকৃত ব্যক্তির কী-ওয়ার্ডের সাথে একমাত্র আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে লিখা থাকে অন্য কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগে লিখা না থাকে তাহলেও গুগল আপনার পেইজ কে ফার্স্ট পেইজে দেখাবে।

তবে কম্পিটিটিভ এই বাজারে অনেকেই একিই টপিকে লিখে থাকে। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে গুগল কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগকে সর্ব প্রথমে নিয়ে আসে বা ফার্স্ট পেইজে দেখায়? এটা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

সেই ক্ষেত্রে গুগল একটা নির্দিষ্ট অ্যালগরিদমে কাজ করে। এই অ্যালগরিদমকে আবার কনট্রোল করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার সাইটে ঠিকমত অপটিমাইজেশন করতে পারেন তাহলে গুগল নামক সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ আসার সম্ভাবনার হার বেশি থাকবে।

এখন প্রশ্ন আসে এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? Or, What is SEO?

এসইও (SEO) সম্পর্কে আমাদের পূবের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত বলা রয়েছে। তার পরও বলছি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপৃষ্ঠাকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের

অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরন করা যাতে এটি অনুসন্ধান করলে ফলাফলে প্রায়শই দেখা যায়। তবে এই এসইও কোন একক কাজ নয় বরং একটি সমন্বিত পদ্ধতি বলা যায় কারণ বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে এটি।

সাধারণত একটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ওয়েব স্ক্রলার বা সার্চ রোবট বা সার্চ স্পাইডার প্রায় সবসময় ওয়েবে থাকা একটি ওয়েবপৃষ্ঠা অন্য ওয়েবপৃষ্ঠায় ও একই ভাবে এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ায়।

এই রোবট বা স্পাইডা্র বা স্ক্রলারসমূহ কাজ হলো বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিদির্ষ্ট শ্রেণীতে সজ্জিত করা, অতঃপর অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর খোজকৃত শব্দ বা শব্দগুচ্ছ মানে keyword অনুসারে অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ফলাফল পাতায় প্রদর্শন করে। তবে এই ক্রলার বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। বিষয় সমূহকে তিন ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।

১.পৃষ্ঠার মধ্যে, ২. প্রযুক্তিগত এবং ৩.পৃষ্ঠার বাইরে।

পৃষ্ঠার মধ্যে বা ওয়েবসাইটের ভিতরকার এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল; পৃষ্ঠার ভিতরের এসইও কে অনলাইন এসইও বলা হয়। তার মানে অনলাইনে মাধ্যমে কি করে আপনার পেইজে সার্চ বাড়তে পারে। কি করে সবচেয়ে বেশি মানুষ আপনার লিখা পড়বে। ● যা লিখবেন সেই ওয়েবসাইটের শিরোনাম বা নাম
● ওয়েবসাইটের মোটা বিবরণ মানে বোল্ড করে দেওয়া
● ওয়েবসাইটের মোটা কিওয়ার্ড ট্যাগ অর্থাৎ বিশেষ লিখাগুলোকে আলাদা করে বোল্ড করা
● ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর শিরোনাম বা নাম
● ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট ট্যাগ
● ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন
● ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠার মধ্যে অন্তঃসংযোগ
● ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের বহিসংযোগ।
● সংযোগকৃত শব্দ ইত্যাদি

প্রযুক্তিগত এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল;

প্রযুক্তিগত এসইও (SEO) আপনি যেই সাইটে লিখবেন সেই সাইটের গতি, মোবাইল-বান্ধব, ইনডেক্সিং, ক্রাউলাবিলিটি, সাইট আর্কিটেকচার মানে সাইটাকে আপনি ডেভেলআপ করেছেন, কাঠামোবদ্ধ উপাত্ত এবং নিরাপত্তা বিষয়গুলো খেয়াল করে থাকে।

পৃষ্ঠার বাহিরে বা ওয়েবসাইটের বাহিরের এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল;

পৃষ্ঠার বাহিরের এসইও কে অফলাইন এসইও বলা হয়। তার মানে হলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বা ব্লগের লিংক বিভিন্ন পেইজে বা গ্রুপে বা আপনার ফেইসবুকে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার পেইজের রিচ বাড়াতে পারেন মানে আপনার পেইজে ট্রাফিক বাড়বে।

উপরের সবগুলো বিষয় নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধান করে তা ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও'র মূল কাজ পরিগণিত হয়। এছাড়াও ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অনুসন্ধান ইঞ্জিনের কাছে সমর্পণ, বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন স্থাপন বা আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমেও এসইও কাজ করে থাকে।

সম্প্রতি অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলো যেকোন ওয়েবপৃষ্ঠা বা ওয়েবসাইটের সামাজিক প্লাটফর্মের ওপর গুরুত্ব দিয়ে র্যাং কিং প্রদান করছে। এক্ষেত্রে যে ওয়েবপৃষ্ঠা বা সাইটের সামাজিক প্লাটফর্ম যত উন্নত সে সাইটটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের প্রথম দিকে থাকার সম্ভবনা তত বেড়ে যায়, গুগল ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোকেই সামনে নিয়ে আসে।

এবারে keyword নিয়ে আলোচনা করা যাক। কী-ওয়ার্ড নিয়ে আমাদের পেইজে পূর্বেই সম্পূর্ণ একটি ব্লগ আপলোড করা রয়েছে, আপনি সেটি পড়লে পুরো ধারণা পেয়ে যাবেন। সংক্ষিপ্ত করে আমি এখানে আলোচনা করছি। লিখার আগে আমাদের টপিক সিলেক্ট করতে হয়। টপিক আপনি ইচ্ছেমত সিলেক্ট করতেই পারেন কিন্তু কেমন হয় যদি আপনি ইউজার কি চায় এর উপর ভিত্তি করে টপিক সিলেক্ট করেন তারপর লিখেন? ভাবছেন কি করে জানবেন ইউজার কি চায়?

ভয় নেই, Google Trends সহ আরও বেশ কিছু সাইট রয়েছে (আমাদের পূর্বের ব্লগে এর নাম দেওয়া আছে) যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন এই মুহূর্তে মানুষ কি বেশি সার্চ করে দেখছে। যেই শব্দ দিয়ে সার্চ করছে তাই কী-ওয়ার্ড (keyword), আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হলো কী-ওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research)।

গুগল অ্যানালিটিক্স ( what is google analytics)।

গুগলের একটি সেবা রয়েছে যেখানে কিনা আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট তথ্য পেয়ে থাকবেন অর্থাৎ আপনার পেইজকে উন্নত করার তথ্য পেয়ে থাকবেন একেই গুগল অ্যানালিটিক্স বলা হয়। ধরুণ আপনার ওয়েবসাইট বা লিখাতে সঠিক কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন, এসইও ব্যবহারও ঠিকমত করেছে তা স্বত্ত্বেও আপনার লিখা গুগলে প্রথম পেইজে আসছে না তখন গুগল অ্যানালিটিক্স আপনাকে সাহায্য করবে।

গুগল এনালিটিক্স হল এমন একটা প্লাটফর্ম যেটি ওয়েব থেকে ডেটা কালেকশন করে, অতঃপর সেই ডেটা সমুহকে রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করে, যাতে যা যা সমস্যা আছে তা বোঝতে পারা যায় সহজেই।
এবার আপনি যদি আপনার ওয়েবপেইজের সমস্যা গুলো দেখতে চান বা আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট ডেটাকে এনালিটিক্স রিপোর্ট আকারে পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে, গুগল অ্যানালিটিক্স সাহায্য করবে।

তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই গুগল অ্যানালিটিক্স একটি একাউন্ট খুলতে হবে এবং ছোট্ট একটা ট্রাকিং কোড আপনার ওয়েব পেইজে যুক্ত করে নিতে হবে । এরপর গুগল অ্যানালিটিক্স এর কাজ হবে আপনার সাইট ভিজিট করা এবং ইন্সটল করা ঐ কোডটি সকল ইউজারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে অ্যানালিটিক্স রিপোর্ট আকারে প্রদান করবে। যেমনঃ কি পরিমানে ট্রাফিক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে, বাউন্স রেট কত, কোন রিজিয়নের মানুষের বেশি দেখে আপনার লিখা, দেশ নাকি দেশের বাহিরের মানুষ বেশি দেখে আপনার লিখা ইত্যাদি।

এই উপরের সকল বিষয় গুলো গুরত্বের সাথে করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে পারেন। ইউজার ফ্রেন্ডলি করার অর্থই হলো, যখনই কোন ইউজার এই একিই তথ্যের জন্যে গুগলে সার্চ করবে তখন তারা সহজেই আপনার লিখা পেয়ে যাবে অর্থাৎ পেতে কোন সমস্যা হবে না।

পরিশেষে…

আপনি তখনই লিখবেন যখন আপনি সেটা থেকে বেনিফিটেড হবেন। তার একজন ইউজার তখনই আপনার লিখা পড়বে যখন সে এখানে আপনার লিখা পড়ে উপকৃত হবেন। তাই তথ্য সমন্বিত লিখার পাশাপাশি আপনার উচিত আপনার ওয়েবসাইটকে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে উপরের কৌশলগুলো যথাযথভাবে অবলম্বন করা। তা না হলে মানুষ আপনাকে কেয়া সুপের মত ইউটিউবে দেখে স্বরণ করবে, ব্যবহার আর করতে পারবে না। আর যদি কৌশলি হোন তাহলে লাক্সের মত ব্যবহার করে স্বরণ করবে। শুভকামনা রইলো।
Offer Source: Plz, click here to show

Offer Id: 918
Company Name: Selltoearn.com & Urnisha Jaman Mohona
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

পর্দানশীল নারী | কর্ম ক্ষেত্রে পর্দানশীল নারীর বৈষম্য ||

পর্দানশীল নারী | কর্ম ক্ষেত্রে পর্দানশীল নারীর বৈষম্য ||

প্রথমেই সকলের কাছ থেকে ক্ষমা ও সালাম নিয়ে নিচ্ছি এই জন্য যে, নিচের লেখায় যদি কারও মনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এই আর্টিকেলটি পড়ার সময়। যদিও আর্টিকেলটির উদ্দেশ্য হল সামাজিক ও অথনৈতিক সচেতনতা।

শুরুর কথা:

যার যার ধর্ম তার তার কাছে বড়। পৃথিবীতে শীর্ষ কয়েক ধরনের ধর্ম রয়েছে যেমন: ইসলাম, খ্রিষ্ঠান, হিন্দু, ইহুদী, বোদ্ধ ইত্যাদি। আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত ১০৪ খানা আসমানি কিতাবের মধ্যে বড় চার খানা কিতাব হল তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও সর্বশেষ চুড়ান্ত আসমানি কিতাব হল কোরআন শরীফ। আর পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল হয় আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি অসাল্লাম এর উপর। আর এই কোরআন শরীফ নাজীল হয়েছে সমগ্র মানব জাতীর জন্য এবং সকল ধর্মালম্বিদের জন্য যার কথা কোরানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।আর কোরআন ও মহানবী হযরত (সাঃ) এর হাদীসের অনুসারীদের বলা হয় মুসলিম। যে সলক ব্যক্তি এটা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং হযরত মুহাম্দদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তারা হলেন মুসলিম।আর একজন সংসম্পূর্ণ মুসলিমের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল আল্লাহর নাজিলকৃত প্রবিত্র কোরআন এবং নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাদীসের অনুসারে তার সমগ্র জীবন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অতিবাহিত করা।

পৃথিবীর জীবন হল ক্ষণস্থায়ী আর আখিরাতে জীবন হল অসীম ও অনন্ত। পৃথিবীর জীবন হল আখিরাতের জন্য একটি পরীক্ষা। তাই এই জীবনে কোরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন যাপন করা আমাদের সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামা পড়া বাধ্যতামূলক যা না পড়লে গুনা হবে। আর এই গুনার জন্য অনন্ত কাল দোযখের আগুনে পুড়তে হবে। এটা যেনেও আমরা নামাজ কাজা করে থাকি। এছাড়াও আমরা মনে অজান্তে, জেনে না জেনে অথবা অবচেতনেও অনেক পাপ কাজ করে থাকি। যেমন: ইসলামিক নিয়ম অনুসারে পুরুষদের দারি রাখতে হবে এটি নবীজির সুন্নত যা তিনি করতে বলে গিয়েছেন। পায়ের টাকনার ওপরে কাপড় রাখতে হবে (পুরুষদের)। মহিলাদের পর্দানশীল হতে হবে। অর্থাৎ তাদের লজ্জাস্থানের সুষ্ঠু হেফাজত করতে হবে। সুদ, ঘোষ, হারাম খাবার খাওয়া যাবে না। অন্যায়ভাবে কারও উপর জুলুম করা যাবে না।

বাংলাদেশ নয় শুধুমাত্র পৃথিবীতে এমনও অনেক স্থান রয়েছে যেখানে যদি পুরুষদের দারি রাখতে দেয়া না হয় কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে তবে এই সকল বলিষ্ঠ পুরুষগণ সেই কোম্পানিতে চাকুরিতো দূরের কথা সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ধারের কাছেও ভিরে না। আবার দেশে কিছু কিছু বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নিয়মিত ক্লিন শেভ দিতে হয়। এটা তাদের অফিসিয়াল পলিসি হতে পার। কিন্ত আমার কথা হল যে কাজের জন্য আমাকে পরকালে শাস্তি পেতে হবে সেই কাজ আমি কখনই করবো না। এমনকি যদি দিন মজুরের কাজও যদি হয় তাই করবো তবুও ইসলামের দেখানো পথ ব্যাতিত অন্য কোন পথের নিকট নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দেব না।

ঠিক তেমনি যদি এমন হয় মহিলাদের পর্দানশীল না হয়ে পশ্চিমা কালচার ফলো করে কাস্টমার আকর্ষণের জন্য পর্দাহীনভাবে কাজ করতে আমি মনে করি মুসলিম হয়ে ঐ সলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করারই প্রয়োজন নেই। নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, পর্দানশীলতা, সুন্নতি লেবাজে যে সকল প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যদি বাধা বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়ায় তবে বুঝতে হবে ইহকালে ক্ষণিকের সুখ পাবেন কিন্ত পরকালে অনন্ত সময় কাটাতে হবে দোযখের যন্ত্রণাকে সাথী করে। আরও একটু বলছি যে শুধু বাংলাদেশ নয় সমগ্র পৃথিবীতে সকল প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিই খারাপ নয়। এর মধ্যে ভাল কোম্পানিও রয়েছে যেখানে ইসলামের সম্পূর্ণ বিধি বিধান অনুসারে সকল কার্য পরিচালনা করা হয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন যদি অন্যায় দেখ হবে হাত দ্বারা তার প্রতিবাদ কর; যদি তা না পার তবে মুখ দ্বার থামানোর চেষ্টা করা আর যদি তাও না পার সেখান থেকে সরে গিয়ে তার প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন কর। এই কথার মানে হল আপনি যদি চাকুরীপ্রার্থী হন আর পুরো কোম্পানির অন্যায়ের প্রতিবাদ যদি আপনি না করতে পারেন তবে অন্তত তার প্রতি মনে মনে নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং তার কাছ থেকে নিজেকে সড়িয়ে নিন।

এবার আসা যাক একটি মুসলিম দেশ হয়েও বাংলাদেশে কর্পোরেটে নারীদের পর্দানশীলতার ক্ষেত্রে কেমন বৈষম্যের স্বীকার হতে হয় ??

বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ । এখানে বসবাস করেন অনেক ধর্মের মানুষ যার মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষই মুসলিম। সেই সুবাধে এই দেশে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য যতটা সম্ভব সফলতার উচ্চ স্থানে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সব রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়াটাই কাম্য। কিন্তু সেই তুলনায় কয়েকটা পেশা ছাড়া পর্দানশীল নারীরা তেমন কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। এটি একটি মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও এখানে পর্দানশীল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি সবার মুখের কথার মধ্যেই শুধু বিদ্যমান থাকে। প্রফেশনাল জীবনে কয়েকটা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশ কর্পোরেটে পর্দানশীল নারীদের তুচ্ছ মনে করে। কারন তাদের জন্য পর্দার মধ্যে থাকা নারীরা সেকেলে, কোনো স্মার্টনেস বা পারসোনালিটি পর্দানশীল নারীদের মধ্যে নেই। এসব ধারনাই মূলত পোষন করে থাকেন। তবে দিনশেষে তাদেরই ঘরের মা, বোন, স্ত্রীদের পর্দানশীল হওয়ার উপদেশ দেন।

কিভাবে পর্দানশীল নারীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ??

আমাদের সমাজে সবাই যার যার নিজ ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠানের সহিত জীবন যাপন করছে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্যে বঞ্চিত হচ্ছে পর্দানশীল নারীরা। তাদের জন্য বর্ধিত রয়েছে মাদরাসায় শিক্ষকতা, বাসায় টিউশনি করা, বাসায় বসে সেলাইয়ের কাজ করা তালিম দেওয়া, যা খুবই সীমিত। তাদের উপার্জনের স্থান এটুকুর মধ্যেই কেন বিদ্যমান থাকবে। তাদের কাছে উচ্চ পদে যাওয়ার মতো যোগ্যতা, সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও কোনো পর্দানশীল নারীদের সেল্স ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ দেওয়া হয়না, মার্কেটিং প্রসেস এর যেকোনো কাজই পর্দানশীল নারীদের দিয়ে করানো হয় না, ব্যবসায় সংক্রান্ত কোনো মিটিং বা কনফারেন্স কক্ষে পর্দার সহিত কোনো প্রেজেন্টেশন করতে দেওয়া হয়না। কোনো কর্পোরেট ফাংশন, পার্টী বা অনুষ্ঠানে তাদেরকে ব্যবসায় সম্পর্কিত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে চাকুরি প্রত্যাশিত পর্দানশীল নারীদের অবহেলা করে ??

যারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলো সম্পর্কে ধারনা রেখেছে তাদের মধ্যে কম বেশি সবাই জানে যে অফিসিয়াল কোনো কাজে পর্দানশীল নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয় না। তাদের নিয়োগ পত্রের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে যে সুন্দর, স্মার্ট, ফরমাল ড্রেস যেমন.. প্যান্ট, শার্ট, কোর্ট পরিধানে অভ্যস্থ, নিজেকে ক্লায়েন্টদের সম্মুখে উপস্থাপন করতে পারবে এমন কেউ আগ্রহী থাকলে চাকুরিতে আবেদন করতে পারবে। তবে সব প্রতিষ্ঠানে ফরমাল ড্রেসের কথা উল্লেখ না থাকলেও পর্দানশীল নারী বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানই নিয়োগ দেন না। কারন বাংলাদেশের ৯৯ - ১০০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পর্দানশীল নারীদের নিয়োগ দেওয়ার মতো মন-মানসিকতা নেই আর কখনও তৈরিও হয়নি। তবে বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের মানুষরা ইসলাম ধর্মের সংস্কৃতি, নীতির বিরুদ্ধে। অবহেলা করা হয় গোটা মুসলিম জাতিকে, মুসলমান নারীদেরকে, যে সমাজ মুসলিমদের সাধুবাদ জানায় তাদের আদব-কায়দার, এবং

নারীদের পর্দার সহিত জীবন যাপন করার জ্ঞান দেন। সেই সমাজই অফিসিয়াল কাজে মেয়েদের প্যান্ট, শার্ট পরায় বেপর্দা হতে বাধ্য করে। অর্থ উপার্জনের তাগিদে মেয়েরা বেপর্দা হয়ে কাজতো করে কিন্তু নাছোড়বান্দা সমাজ সেই নারীদের চাল-চলনে দোষ দেখায়। বেপর্দা হওয়ার কারন খোঁজে। কতটা জটিল আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পর্দানশীল নারীদের প্রতি। আর যদি প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রশ্ন করা হয় যে কেনো পর্দানশীল নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয় না, তখন তাদের কাছে থেকে শুনতে হয় যে, কাস্টোমার বা ক্লায়েন্টদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন না করতে পারলে তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আকর্ষীত হয় না। ফলে যে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ক্লায়েন্টদের আকর্ষন করতে পারে তারা লাভবান হয়। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো ভিসিটর আসলে তাদের মতো করে উপস্থাপন না হলে বিভিন্ন প্রযেক্ট ব্যবসায়ীক ডিল অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়। এসব প্রশ্নের সমাধানকল্পে উত্তর.. যা সম্পূর্ন ভুল একটি ধারনা।

বাংলাদেশের (মুসলিম দেশের) প্রতিষ্ঠান হয়ে কেন বিদেশি কালচার অনুসরন করতে হবে?? বিদেশে যারা বসবাস করেন তারা কি কখনো অন্যদের কালচার অনুসরণ করার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে... একেবারেই নয়। বরং সবাই নিজের দেশের সর্বচ্চোটাকে তুলে ধরার চেষ্ঠা করে। ক্লায়েন্ট বা কাস্টোমার দের যদি আকর্ষণ করাতে হয় তাহলে প্রতিষ্কানের পন্যকে আকর্ষীত করা উচিত। মানুষদের বা মানুষের পরিধানকৃত পোষাককে নয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি পর্দানশীল পরিবারের সদস্যরা পন্য ক্রয় করতে যান না ??

যদি পর্দানশীল পরিবারের সদস্যদের কাছে পন্য বিক্রয় করতে সমস্যা না থাকে তাহলে যে কর্মচারী পন্য বিক্রয় করবে সে কেন পর্দানশীল হতে পারবে না ?? কি পরিধান করে আছে সেটা বড় বিষয় নয় আপনার পন্য কেমন, কি নিয়ে আপনি ব্যবসায় করছেন, পন্যের মান উন্নত কি না সেটাই প্রকৃত আকর্ষন ।

পর্দানশীল নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে ??

আমাদের দেশ, সমাজ, সমাজ ব্যবস্থা, নিয়ম-নীতি এবং যারা এসব নিয়ম-নীতি তৈরি করেছেন তারাই পর্দানশীল নারীদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করছে। যদিও পর্দানশীল নারীদের বিরুদ্ধে সবার মতামত একরকম নয়। তবে বিভিন্ন স্থানে এর প্রচুর বিরোধিতা রয়েছে। আর তার সবচেয়ে বড় উদাহারন হচ্ছে... বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠান, প্রফেসনাল জায়গায়, অফিসিয়াল কার্যকলাপে, বিভিন্ন ব্যবসায়ে, শীর্ষে স্থান নেওয়া কিছু কোম্পানিতে। এসব স্থানে প্রাধান্য পায় বিদেশি সংস্কৃতি ধারনকৃত ব্যক্তিরা। তাদের পরিধানকৃত ফরমাল..

প্যান্ট, শার্ট, কোর্ট ইত্যাদি। যেখানে ইসলাম ধর্মের সংস্কৃতিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত সেখানে রয়েছে অবহেলা। অপরদিকে বাংলাদেশের মতোই এমন অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে যারা ইসলাম ধর্মের সংস্কৃতিকে অনুসরন করেই বিভিন্ন কর্মকান্ডে সফলতা অর্জন করছে যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পর্দানশীল নারীরা। পর্দার মধ্যে থেকে তারা অফিসে যাচ্ছে, অফিসিয়াল কাজ কর্মে নিজেদের যুক্ত রাখছে কিন্তু ইসলামিক শিক্ষার সীমার মধ্যে থেকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের নারীদের যদি এমন সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশর পর্দানশীল নারীদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হবে না কেন। অন্যান্য দেশে যদি মুসলিমদের সংস্কৃতিকে ধরে রেখে পর্দানশীল নারীদের সাবলম্বী হওয়ার সুযোগ থাকে। তাহলে বাংলাদেশে এমন সুযোগ প্রতিটা পর্দানশীল নারীদের জন্য দেওয়া উচিত। অন্য দেশের সংস্কৃতিকে ধরে রেখে কি হবে যদি নিজের দেশের সংস্কৃতিকে সম্মানের সহিত অন্য দেশের কাছে উপস্থাপন না করা যায়। প্রতিটা দেশের ভিন্নতার যেমন কিছু নির্দিষ্ট চিহ্ন বা প্রতীক থাকে ঠিক তেমনি সংস্কৃতির ভিন্নতা বোঝার সুবিধার্থে ভিন্ন ও নতুনত্ব কিছু পদক্ষেপ বাংলাদেশকে নতুন রুপে উপস্থাপন করবে।

কেন পর্দানশীল নারীদের সুযোগ দেওয়া উচিত ???

বাংলাদেশের এমন অনেক পরিবার রয়েছে যেই পরিবারে কোনো পুরুষ উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্যরাও পর্দানশীল। সেক্ষেত্রে তাদের বাহিরে বের হয়ে উপার্জন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা। তারা যখন কোনো চাকুরির খোঁজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ চায় তখন তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয় না। আর যদিও কাজ দেওয়া হয় সেগুলো হয় : পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ, জিনিসপত্র ধোয়ার কাজ, ইত্যাদি এসব কাজ করে পরিবারের খরচ চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পরে। এমন অনেক পর্দানশীল নারীরা আছেন যারা রাস্তায় মানুষের ধারে ভিক্ষে করে যা আমরা সচরাচর দেখে থাকি। তাই তাদের ভালো ও সুস্থ জীবন যাপন করার সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি। যখন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবারের পর্দানশীল নারীরা নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তখন অনায়াসে দেশের দারিদ্রতা হ্রাস পাবে।

যদি পর্দানশীল নারীদের চাকুরি দেওয়া হয় তাহলে কী তারা অন্যান্য নারী ও পুরুষদের সাথে সাচ্ছ্যন্দে কাজ করতে পারবে ??

পর্দানশীল নারীরা যদি সমাজে বসবাসরত প্রতিটি মানুষের সাথে বসবাস করতে পারে, নিজেদের সংযত রেখে জীবন বৃত্তান্ত প্রতিটি পদক্ষেপ অতিক্রম করতে পারে। তাহলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তারনা তাদেরকে কাজ করতে আগ্রহী করে তুলবে, এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার তাগিদ ও ইচ্ছা শক্তি তাদের মধ্যে বিরাজমান থাকলে অবশ্যই যেকোনো পরিবেশে পরিস্থিতিকে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে সাচ্ছ্যন্দে কাজ করতে পারবে।

পর্দানশীল নারীরা কী অফিসিয়াল যেকোনো কাজ করতে সক্ষম ??

নারীরা যদি পরিবার, সংসারের পাশাপাশি চাকুরি করতে পারে। তাহলে তারা অবশ্যই পর্দানশীল অবস্থায় অফিসিয়াল যেকোনো কাজ করতে পারবে যদি তাদের মধ্যে কাজটি করার জন্য দৃঢ় মনোবল থাকে। পর্দানশীল নারীরা অন্যান্য নারীদের মতোই। অন্যান্য নারী ও পর্দানশীল নারীদের মধ্যে পার্থক্য শুধু পোষাকে। তাই পর্দাহীন নারীরা যেভাবে কাজ করতে পারে। পর্দানশীল নারীরাও ঠিক সেভাবেই কাজ করতে পারবে যদি তারা সুযোগ পায়। কারণ অফিসিয়াল কাজ গুলো করার জন্য যা যা প্রয়োজন যেমন : প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দ্রুত কাজ বোঝা ও করার মতো ক্ষমতা, কাজটাকে ভালো ভাবে উপস্থাপন করা, প্রয়োজনে কাজের গতি বারানো, যত বেশি সম্ভব কাজ সম্পর্কে ধারনা বৃদ্ধি করা, কম্পিউটার সম্পর্কে অভিজ্ঞ থাকা ইত্যাদি এসবই অফিসিয়াল কাজ করতে সাহায্য করে যা চাইলেই পর্দানশীল নারীরা করতে পারে।

পর্দানশীল নারীদের মেধাকে বিকশিত করার জন্য কি করণীয়??

❏ অন্যান্য নারীদের মতো পর্দানশীল নারীদেরও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকুরি প্রদান করা।
❏ শোরুমে অন্যান্য কর্মীদের মতোই প্রাধান্য দেওয়া
❏ চাকুরি দেওয়া হলে পর্দাহীন হতে বাধ্য না করা।
❏ প্রয়োজন হলে চাকুরিরত সকল মুসলিম নারীদের জন্য ফরমাল ড্রেস কোড হিসেবে বোরখা, হিজাব, নেকাব প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি করে দেওয়া।
❏ যদি যোগ্যতা থাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।
❏ সম্মানের সহিত তাদের সম্বোধন করা।

বাংলাদেশে পর্দানশীল নারীদের যদি তাদের মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে কী অর্থায়নে বা দারিদ্রতায় কোনো পরিবর্তন আসতে পারে ??

অবশ্যই পর্দানশীল নারীদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশের দারিদ্রতা অনেকটা কমে আসবে। কারন এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মৃত্যুবরন করেছেন, অনেকে অসুস্থতায় শয্যায়ীত অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন, অনেকের পরিবারে বৃদ্ধ বাবা মার ভরোনপোষনের দায়িত্ব তার পর্দানশীল মেয়ের উপর। সে অবস্থায় মাদরাসায় শিক্ষকতা, বাসা বাড়িতে টিউশনি, সেলাইয়ের কাজ করে কতটুকুই বা উপার্জন করা যায়। সেক্ষেত্রে যদি পর্দানশীল
মেয়েরা তাদের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কোনো অফিসিয়াল কাজে, সেল্স ডিপার্টমেন্টে, রিসিপশনিস্টে, বড় বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানে, নাম করা কোম্পানীতে পর্দার সহিত কাজ করার সুযোগ পায় তাহলে তারা সাবলম্বী হয়ে উঠবে। পর্দানশীল হওয়ার জন্য চাকুরি না পাওয়া অবস্থা থেকে যখন তারা মুক্তি পাবে তখন তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে তারা আপ্রান চেষ্টা করবে তাদের দরিদ্র অবস্থা থেকে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে।

❏ ফলে অন্য কারো উপর তাদের নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।
❏ কেউ তাদের তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করবে না।
❏ তাদের প্রতি মানুষের ব্যবহার, মন্দ দৃষ্টিভঙ্গি, খারাপ মন-মানসিকতা পরিবর্তন হবে।
❏ দেশের মানুষের চিন্তা-ভাবনা উন্নত হবে সেই সাথে দেশেরও উন্নতি সাধন হবে। ❏ অর্থায়নে পরিবর্তন আসবে, দেশের আয় বৃদ্ধি পাবে। পর্দানশীল নারীদের মধ্যে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান থাকে তাই তারা যেকোনো কাজ করলে সেখানে মানবিকতা, মূল্যবোধ, সততা, সৎ ইচ্ছা, প্রবল চেষ্টা বিদ্যমান রেখে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। যদিও এটা সবার ক্ষেত্রে নয় কেননা সব পর্দানশীল নারীদের চিন্তা-ভাবনা এক রকম হয়না। যেমনটা অন্যান্য যেকোনো ব্যক্তি একে অন্যের থেকে ভিন্ন ও

ভিন্ন চিন্তা ও মন-মানসিকতার অধিকারী। সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত মন্দ চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, খারাপ আচরন নিজে থেকে পরিবর্তন করা। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা ও বিশ্বাস স্থাপন করা। দেশের প্রতিটা মানুষ একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসবে, দেশের মানুষের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে, সেই দিন বাংলাদেশ সহ বাংলাদেশের মানুষরাও প্রকৃত অর্থে ডিজিটাল হবে। এমনকি দারিদ্রতাও হ্রাস পাবে।

উপসংহার...

আমরা বাংলাদেশের মানুষরা যদি চেষ্টা করি দেশের উন্নয়নের জন্য পর্দানশীল নারীদের কর্মস্থলে নিয়ে আসার কর্মক্ষেত্রে তাদের পাশে দারানোর, তাহলে খুব সহজেই বাংলাদেশের দারিদ্রতা হ্রাস পাবে। এমনকি যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেই পর্দানশীল নারীদের জীবন যাপন সহজ করার ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে। পর্দানশীল
নারীদের জন্য হিজাব, নেকাব, বোরখাই হতে পারে সবচেয়ে সুন্দর, মার্জিত, ফরমাল ড্রেস। ফলে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের সহযোগিতায় দেশটি ক্রমশ নতুনত্বের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। পরিধানকৃত পোষাক নয় মেধাই হোক প্রকৃত লক্ষ্য যার মধ্যে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। সবাই সমান অধিকারের সাথে আপন করে নিবে দেশের সকল সংস্কৃতিকে । প্রাধান্য দেওয়া হবে সকল অবহেলিত ব্যক্তিদের। কেউ আর অনাহারে অন্যের উপর নির্ভর করে দিন অতিবাহিত করবে না।


Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 917
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষাঅর্জন করার অভিনব ব্যবস্থা করলো বিবিসি । বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এআর কি ? ঘরে বসে উপভোগ করুন 3D আকারে প্রদর্শিত পৃথিবীর সকল বিষ্ময়কর স্থাপনা ও প্রতিকৃতি ।

বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষাঅর্জন করার অভিনব ব্যবস্থা করলো বিবিসি । বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এআর কি ? ঘরে বসে উপভোগ করুন 3D আকারে প্রদর্শিত পৃথিবীর সকল বিষ্ময়কর স্থাপনা ও প্রতিকৃতি ।

আপনার স্মার্ট ফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে এই লেখা দিয়ে সার্চ করুন: bbc civilisations ar

যে এ্যাপসটি পাবেন তা ইনস্টল করুন আপনার মোবাইলে। আর তার পরই উপভোগ করতে পারবেন এবং সেই সাথে শিক্ষা অর্জনও করতে পারবেন United Kingdom দেশটির BBC (British Broadcasting Corporation) কর্তৃক তৈরীকৃত একটি খুবই প্রয়োজনীয় এ্যাপস্ BBC Civilisations ar (BBC কর্তৃক তৈরীকৃত সভ্যতার একটি Augmented Reality (উদ্দীপিত বাস্তবতা) অর্থাৎ খুবই নিঁখুত এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্রদর্শনী যা কিনা অধিকাংশ মিউজিয়ামগুলোতে রয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই এই নিঁখুত প্রদর্শনীগুলো আরও কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবে।

২০১৮ সালের স্প্রিং এর শেষের দিকে বিবিসি এই এ্যাপটির যাত্রা শুরু করে। তার পর থেকে সমগ্র পৃথিবীতে এই এ্যাপসটি ব্যবহার ব্যপকভাবে বেড়ে যায়। ইউজারগণ খুবই আগ্রহের সাথে খুব সহজে এ্যাপসিটি তাদের স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করতে পারেন।এখন পর্যন্ত এই এ্যাপসটি ১ লক্ষেরও অধিক ডাউনলোড হয়েছে।

বর্তমানে এই এ্যাপসটিতে আপনি পাবেন ৫টি সেকশনে ৪১টি স্থাপনা ও প্রতিকৃতির প্রদর্শনী। তবে সময়ের সাথে সাথে এর সংখ্যা ও পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আর একটি মজার বিষয় হল আপনি অফলাইনেও অথার্ৎ কোন ডাটা (এমবি) খরচ না করেও এটি আপনার মোবাইলে চালাতে পারবেন এবং শিক্ষা অর্জণ করতে পারবেন।যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ৩০ টি জাদুঘরের সাথে এবং নেক্সাস স্টুডিও nexusstudios.com এর সহযোগীতা বিবিসি এই এ্যাপসের যাত্রা শুরু করে। এই এ্যাপসি এক্স-রে ফিচার নামের একটি ফিচার নিয়ে এসেছে যেখানে কোন প্রাণি বা কোন স্থাপনার অভ্যন্তরের অংশ পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

এবং এটি ধারনা করা যায় যে, ভবিষ্যতে এর আরও অনেক উন্নত ফিচার আসবে যা ইউজার অরিএন্টেড অর্থাৎ যার কিছু কার্যক্রম ইউজারদে হাতে অর্পন করা যেতে পারে। বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুব দ্রুত অনেক বেশি কার্য সম্পাদন করতে পারেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।তাই প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও অনেক অভিনব এ্যাপস্ তৈরী করছে যা মানব সভ্যতার জন্য অতিব প্রয়োজনীয়। ঠিক তেমনি আরও কিছু প্রয়োজনীয় এ্যাপস্ এবং শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটের ঠিকান নিচে দেয়া হল:

https://www.selltoearn.com/website/education.php
https://www.selltoearn.com/website/it.php
https://www.selltoearn.com/website/arts.php
https://www.selltoearn.com/website/religion.php
https://www.selltoearn.com/website/design.php
https://www.selltoearn.com/facetube/English/eng.html
https://www.selltoearn.com/facetube/latest/lat.html

বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এআর হতে পারে বিশ্বখ্যাত মিউজিয়ামগুলোকে গৃহবন্দী করার অভিনব উপায়:

ধরুন, আপনি আপনার এনড্রয়েড ফোনটি দিয়েই ব্রিটিশ মিউজিয়ামের অসাধারন সব শিল্পকর্ম দেখছেন। কিন্তু এগুলোকে গুগল ইমেজের একটি দ্বিমাত্রিক ছবি হিসেবে দেখছেন না।বরং আপনার ঘরেরই কোন একটি টেবিলের উপর রাখা ত্রিমাত্রিক একটি মডেল হিসেবে দেখছেন! শুধু তাই না, এগুলোকে নেড়ে চেড়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এমনকি ভিতরের কলকব্জা খুলে নিয়ে দেখছেন। যেটা বাস্তবিক জগতে করা আমাদের মত সাধারন মানুষের জন্য করা একেবারেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু “বিবিসি সিভিলাইজেশন এআর”- এই অসাধারন অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তিবিশিষ্ট এপ্লিকেশনটি সেই সুবিধাগুলোই পৌছে দেবে আপনার কাছে। “অগমেন্টেড রিয়েলিটি” এই বিষয়টির সাথে আমরা তেমন পরিচিত না হলেও এর ব্যবহার কিন্তু আমরা কম বেশি সবাই করেছি। ছবি এডিটিং করতে গিয়ে তাতে বিভিন্ন অবজেক্ট যুক্ত করছি কিংবা স্ন্যাপচ্যাটে বিভিন্ন ইফেক্টে বিভিন্ন অবজেক্ট যুক্ত করে বা পরিবর্তন করে আমরা ছবি তুলেছি। আবার জিপিএস ব্যবহার করে আমাদের অবস্থানের আশেপাশের বিভিন্ন রেস্ট্যুরেন্ট বা দোকানপাট এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে জেনেছি। এসবগুলোই অগমেন্টেড রিয়েলিটি নামক প্রযুক্তিটির সুফল। আজকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি নয় বরং এরই একটি অভিনব এপ্লিকেশন বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এরআর নিয়ে কথা বলব।

এনড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে নিচের এ লিঙ্ক থেকে এ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে পারবেন। বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এআর এপ্লিকেশন লিঙ্কঃ

https://play.google.com/store/apps/details?id=uk.co.bbc.civilisations

অগমেন্টেড রিয়েলিটির সমস্ত বৈশিষ্ট্যই এর মধ্যে বিদ্যমান। এর ফিচারগুলোও চমৎকার।বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্মগুলো একদিকে যেমন উপভোগ করা যায় আরেকদিকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। এমনকি মিউজিয়াম পরিদর্শনের অনুভূতি দিতে এখানে ম্যাজিক স্পটলাইট বলে একটি অপশন আছে যেখানে অডিও শুনতে পারবেন শিল্পকর্মগুলো সম্পর্কে। এক্স রে একটি অভিনব ফিচার যেখানে শিল্পকর্মের ভিতরের অংশ দেখতে পারবেন। অনেকেরই মিউজিয়াম সাইন্স নিয়ে প্রচন্ড কৌতুহল থাকে আর এ এপটি তাদের জন্য একটি বড় মাপের সুযোগ তাদের কৌতুহল মিটাবার। নেক্সাস স্টুডিও এই এপটি ইউনিট ওয়ারের সহায়তায় প্রস্তুত করেছে। ইউনিট ওয়্যার বর্তমানে অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রস্তুতিতে মার্কেটপ্লেসে বেশ ভালো একটি অবস্থানে আছে। বিবিসির অন্যতম দুই সিজনবিশিষ্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম বিবিসি সিভিলাইজেশন্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই সাধারন মানুষের কাছে এর উপযোগিতা বাড়াতে এ এআর এপটি তৈরি করা হয়েছে। বিবিসির প্রথম এআর সফটওয়্যার বিবিসি সিভিলাইজেশন্স এআর প্রস্তুতির নেপথ্যে আছে লন্ডনের ৩০টিরও বেশি জাদুঘর। এছাড়া বিবিসি আর এন্ড ডি, বিবিসি আর্টস এগুলোতো আছেই।

এটা তৈরি করার জন্য ২৮০টিরও বেশি শিল্পকর্ম বা মিউজিয়াম অবজেক্ট সংগ্রহ করা হয় সারাবিশ্বের ৫০টিরও বেশি মিউজিয়াম থেকে। সবশেষে মোট ৪০টি শিল্পকর্ম বাছাই করা হয় এ এপটি বানানোর জন্য। বিভিন্ন পরিমাপ করে এগুলোর ত্রিমাত্রিক স্ক্যান শেষে বিভিন্ন সেন্সরি যুক্ত করে বাজারজাত করা হয় এ এপটি।

এই এপের অন্তর্ভূক্ত কতগুলো চমৎকার শিল্পকর্ম হলো- Mummy in Egyptian Coffin, Corinthian Helmet, The Kiss by Rodin, Rosetta Stone ইত্যাদি।

যেহেতু এআর প্রযুক্তিটির প্রতিদিনই একটু করে আপডেটেড হচ্ছে সেহেতু এই এপটিও এখনো চলমান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আশা করা যায় এই এপটি আরো চমৎকার কিছু মানুষকে উপহার দেবে এবং বিশ্বকে ঘরে বসে আরো নিঁখুতভাবে জানার পথকে আরো সুগম করবে। পরবর্তীতে আরো কিছু চমৎকার টেকনোলজি নিয়ে লিখব। সে পর্যন্ত সাথে থাকুন।


Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 916
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823-660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

What is Pegasus || আপনার কম্পিউটার, লেপটপ, মোবাইল কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন ||

What is Pegasus

আপনার কম্পিউটার, লেপটপ, মোবাইল কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন

What is Pegasus ||

পেগাসাস কি ?

পেগাসাস শব্দটা এসেছে গ্রিক মিথোলজি থেকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সাদা রঙের ঘোড়া যার পাখা আছে, তাকে ডাকা হয় পেগাসাস। কিন্তু নেট দুনিয়ার বর্তমানে বহুল আলোচিত আজকের এই পেগাসাস এসেছে একটি স্পাইওয়ার হিসেবে। এটি এমন একটি মারাত্নক সফটওয়্যার, যেটা আপনার ফোনে যদি কেউ ভরে দিয়ে থাকে তাহলে আপনার ফোনে রাখা সব তথ্য চলে যাবে সেই অন্যের হাতে। আপনি জানতেও পারবেন না!

এই স্পাইওয়ার ফোনে থাকলে আমাদের কি ক্ষতি করতে পারবে?

এই স্পাইওয়ার মোবাইলে ঢুকে আপনার কথা রেকর্ড করতে পারবে, জিপিএস ট্র্যাক করে আপনার লোকেশন জানতে পারবে, গোপনে আপনার ক্যামেরা অন করতে পারবে, মেসেজ পড়তে পারবে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখতে পারবে, সব পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারবে। মোটকথা আপনার সবকিছুই চলে যাবে তার হাতে। সে কারণেই পেগাসাসকে বলা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে খতরনাক বা ভয়ানক সফটওয়্যার। ইন্টারনেট দুনিয়ায় এর থেকে বড় কেলেঙ্কারি আর আসেনি কখনো। কিন্তু অনেক লোকের এখনও অজানা কী হচ্ছে নেট দুনিয়ায়! কী এই পেগাসাস স্ক্যাম? ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো তার মোবাইল পরিবর্তন করে ফেলেছেন এই স্পাইওয়ারের কারণে। এই কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে এসেছে শিকার হিসেবে। বিশ্বের অনেক দেশে এখন এই পেগাসাস স্ক্যাম নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশে এখনও পেগাসাস নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই! সম্ভবত আমরা অনেকে বিগত কয়েক বছরে ফোন ফাঁসের ঘটনায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এতটা অভ্যস্ত হয়েছি যে ফোন ফাঁস যেন কোনও ব্যাপারই না। যেমন এই মুহূর্তে রাজধানী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে এক অভিভাবকের ফোন ফাঁস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রিন্সিপাল ম্যাডাম একজন শিক্ষক হয়ে কীভাবে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কিন্তু সরল বিশ্বাসে তিনি একজন অভিভাবক নেতার সঙ্গে ফোনে আলাপ করছেন, সেই লোক সেটা রেকর্ড করে খণ্ডিত আকারে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে এবং এক রিপোর্টে দেখলাম গর্বভরে স্বীকারও করছেন। কিন্তু সেই লোকের কী সাজা হওয়া উচিত কেউ একবারও চিন্তা করছি না, উচ্চারণও করিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার দুর্বলতা হচ্ছে এটিই– আপনাকে গড্ডালিকা প্রবাহে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে, এককেন্দ্রিক চিন্তা করতে শেখাবে। এখানে সবাই ঘুরে ভাইরাল আর ট্রেন্ডের পেছনে।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রতিদিন এখন শিরোনাম হিসেবে দখল করে আছে পেগাসাস কেলেঙ্কারি। কারণ, সেখানকার প্রায় ৩০০ সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, আমলা এবং রাজনীতিবিদের নাম উঠে এসেছে এই পেগাসাস কাণ্ডে। পেগাসাস দিয়ে এদের কারও ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে, কারও ওপর গোয়েন্দাগিরির চেষ্টা হয়েছে এবং কেউ কেউ সম্ভাব্য টার্গেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রশ্ন আসে পেগাসাস আপনার ফোনে আসবে কী করে? আপনার বাঁচার উপায় কী? আপনার কি পদক্ষেপই বা নেওয়া উচিত এই ব্যাপারে?
আগে আমরা দেখতাম এ জাতীয় স্পাইওয়্যার ফোনে বা পিসিতে পাঠানো হতো ম্যাসেঞ্জার বা ইমেইলে কোনও লিংক পাঠিয়ে। সেখানে ক্লিক করলেই সক্রিয় হয়ে যেত। কিন্তু এখন আর সেটা দরকার নেই। আপনার ফোন নম্বর জানা থাকলেই যথেষ্ট। আপনাকে একটা ফোন করবে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেবে। ফোন না ধরলেও এটা কাজ করবে। তাতেই সম্ভব পেগাসাস আপনার ফোনে সক্রিয় হয়ে যাওয়া।

বাঁচতে পারবেন কীভাবে?

বাঁচার উপায় নেই। যদি ফোন নম্বর একান্ত লোকদের দিয়ে থাকেন আর লোকেশন হাইড করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন- হালকা রক্ষা পাবেন। তবে গ্যারান্টি নেই।

এই সফটওয়্যার কারা বানিয়েছেন?

এই পেগাসাস সফটওয়্যারটি বানিয়েছে একটি ইসরায়েলি কোম্পানি-এনএসও। যেটি তার তিন মালিকের নামের অদ্যক্ষর। কিনতে আনুমানিক ৪ কোটি টাকার মতো খরচ পড়বে, আর প্রতি ১০ জনের ফোনে ইনস্টল করতে ৫ কোটি করে গুনতে হতে পারে। প্রশ্ন আসে এমন সফটওয়্যার বানানোর কী দরকার ছিল?

এনএসও দাবি করছে তারা পেগাসাস সৃষ্টি করেছে যাতে করে সরকারি গোয়েন্দা বিভাগ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এটা ব্যবহার করে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে পারে। মেক্সিকো সরকার দাবি করছে যে তারা এই পেগাসাস ব্যবহার করে সেখানকার ড্রাগ লর্ড এল চাপোকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এই ধরনের স্পাইওয়্যার থাকলে দুনিয়াটা অনেক সুন্দর করা যেত।

কিন্তু আপনার ভাবনা ভুল। দুনিয়া কাঁপানো কোনও বড় টেরোরিস্টের নাম ফাঁস হওয়া তালিকায় পাবেন না। ভালো কাজের প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহার বেশি হয়- সেটি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যে মেক্সিকোর উদাহরণ দিলাম সেই মেক্সিকোর একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মেক্সিকো সরকার এটি ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মেক্সিকান সাংবাদিক সরকারের কিছু আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়েছিল। এখানেই শেষ নয়। এরপর ওই সাংবাদিক খুন হয়েছেন।

আবার দেখেন সৌদি নাগরিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি কাহিনিটাও ঘটেছিল এই পেগাসাস ব্যবহার করে। সৌদি যুবরাজ পেগাসাস ব্যবহার করেছেন জামাল খাশোগির হবু স্ত্রীর ফোনে, খাশোগির মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তার হবু স্ত্রীর ফোন হ্যাক করে এই স্পাইওয়্যার প্রবেশ করানো হয়েছিল। সে কারণেই তারা জামালের গতিবিধি

পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছিলেন। সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরও আগেও এসেছিল, তিনি অ্যামাজন চিফ জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করেছিলেন। এটাও পেগাসাস কাহিনি। বর্তমান সময়ে পেগাসাস কলঙ্ক ফাঁসের কাজটি করেছে ফ্রান্সভিত্তিক একটি এনজিও ‘ফরবিডেন স্টোরিজ’। তারা টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে।
তারা ৫০ হাজার ফোন নম্বর তালিকাভুক্ত করে বলেছে যে এসব নম্বর সেসব সাংবাদিক, পলিটিক্যাল লিডার, আমলা এবং অ্যাকটিভিস্টসহ বিশ্বের নানা জনের, যাদের কারও কারও ফোনে পেগাসাস প্রবেশ করানো হয়েছে, হওয়ার চেষ্টা হয়েছে বা তারাই টার্গেট।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭টি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান কোলাবরেশনের মাধ্যমে এই লেটেস্ট ঘটনা ফাঁস হয় অতি সম্প্রতি। এসব মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, জার্মানির ডিসাইড, ফ্রান্সের লে মন্ডে, ইসরায়েলের হারেটজ, মেক্সিকোর প্রোকেসো, হাঙ্গেরির ডিরেক্ট থার্টিসিক্স। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এটি প্রকাশে সহায়তা করেছে এবং কানাডাভিত্তিক দ্য সিটিজেন ল্যাব স্বাধীন সংস্থা হিসেবে তা রিভিউ করে মতামত দিয়েছে, যে পদ্ধতিতে এই ইনভেস্টিগেশন হয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার আইডেন্টিফাই করার ক্ষেত্রে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে ফরেনসিক মেথড ব্যবহার করেছে, সেটা সঠিক ছিল। ফরবিডেন স্টোরিজ ১১টি দেশে এনএসও’র ক্লায়েন্টকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে।

এসব দেশের মধ্যে রয়েছে, সৌদি আরব, বাহারাইন, ইউএই, আজারবাইজান, কাজাকিস্তান, টোগো, রুয়ান্ডা, মরক্কো, মেক্সিকো, হাঙ্গেরি ও ইন্ডিয়া। ডেমোক্র্যাসি ইনডেক্স অনুযায়ী এসব দেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি উন্নত নয় এবং সবচেয়ে উন্নত যে দেশটি এখানে আছে সেটি হচ্ছে ইন্ডিয়া। তার র্যাংকিং ৫৩ আর সবচেয়ে খারাপ সৌদি আরবের, তার র্যাংকিং ১৫৬। যে ৫০ হাজার লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল তাদের মধ্য থেকে এক হাজারকে ইতোমধ্যে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে এবং তাদের অনেকের ফোন ফরেনসিক এক্সামিনেশনের জন্য দেওয়া হয়েছিল এবং সবক’টিতেই পেগাসাসের অস্তিত্ব প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ভারতের ৩০০ জনের নাম এসেছে পেগাসাস লিস্টে। তার মধ্যে বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সিবিআই প্রধান, প্রধান বিচারপতি, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নামও এসেছে। রাফায়েল কেলেঙ্কারিতে বিজেপি সরকারের নড়বড়ে অবস্থা ছিল। এই মামলার রায়ের আগে প্রধান বিচারপতির রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ এনেছিল এক নারী। তার ফোনেও পেগাসাস দেওয়া হয়েছিল। রঞ্জন গগৈ ওই কেলেঙ্কারির কয়েক মাস পর রাফায়েল মামলায় বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তাহলে ভারতে পেগাসাস কেলেঙ্কারির পেছনে কে আছে সেটা স্পষ্ট ভারতীয়দের কাছে।

দৈনিক ভাস্কর পত্রিকা পেগাসাস নিয়ে একটা বড় প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। ক’দিন পরে তাদের অফিসে ইনকাম ট্যাক্স কর্তারা হানা দিয়েছে। এই স্ক্যান্ডেলের ইনভেস্টিগেশন হওয়া উচিত বলে ভারতের স্বাধীন মিডিয়াগুলো মত প্রকাশ করছে কিন্তু সরকার এটাকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তদন্ত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, ফ্রান্স তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। মোদির সমর্থকরা প্রচার করছে যে উন্নয়নের গতি থামিয়ে দেওয়ার জন্য এটা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এই অন্ধদের বুঝাবে কে ‘তোদের’ উন্নয়নের গতি থামানোর ষড়যন্ত্রের কারণে তাহলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকেও ফোন বদল করতে হচ্ছে!
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 915
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনগুলোর নাম কি ? সার্চ ইঞ্জিন বা গুগল কিভাবে সার্চ করে?

বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনগুলোর নাম কি ? সার্চ ইঞ্জিন বা গুগল কিভাবে সার্চ করে?

সমগ্র পৃথিবীতে বর্তমানে সর্বমোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা ১৮৮,৩৫,৩১,৯৯৯ (এক শত আটাশি কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ একত্রিশ হাজার নয়শত নিরানব্বই) টি (সূত্র: internetlivestats.com) । এবং বর্তমানে প্রতি এক সেকেন্ডে আরও ২-৩ টি করে ওয়েব সাইট সৃষ্টি হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন এই ওয়েব সাইটগুলো কিংবা অন্যান্য ওয়েব সাইটগুলোও ইউজারদের কিছু সাব ডোমেইন বা সাব ওয়েব সাইট ফ্রিতে দিয়ে থাকে এই সাইট গুলো ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রদান করে থাকে। পৃথিবীর এই সমস্ত ওয়েবসাইট গুলোর এড্রেস বা ঠিকানা্ একজন মানুষের মুখস্ত রাখা সম্ভব না তাই মানুষ ঐ ওয়েব সাইটের নাম মুখস্ত না রেখে তার কাঙ্খিত তথ্যের জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সার্চ দিয়ে তার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে নিতে পারে। আবার যদি কেও সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিতে না পারে তবে অনেক সময় তার সঠিক বা কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। তাই চলুন জানা যাক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো কি কি? এবং এই সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিভাবে আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে এনে দিবে আপনার নিকট আলাদিনের ম্যাজিক ল্যাম্পের মত।এবং সেই সাথে জেনে নিব যেভাবে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করতে হয়।

বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনগুলোর নাম হল:

1. google.com (লেখা/ইমেজ/নিউজ কিংবা ভিডিও সহ সকল উপায়ে) সারা বিশ্বের মানুষ প্রতি ১ দিনে 2. youtube.com (শুধুমাত্র ভিডিও বা অডিও আকারে) 3. bing.com 4. baidu.com 5. yahoo.com 6. myway.com নিম্নে আরও কিছু ওয়েব সাইটের নাম দেয় হল যেগুলো সামাজিক বা অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হলেও তা সার্চ ইঞ্জিনের মত তথ্য অন্বেষণে ব্যবহার করা যায়: 1. Ask.com 2. quora.com 3. Mysearch.com 4. Monstercrawler.com 5. Facebook.com 6. Reddit.com 7. Amazon.com 8. Twitter.com 9. Instagram.com 10. Netflix.com 11. Linkedin.com 12. Espn.com 13. msn.com

এবার আসা যাক সার্চ ইঞ্জিন বা অন্যান্য সার্চ সম্পর্কিত সাইটগুলো কিভাবে কাজ করে ?

সর্ব প্রথমেই যে বিষটি আমরা উল্লেখ করবো তা হল ইন্ডেক্স এর কি ওয়ার্ড।বিষয়টি সম্ভবত বোধগম্য হল না। আর একটি পরিষ্কার করে বলি। প্রথমেই বলা যাক কি ওয়ার্ড সম্পর্কে। ইংরেজি key words যার বাংলা অর্থ হল প্রধান শব্দ বা শব্দগুচ্ছ। অর্থাৎ যে সমস্ত প্রধান প্রধান শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দ্বারা মানুষ সার্চ ইঞ্জিনের নিকট হতে খুঁজে অর্থাৎ যে টাইটেল বা শিরোনাম দিয়ে মানুষ গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে সেই সমস্ত টাইটেল বা শিরোনামকেই কি ওয়ার্ড বলে। এখন কি ওয়ার্ড হতে পারে এক শব্দের বা একের অধিক শব্দের। যদি সেই টাইটেলটি এক, দুই বা তিন শব্দের মধ্যে হয় তবে এটিকে বলা হয় শর্ট টেইল কি ওয়ার্ডস্ এবং যদি এক, দুই বা তিন শব্দের বেশি হয় তবে এটিকে বলে লং টেইল কি ওয়ার্ডস্।

এবার আসা যাক ইন্ডেক্স কি? ইন্ডেক্স একটি ইংরেজি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হল সূচক, নির্ঘন্ট বা সূচিপত্র।www (world wide web) এর জনক টিম বার্নাস্ লি তার প্রথম তৈরী ওয়েবসাইট এর পর থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ওয়েবসাইট তৈরী করেছেন তার একটি তালিকা ইন্ডেক্স আকারে সাজিয়ে রেখেছেন। এই সাজানেরা ক্রমানুসারকেই ইন্ডেক্স বলে এবং এই ইন্ডেক্স এমনভাবে তৈরী যেখানে একটি নাম কখনই ডাবল বা দুই বার হবে না। যেমন আমাদের ওয়েবসাইটের নাম (www.selltoearn.com) যেটি পৃথিবীতে কেবলমাত্র একটিই রয়েছে। তবে হতে পারে শেষের অংশে .net, .org,.co, .bd ইত্যাদি তবে .com দ্বারা আর হবে না।আর selltoearn.com হতে পারে একটি শর্ট টেইল কি ওয়ার্ড যা ইউনিক বা অদ্বিতীয়। ঠিক এমনি ভাবে ওয়েব সাইটের নাম ব্যতিত কতিপয় শব্দগুচ্ছ নিয়েও একটি ব্যাপকবৃস্তিত ইন্ডেক্স ও খুবই কমপ্লেক্স ইন্ডেক্সিং হতে পারে যেকোন ঐ সমস্ত ওয়েব সাইটের মধ্যে অন্তভূক্ত বা লিপিবদ্ধ থাকে। আর এই সমস্ত অটোমেটেড ইন্ডেক্সিং থেকে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনগুলো অধিক ট্রাফিকসম্পন্ন পেজগুলোকে একটি রবোটিক্স সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজে নিয়ে এসে আমাদের সামনে হাজির করে।আর এটা তখন আমরা দেখে খুবই আনন্দ পাই এবং উপকৃত হই।সার্চ ইঞ্জিনগুলো অনেক শক্তিশালি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে থাকে।যেমন গুগল যে সফ্টওয়্যারগুলো বা এলগোরিদম ব্যবহার করে সার্চের জন্য এবং অন্যান্য কার্য সম্পাদন করার জন্য তা হল:

1. robots.txt
2. panda
3. Penguin
4. Humming Bird
5. google crawler

আরেকটি বিষয় যেটির উপর কথা না বললেই নয় তা হল নিশ(niche)যার আভিধানিক অর্থ হল কুলুঙ্গি, যথাযোগ্য স্থান বা উপযুক্ততা। একটি ওয়েব সাইটের নাম নির্বাচন করাকেই নিশ (niche) বলা হয়। কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাযথভাবে উপযুক্ত নাম নির্বাচন করলে ব্যবসায়িকভাবে এবং গুগল সার্চিং এর ক্ষেত্রে ভাল ফল পাওয়া যায়।এর পর আসি ওয়েব পেজ এর বিষয়ে। যেকোন ওয়েব সাইটের প্রথম পেজের নাম যাই থাকুক না কেন কিংবা এর টাইটেল যাই থাকুক না কেন এটির হোম পেজ এর নাম বাধ্যতামূলকভাবে index.php/index.html অর্থাৎ index ব্যবহার করতেই হবে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই ইনডেক্সকেই গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনগুলো clawl করে বা নিখঁতভাবে প্রক্রিয়াকরণ করে তথ্যকে নিয়ে আসে।কিন্তু হোম পেজ ব্যতিত ডাইরেক্টরি পেজ বা অন্যান্য পেজে index ব্যবহার না করাই ভাল।এর কারণ হল ঐ পেজের নির্দিষ্টি নাম থাকলে গুগল খুব দ্রুত তা খুঁজে আনতে পারে।তবে উল্লেখ্য যে, যেকোন ওয়েব পেজের মধ্যে টাইটেল হিসেবে অবশ্যই উক্ত পেজের প্রধান শিরোনামটি লিখতে হবে আর এটিই হল key words মানে প্রধান শব্দ বা শব্দগুচ্ছ (শিরোনাম হিসেবে)। গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনগুলো এই

টাইটেল এর ভিতরে থাকা শিরোনামটিকে কেন্দ্র করে তাদের সার্চ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।সুতরা আমরা বলতে পারি এই টাইটেল এর ভিতরে অবস্থান করা শিরোনাম index এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় sub-index হিসেবে। এই টাইটেল কোড, গুগল এনালিটিক্স স্কৃপ্ট, গুগল সার্চ কনসোল, গুগল সাইট ভেরিফিকেশন, মেটা টেক্সট, ইয়ান্ডেক্স, নরটন, মেটা ডেসক্রিপশন, এমএস ভেলিডেট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় অন পেজ এসইও এর জন্য। এখান আমরা বলতে পারি On page SEO কি ? SEO (Search Engine Optimization)হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে একটি ওয়েব পেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রেরণ করার উপায় অর্থাৎ গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কর্তৃক প্রেরিত নির্দেশনা যা অনুসরণ করলে খুব সহজের ঐ সার্চ ইঞ্জিগুলো উক্ত ওয়েব পেজকে আরও বেশি সহজে ও দ্রুত খুঁজে বের করে সামনে নিয়ে আসতে পারে।
এছাড়াও robots.txt গুগলের একটি ফাইল যা ওয়েব সাইটের ডাইরেক্টরিতে আপলোড করলে ঐ ফাইলের মাধ্যমে গুগল আরও দ্রুত আপনার লেখিলেখি বা অন্যান্য কনটেন্ট খুঁজে নিয়ে আসতে পারে।

SEO দুই প্রকার যথা:

1. On Page SEO (নির্দিষ্ট ওয়েব পেজের মধ্যে যে কার্যক্রম করা হয় তাই)
2. Off Page SEO (নির্দিষ্ট ওয়েব পেজের বাইরে অন্য কোন লিংকের মাধ্যমে উক্ত ওয়েব পেজে ভিজিটর এনে ট্রাফিক বাড়ানোর প্রক্রিয়া হল Off page SEO)
আশা করছি উপরের আলোচনায় অন্তত কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিভাবে কাজ করে।

এবার আলোচনা করা যাক শিরোনাম কি দেবা বা কি ওয়ার্ড এর জন্য রিসার্চ করবো কিভাবে ? কিংবা কোন শিরোনাম দিয়ে সার্চ করলে খুঁব সহজেই আমাদের কাঙ্খিত পেজটি খুব সহজেই খুঁজে পাব?

নিচের এই টাইটেল বা শিরোনাম দিয়ে আপনার গুগল ব্রাউজার থেকে একটু সার্চ দিনতো:

তর্ক-বিতর্ক ও যুক্তি-খন্ডনের টিপস্

এবার আপনি দেখতে পাবেন আমাদের এই লিংকটি আসবে:

https://www.selltoearn.com/facetube/previous/h61.html
আর এভাবেই গুগল আপনার লেখা/বা কনটেন্টকে প্রথম পেজের সর্ব প্রথমে নিয়ে আসবে। আবার যদি নিশ (Niche) নেম যেমন selltoearn দিয়ে সার্চ করেন তবে আমাদের ওয়েবসাইটের নামটি প্রথম পেজের সর্ব প্রথমে দেখা যাবে। এটি হল শর্ট টেইল কি ওয়ার্ড। আর…

তর্ক-বিতর্ক ও যুক্তি-খন্ডনের টিপস্

এই টাইটেল টি হল লং টেইল কি ওয়ার্ড। অতএব, এখন আমরা বলতে পারি যে যেটে কি ওয়ার্ড তারই অন্যান্য নাম হল নিশ (niche), title (শিরোনাম), এবং ইন্ডেক্সিং।

ওয়েব পেজ এর এসইও করা এবং সর্বোত্তম শিরোনাম নির্বাচন করার প্রক্রিয়া:

কীওয়ার্ড রিসার্চকে বর্তমানে ইন্টারনেট জগৎ এর হৃৎপিন্ড বলা হয়। অর্থাৎ আপনি লিখালিখি করেন কিন্তু আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে জানেন না এটা অনেকটা এই রকম যে আপনি কাউকে কিছু গিফট করবেন কিন্তু তার পছন্দ সম্পর্কেই আপনার জানা নেই। ফলে তাকে গিফট দেওয়ার চেষ্টা আপনার ব্যর্থ হতে পারে।তার মানে আপনি লিখবেন একটা নির্দিষ্ট অডিয়েন্সকে টার্গেট করে তাই তাদের সার্চ কীওয়ার্ড আপনারা জানাটা অত্যাবশকীয়।বর্তমান সময়ে যারাই ব্লগ কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্যে কনটেন্ট লিখে থাকেন তারা খুব ভালো করেই জানেন কীওয়ার্ড রিসার্চ কি এবং এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লিখার জন্যে। তাই আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় কীওয়ার্ড রিসার্চ কী এবং এর গুরুত্ব।যারা ইতিমধ্যে ওয়েবসাইট বা ব্লগ পরিচালনা করেন তারা জানেন কীওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে। কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। মানে বেশি সংখ্যক মানুষ আপনার লিখা দেখবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কীওয়ার্ড রিসার্চ কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার লিখার জন্যে।

কীওয়ার্ড রিসার্চ কী?

সাধারণভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার লিখাতে গুগলের রেঙ্ক করাতে পারবেন এবং আপনার লিখাতে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটর লিখা পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ মানুষ যখন কোন নির্দিষ্ট তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করবে তখন তারা খুব সহজেই আপনার লিখা খুঁজে পাবে। এর জন্যে কিছু টুলস আছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন এই মুহূর্তে মানুষ কোন শব্দটি সবচেয়ে বেশি সার্চ করছে দেখার জন্যে। এছাড়া বিগত বছরও মানুষ কোন শব্দ সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছে তাও জানতে পারবেন। যা কিনা আপনার লিখার মূলমন্ত্র। এই যে জানার প্রক্রিয়া তাই হলো, কীওয়ার্ড রিসার্চ।

কিভাবে নির্বাচন করবেন সঠিক কীওয়ার্ড?

মনে করুন, আপনি এখন করোনা ভাইরাস বা ডেংগু নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন টুলস যেমনঃ Google Treads, ব্যবহার করে দেখলেন যে এখন মানুষ কোন টপিকে বেশি সার্চ করছে। যেহেতু ডেংগু ভাইরাস নতুন না, পুরানো তাহলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নতুন ভাইরাস করোনা নিয়ে সার্চ দিবে। এখন আপনি ঠিক করলেন যে, করোনা নিয়ে লিখবেন তখন আপনি খুঁজে দেখলেন যে, করোনা কোন টপিকে মানুষ সবচেয়ে বেশি সার্চ করে দেখে, হতে পারে "করোনার লক্ষণ" তখন আপনি এই কীওয়ার্ড আপনার লিখার জন্যে বাছায় করলেন। তার মানে কীওয়ার্ড তিন বা চার শব্দের লিখার।

এখন প্রশ্ন আসে কীওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আপনার লিখাকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্যে, মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়ার জন্যে কীওয়ার্ড রিসার্চ খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। একটা জিনিস ভালো করে ভেবে দেখুন আপনার মূল সম্পদই হচ্ছে ট্রাফিক বা ভিজিটর। তাই আপনার ব্লগ কিংবা কনটেন্ট রাইটিং এ নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিজিটর নিয়ে আসতে কীওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব অধিক। একজন লেখক কিংবা পাঠকের লিখা দেখা কিংবা লেখকের লেখা শুরুই হয় keyword দিয়ে। ধরুণ আপনি লিখবেন তাহলে আপনার লিখা শুরুই হবে কীওয়ার্ড দিয়ে, ঠিক একিইভাবে পাঠকও এই একিই কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে আপনার লিখা খুঁজবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার লিখার জন্যে কীওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এমন অনেক লেখক আছে যাদের লিখা বা আর্টিকেল অনেক সুন্দর, ইনফরমেটিভ কিন্তু সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করার অভাবে ওই লিখাতে ভালো ট্রাফিক আনতে পারে না। সুতরাং লিখাতে ভিজিটর আনতে সুন্দর লিখার পাশাপাশি কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানাটা খুবিই জরুরি। আপনাকে সময়ের সাথে সাথে টিকে থাকতে হলে স্মার্ট হতে হবে, প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হতে হবে। তা না হলে ডায়নোসরের মতো আপনার লিখাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার ওয়েবসাইটের সাফল্যজনক লাভের জন্যে কীওয়ার্ড কি? এবং এর যথাযথ ব্যবহারের কলা কৌশল জানা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ।

কীওয়ার্ড রিসার্চ কত প্রকার ?

কীওয়ার্ড রিসার্চ সাধারণত দুই প্রকার
; ১. শর্ট টেইল কীওয়ার্ড
২. লং টেইল কীওয়ার্ড
শর্ট টেইল কীওয়ার্ড হলো ওই সকল কীওয়ার্ড যা কিনা তিন বা তার কম শব্দ দিয়ে গঠিত। আর লং টেইল কীওয়ার্ড হলো ওই সকল কীওয়ার্ড যেগুলো তিন বা তার অধিক শব্দ দিয়ে গঠিত। এবারে প্রশ্ন আসে আপনি কি টুলস ব্যবহার করে মোস্ট সার্চিং কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন?

কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানার জন্যে যে টুলস ব্যবহার করা হয় তাকেই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস বলা হয়। তবে কিছু টুলস আছে যেগুলো পেইড অর্থাৎ যেগুলো ব্যবহারের জন্যে আপনাকে মান্থলি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিতে হবে। তবে কিছু কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস আছে ফ্রী। আমি এখানে কিছু টুলস এর নাম দিচ্ছি যেগুলো ব্যবহারের জন্যে আপনাকে টাকা দিতে হবে না। নিচে কিছু কীওয়ার্ড টুলসের নাম দেওয়া হলো;
বিভিন্ন ধরণের কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস
● Google Trends (ফ্রি)
● Google Keyword Planner
● Keyword Tool.oi
● Soovle
● Smeshup
● Keywords Everywhere
এগুলোর মধ্যে একটির ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলো; Google Trends: এই টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি এই বছরের কোন কীওয়ার্ডটি কত শতাংশ মানুষ সার্চ করছে তা আপনি দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয় কোন বিভাগের মানুষ কি পরিমাণে সার্চ করছে তাও দেখতে পাবেন।

এছাড়াও বিগত বছরেও কোন শব্দ বা কোন মানুষ গুগল ট্রেন্ডে ছিলো তাও দেখা যাবে। আপনি চাইলে কমপেয়ার করেও দেখতে পাবেন কোন শব্দ বেশি মানুষ সার্চ করে দেখছে। যা কিনা আপনার লিখার জন্যে সুবিধা হবে কোন টপিকের উপর ভিত্তি করে আপনি লিখবেন।

পরিশেষে…

ভালো করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে, তথ্যবহুল লিখা লিখলে এবং লিখা যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় মানে আপনার লিখা পড়ে খুব সহজেই একটা মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত চাওয়া বুঝে নিতে পারে, তাহলে আপনার লিখা গুগলের সার্চ লিস্টে প্রথম দশে চলে আসবে। আর যদি আপনার লিখার তথ্য পুওর হয় এবং কীওয়ার্ড বেইজ না হয় তাহলে তা গুগুলে থার্ড কিংবা ফোর্থ পেইজে রেফার করে, তাহলে আপনি লিখবেন কিন্তু এই লিখাতে ট্রাফিক বা ভিজিটর খুঁজে পাবেন না।

যেহেতু আপনার লিখার মূল উদ্দেশ্যই লভাংশ পাওয়া, তাই যদি না হয় তাহলে আপনার লেখালিখি ভিত্তিহীন। প্রতি মাসে অন্তত ১০০ জন ভিজিটর যদি আনতে পারেন আপনার লিখাতে তাহলে সেই লিখা অর্থবহ হয়, আর বেশি আনতে পারলে তো আরও ভালো হয়। গতিহীন মানুষ কিংবা যানবাহন কখনোই তার গন্তব্য খুঁজে পায় না। তাই আপনি তাদের দলে না গিয়ে নিজেকে যুগের সাথে আপ টু ডেইট করুন।
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 914
Company Name: Selltoearn.com and Urnisha Jaman Mohona
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Electrical and Electronic/Mechanical Engineering
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

যে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কি করবো ?

যে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কি করবো ?

যেকোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল অথবা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস কেনার পূর্বেই আমাদের মনে যে প্রশ্নটি আসে তা হল উক্ত ডিভাইসটি কেমন হবে অর্থাৎ কতটা কোয়ালিটি সম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।হতে পারে এটি ব্র্যান্ড নিউ অথবা পুরাতন।আমাদের মনে সঙ্কা থাকে যে ডিভাইসটিতে কোন সমস্যা আছে কিনা। ডিভাইটি অফিসিয়াল, আনঅফিসিয়াল অথবা চোরাই পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা হচ্ছে কিনা। উক্ত ডিভাইসটি কোথা থেকে ক্রয় করবো। অনলাইন হতে ক্রয় করলে প্রতারিত হব কিনা। সুতরাং এই সকল প্রকারের আসঙ্কাজনিত সমস্যার জন্য নিচে সমধানের বর্ণনার আলোকপাত করা হল।

বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন টেকনোলোজির সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের তৈরি টেকনোলোজি আজকের সময়ে এতটাই দ্রুত কাজ করে যার সাহায্যে যেকোনো অফিসিয়াল কাজ খুব দ্রুত করা সম্ভব কোনো রকম খাতা কলম ছাড়াই। যেকোনো প্রয়োজনীয় তথ্য নিমিষেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব টেকনোলোজির সাহায্যে। যেমন: বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, টেব, ডিজিটাল ল্যাপটপ কম্পিউটার, ডেস্কটপ, আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন সরন্জাম ইত্যাদি এসব টেকনোলোজি কাজে লাগিয়ে মানুষেরা তাদের কাজ উন্নত করছে এবং জীবনে সফলতা অর্জন করছে। এমনকি পরবর্তী জেনারেশনে এটি আরও উন্নত হবে বলে জানা যায়। তবে টেকনোলোজি ব্যবহার করতে হলে এর প্রতি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যেমন: আমাদের জন্য মোবাইল, টেব নিত্যদিনের সঙ্গী একে অন্যের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। এর ব্যবহার আমরা কম বেশি সবাই জানি। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটার, ডেস্কটপ এসবের ব্যবহার কিছুটা ভিন্ন। খুব সহজেই এটি আয়ত্তে নিয়ে আসা কিছুটা জটিল। তবে এই দুটির মধ্যে যেকোন একটির ব্যবহার সম্পর্কে জানলে দুটি ডিভাইসি আয়ত্তে নিয়ে আসা সম্ভব। তাই আজ আমরা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার সম্পর্কে জানবো, এর কাজ, গঠন, ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলবো।

ল্যাপটপ কি... এটি কিভাবে কাজ করে ??

LAPTOP এর পূর্ণরুপ হলো Lightweight Analytical Platform Total Optimized Power. ল্যাপটপকে নোটবুক কম্পিউটারও বলা হয়। এটি যে কোনো স্থানে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) যার একটি পর্দা এবং বর্ণানুক্রমিক কীবোর্ড রয়েছে। এটি বেশি বড় নয় তাই যেকোনো কাজের জন্য যেকোনো স্থানে নেওয়া সহজ। এটি পরিবহনের জন্য ভাঁজ করা যায়। যেকোনো অবস্থানে থেকে আপনি ল্যাপটপে কাজ করতে পারেন, শুয়ে থাকা অবস্থায়, বসে থাকা অবস্থায়, যেকোনো অবস্থায় থাকাকালীন এটি ব্যবহার যোগ্য। এটি পেশাদাররা অফিসিয়াল কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে । যেকোনো কর্পোরেট সাইট এ ল্যাপটপ ছারা কোনো কাজ করা অসম্ভব।

কোন ল্যাপটপগুলো সবচেয়ে ভালো সার্ভিস প্রোভাইড করে ??

ল্যাপটপের ভালো মন্দ নির্ভর করে মানের উপর। আর ভালো মান নির্ভর করে মূল্যের উপর। যে ল্যাপটপের মূল্য যত বেশি সেই ল্যাপটপের মান ততো বেশি ভালো সার্ভিস প্রোভাইড করবে। লাস্টিং ও করবে অনেকদিন। আমরা যখন কোনো পন্য ক্রয় করি তখন সচরাচর দেখতে পাই যে কমদামি পন্য দেখতে সুন্দর হলেও টেকশই নয়। এটি আসলে সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমনকি ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও। ল্যাপটপের মূল্য যত বেশি হবে তার প্রতিটি অংশগুলো তেমনি ভালো ও উন্নত হবে। যেমন: RAM, PROCESSOR, HARD DISK, DISPLAY, GRAPHIC CARD etc.

ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে কি কি জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ??

আমরা যখনই কোনো ল্যাপটপ ক্রয় করবো তখনই ল্যাপটপ সম্পর্কে কিছু ধারনা রাখা আমাদের জন্য জরুরি। কারণ ল্যাপটপ আমাদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস যার সাহায্যে আমরা অফিসিয়াল অনেক কাজ করি এবং কাজ সংক্রান্ত সকল তথ্য এখানে সংরক্ষণ করি। ফলে ডিভাইসে যাতে ইন্টারনাল কোনো সমস্যা না থাকে বা ডিভাইসটি ক্রয় করার পর যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ল্যাপটপ সম্পর্কে সবরকম তথ্য জেনে ক্রয় করতে হবে।

ল্যাপটপ সম্পর্কে যে তথ্য আমাদের জানতে হবে:

❏ Laptop Processor.
❏ Laptop RAM.
❏ Laptop Hard Disk.
❏ OS - Operating System.
❏ Laptop Display.
❏ Laptop Graphic Card.
❏ Web Camera.
❏ Parts In Laptop.
▪ Laptop Processor :
আমরা যখন কোনো ল্যাপটপ অপারেট করি তখন ভেতরের অংশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Laptop processor যা একপ্রকার Space তৈরি করে তথ্য অন্তর্ভুক্তর জন্য। মার্কেটে মূলত দুটি কোম্পানীর Laptop processor রয়েছে। যেমন: AMD ও INTEL. AMD : ল্যাপটপ ক্রয়ের বাজেটের উপর নির্ভর করে processor ক্রয় করা হয়। সেক্ষেত্রে 20,000 এর নীচে বাজেট থাকলে সেই ল্যাপটপ এর জন্য AMD processor সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। INTEL : এর মূল্য AMD এর তুলনায় কিছুটা বেশি। Laptop এর বাজেট যদি খুব বেশি হয় তবে INTEL Processor সেই ল্যাপটপ এর জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এটি স্পেসভিত্তিক কয়েক রকমের মধ্যে পাওয়া যায়। যেমন: CORE i3 = আপনি যখন ল্যাপটপ এ সাধারন কিছু কাজ করবেন বিভিন্ন ভিডিও বা মুভি দেখা, অনলাইন ক্লাস, পড়াশুনা
সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লাইভ করা ইত্যাদি এসবের জন্য CORE i3 অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।এর মধ্যে Available Space হচ্ছে 2 CORE. CORE i5 = এটি ব্যবহৃত হয় ল্যাপটপ এ বিভিন্ন Game খেলার জন্য, Video Editing এর জন্য, Photoshop এর জন্য, কিছু সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য। এর মধ্যে Available Space হচ্ছে 4 CORE. CORE i7 = এটি অফিসিয়াল বিভিন্ন বড় বড় সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে Available Space হচ্ছে 4-8 CORE. যেকোনো processor ক্রয়ের পূর্বে সবচেয়ে latest generation এর processor ক্রয় করা ভালো ।

▪ Laptop RAM :

একটি ল্যাপটপ এর RAM [ Random Access Memory ] এর উপর নির্ভর করে এখানে কতটুকু তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এটি ল্যাপটপ এর জন্য একটি প্রাথমিক মেমোরি কার্ড। এখানে বিভিন্ন সফটওয়্যারের তথ্য স্টোর করে রাখা হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন সফটওয়্যার চালানোর জন্য যে তথ্য গুলো প্রয়োজন সেগুলো এই মেমোরিতে থাকে। RAM যত বেশি থাকবে ততো বেশি সফটওয়্যার একসাথে ব্যবহার করা যাবে। এখানে শুধুমাত্র সফটওয়্যার গুলোকে চালানোর জন্য যে তথ্য প্রয়োজন সে তথ্য গুলোই থাকে। তাই RAM ক্রয় করতে হবে processor দেখে। Processor কম হলে RAM বেশি ক্রয় করে কোনো কাজে আসবে না।
ল্যাপটপ এর জন্য কম ক্ষমতা সম্পন্ন processor ও RAM এর জন্য CORE i3 - 4gb RAM যথেষ্ঠ এবং বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন processor ও RAM এর জন্য CORE i5 ও i7 - 8gb RAM সর্বনিম্ন এবং সর্বচ্চো যত নেওয়া যায়। RAM এর বর্তমান জেনারেশন হল [DDR, DDR2, DDR3, DDR4] এর মধ্যে সবচেয়ে উন্নত হচ্ছে DDR4.

▪ Laptop Hard Disk:

এখানে বিভিন্ন ফাইল সংরক্ষন করা যায়। এই হার্ড ডিস্ক বা হার্ড ড্রাইভ দু'রকমের হয়। যেমন: 1. HDD- Hard disk drive. 2. SSD- Solid State drive. HDD এর Available size মূলত 512gb, 1tb [ terabyte ] 2tb [ terabyte ] SSD এর Available size 128gb. SSD এর তুলনায় HDD এর মূল্য কম। তবে দুটি যদি একসাথে ল্যাপটপ এ সেট করা যায় তাহলে ল্যাপটপ খুব দ্রুত কাজ করবে। কারন SSD এর মেমোরি অনেক দ্রুত কাজ করে HDD এর তুলনায়।

▪ OS - Operating System :

ল্যাপটপ এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম বেশির ভাগ ব্যবহৃত হয় Microsoft Windows. এটির মূল্য একটু বেশি। তাছারা রয়েছে DOS [ Disk opening system ], Linux, Windows 10 সবচেয়ে ভালো অপারেটিং সিস্টেম।

▪ Laptop Display :

আমরা ল্যাপটপ এ যাই করি তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিসপ্লে। Laptop Display বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে অবশ্যই কাজ বুঝে সেটা ক্রয় করতে হবে। যদি সেটা সবসময় কাজের জন্য নিজের সাথে রাখার জন্য ক্রয় করা হয় তাহলে 13-14inch এর ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ ক্রয় করাটা সবচেয়ে ভালো হবে। আর যদি সেটা কোনো একস্থানে সেটআপের জন্য ক্রয় করা হয় তাহলে 15.6-17.3inch ক্রয় করা যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর রেজুলেশন যাতে Full HD হয়। ফুল এইচ রেজুলেশন এবং ভাল গ্রাফিক্স কার্ডের অভাবে ডিসপ্লের মেধ্যে থাকা বারকোড স্ক্যান করার সময় তা সম্পাদন করা সম্ভব হয় না । এছাড়াও অনলাইনে অনেক ভেরিফিকেশনের কাজ সম্ভব হয় না এই রেজুলেশন যদি ভাল না হয়।

▪ Laptop Graphic Card:

ল্যাপটপ এর জন্য যত ভালো graphic card ক্রয় করা যায় ততো ভালো ও নিখুঁত ভাবে দেখা যায়। বিভিন্ন আর্ট জাতীয় জিনিসের জন্য এটি খুব প্রয়োজনীয়।

▪ Web Camera :

এটি ল্যাপটপ এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে Video Calling এর ক্ষেত্রে।অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি যাতে HD RECORDING প্রক্রিয়ার হয়।

▪ Parts In Laptop:

প্রতিটা ল্যাপটপ এর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা ল্যাপটপ এর বিভিন্ন ইন্টারনাল কাজ পরিচালনা করতে সাহায্য করে। যেমন : USB port, Type C port, HDMI port, 3.5MM Audio port. অবশেষে, জানতে হবে ল্যাপটপ টির WiFi এবং Bluetooth 5th জেনারেশনের কিনা।

ল্যাপটপ কোথা থেকে ক্রয় করলে সবচেয়ে ভালো হবে, অনলাইনে নাকি কোনো শোরুম বা দোকান থেকে ??

যেকোনো পন্য কোথা থেকে ক্রয় করছি সেটা মূল বিষয় নয়। কিন্ত কেমন পন্য ক্রয় করছি সেটাই মূল বিষয় সেটা হতে পারে অনলাইনে বা কোনো ভালো শোরুম বা দোকান থেকে। শোরুম বা দোকান থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে: যদি মনে হয় যে আপনি আপনার ল্যাপটপ কোনো ভালো এবং বড় মানের শোরুম থেকে নিজে গিয়ে পছন্দ করে ক্রয় করতে চান তাহলে আপনি শোরুমে গিয়েই ক্রয় করতে পারেন। ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারনা নিয়ে তারপর ক্রয় করা ভালো হবে।
অনলাইন থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে: আপনার কাছে যদি কোনো শোরুমে বা দোকানে যাওয়ার মতো সময় বিদ্যমান না থাকে এবং আপনি ঘরে বসেই আপনার ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি বিনা দ্বিধায় অনলাইনে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ভালো কোনো পেইজ বা ওয়েবসাইট থেকে সেটা ক্রয় করা সবচেয়ে ভালো হবে। অবশ্যই সেই পেইজ সম্পর্কে ধারনা নিয়ে যাচাই-বাছাই করে পন্য ক্রয় করা যেতে পারে । কারন অনেকের ধারনা অনলাইনে পন্য ক্রয় করলে সেটা মন্দ হয় বা টেকশই হয় না। কিন্তু সব অনলাইন প্রতিষ্ঠান একরকম হয় না। অনেকই অনলাইন প্লটফর্ম থেকে সবচেয়ে ভালো পন্য ক্রয় করে থাকেন।

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করার সুবিধা-অসুবিধাগুলো কি কি ??

যেকোনো টেকনোলোজিকাল পন্য ব্যবহারেই কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকে। যেহেতু এসব ইঞ্জিন বিদ্যুৎ, ব্যাটারী, আইপিএস ইত্যাদি জাতীয় জিনিসের মাধ্যমে কাজ করা হয়।
ল্যাপটপ ব্যবহারে সুবিধা নিম্নরুপ :

❏ যেকোনো স্থানে বহনযোগ্য।
❏ আকারে ছোঁট, হালকা ও চেপ্টা প্রকৃতির অনেকটা বইয়ের ম
ত। ❏ যেকোনো অবস্থানে ব্যবহার যোগ্য।
❏ পরিবহনাধীন ভাঁজ করে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
❏ কোনো বৈদ্যুতিক ঝামেলা ছারাই যেকোনো স্থানে থেকে ল্যাপটপ দিয়ে অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভভ। ল্যাপটপ ব্যবহারে অসুবিধাগুলো নিম্নরুপ:
❏ যেকোনো স্থানে পারমানেন্টলি সেটআপ করার মত কোনো ব্যবস্থা নেই।
❏ ল্যাপটপের মূল্য ডেস্কটপের তুলনায় বেশি।
❏ এটির ব্যাটারী বেকআপ ভালো সার্ভিস তখনই দিবে যখন ল্যাপটপের প্রতিটা অংশ উন্নতমানের হবে।
❏ পানীয় জিনিস থেকে দূরে রাখতে হবে।
❏ ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সময় সচেতন থাকতে হবে।

বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি ল্যাপটপ ব্র্যান্ডের নাম কি ??

1. Apple.
2. Hp - Hewlett-Packard
3. Lenovo.
4. Dell.
5. Acer.
6. Asus.
7. MSI.
8. Microsoft Surface.
9. Razer. 10.Samsung.

এছাড়াও বিশ্বের আরও কিছু শীর্ষস্থানীয় Brand এর নাম নিচে উল্লেখ করা হল:

All Computer Brands

1. Dell ** United States 2. HP *** United States 3. Asus Taiwan 4. Samsung South Korea 5. Sony United States 6. Apple United States 7. Lenovo *** China 8. Acer Taiwan 9. AXIOO International Indonesia 10. Clevo Taiwan

11. Digital Storm United States 12. Doel Bangladesh 13. Elitegroup Computer Systems Taiwan 14. Eurocom Corporation Canada 15. EVE Devices Hong Kong 16. EVGA Corporation United States 17. Falcon Northwest – DRX, TLX United States 18. Google - Chromebook Pixel United States 19. Founder China 20. Getac (zh) Taiwan

21. Gigabyte Technology Taiwan 22. Gradiente Brazil 23. Grundig Germany 24. Hasee China 25. Huawei – Matebook China 26. Hyundai South Korea 27. iball India 28. Končar – Končar Elektronics and Informatics Inc. Croatia 29. Lanix – Lanix Portatiles, Neuron Mexico 30. Lava India

31. Lemote China 32. LG – Gram South Korea 33. Maguay (ro) - My Way Romania 34. Maingear United States 35. Medion – Akoya Germany 36. Meebox – Meebox, Slate Mexico 37. Micro–Star International (MSi) – Megabook, Wind Taiwan 38. Micromax Informatics India 39. Microsoft – Microsoft Surface United States 40. Myria (ro) Romania

41. NEC – VERSA, LaVie Japan 42. nJoy (ro) - Aerial Romania 43. Onkyo – SOTEC Japan 44. Origin PC United States 45. feed me[disambiguation needed] Malaysia 46. Panasonic – Toughbook, Let's Note Japan 47. Positivo Informática – Positivo, Platinum, Aureum, Unique, Premium Brazil 48. Pravetz – 64M Bulgaria 49. Purism – Librem United States 50. Razer – Blade Singapore

51. Samsung Electronics – Samsung Sens, Galaxy Book South Korea 52. Sharp – Mebius Japan 53. Siragon, C.A. Venezuela 54. Starmobile Philippines 55. System76 United States 56. Toshiba - Portege , Tecra , Satellite , Qosmio Japan 57. Tongfang China 58. VAIO Japan 59. Velocity Micro United States 60. Vestel Turkey

61. VIA – NanoBook, pc–1 Initiative United States 62. Vizio United States 63. Walton Bangladesh 64. Wortmann – Terra Mobile Germany 65. Xiaomi - Mi NoteBook China 66. XMG Germany

All Mobile Brands

1. -Samsung ** India/ South Corea 2. - Xiaomi ***** China 3. - Realme ** China 4. - Vivo *** China 5. - Oppo **** China 6. - Huawei China 7. - Apple China 8. - Nokia Finland 9. - Symphony ** China/ Indian 10. - Tecno China

11. - Walton * Bangladesh 12. - itel *** China 13. - Lava India 14. - One Plus ** China 15. - Infinix China 16. - Honor China 17. - Motorola India/USA/ China 18. - Google United States 19. - Lenovo China/Hong Kong 20. - Asus Taiwan

21. - Sony Japan 22. - HTC Taiwan 23. - LG South Corea 24. - BlackBerry Canada/China/ India 25. - Alcatel France/China 26. - TCL China/France 27. - ZTE China 28. - Meizu China 29. - Umidigi China 30. - Maximus/Simens BD BD/China

31. - Helio Taiwan 32. - WE China 33. - Mycell China 34. - Okapia China 35. - Micromax India 36. - Konka China 37. - Fujitsu Japan 38. - Hitachi Japan 39. - Toshiba Japan 40. - BenQ Taiwan 41. Gigabyte Technology Taiwan

বি.দ্র: যেকোন নতুন অথবা পুরাতন মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনার সাথে সাথে এর ওয়ারেন্টি এবং গেরান্টি কার্ড সহ উক্ত প্রোডাক্টটির মেমো বা রসিদ, দোকানের ঠিকানা, এর নিকটবর্তী কাস্টমার কেয়ার, কাস্টমার সার্ভিস এবং উক্ত ব্র্যান্ডের এজেন্ট কোম্পানির স্থায়ীত্বতা, সরকারি অনুমোদন আছে কিনা এবং বর্তমান বিজনেস মার্কেটে এই কোম্পানি, ব্র্যান্ড এবং এজেন্টদের সুনাম কেমন ইত্যাদি।

উপরের ব্র্যান্ডগুলো থেকে আপনার ইচ্ছে মত যে কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বা মোবাইল ডিভাইস আপনি ক্রয়ের পূর্বে এই সম্পর্কে আপনার কিছু ধারনা নেওয়া উচিত। ল্যাপটপ সম্পর্কে ভালো-মন্দ অনেকেই রিভিউ দিয়ে থাকে প্রয়োজনীয় হলে অবশ্যই সেই রিভিউগুলো দেখে ধারনা নিতে পারেন।

পরিশেষে....

যেকোনো টেকনোলোজির জিনিস ক্রয় করা হলে তার ভালো মন্দ সব কিছু জেনে ক্রয় করা উচিত এবং আগে থেকে সেই ডিভাইস সম্পর্কে ধারনা নেওয়া জরুরি।যেটা যত বেশি দামি হবে সেটা ততোবেশি টেকশই হবে এই কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি যে ডিভাইটি আপনি যত বেশি ভালভাবে যাচাই করে নিতে পারবেন তত বেশি আপনার প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর শুধু মাত্র লেপটপ, মোবাইল কিংবা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নয় যেকোন পণ্য ক্রয়ের পূর্বে যদি আমরা ভালভাবে দেখে শুনে যাচাই করে ক্রয় করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা আমাদের জন্য অনেক উপকারি হবে।
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 913
Company Name: Selltoearn.com and Urnisha Jaman Mohona
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Economics/Accounting/Finance
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি কিরুপ (১৯ আগষ্ট, ২০২১ ইং) ? অর্থনীতির চাকা কিভাবে তরান্বিত করা যায় ? এই পরিস্থিতিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাজীবী মানুষের বাস্তব চিত্র:

Offer Details:

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি কিরুপ (১৯ আগষ্ট, ২০২১ ইং) ? অর্থনীতির চাকা কিভাবে তরান্বিত করা যায় ? এই পরিস্থিতিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাজীবী মানুষের বাস্তব চিত্র:

অর্থনীতি কী ?

অর্থনীতি শব্দটির ইংরেজী অর্থ হল Economics।Economics শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে যার অর্থ হল গৃহস্থালী পরিচালনা।আর একটি গৃহস্থালী পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত পরিমান অর্থের প্রয়োজন। তাই একটি পরিবার ও এর গৃহস্থালী পরিচালনা থেকে শুরু করে মানুষের সামগ্রীক চাহিদা, অভাব, উপযোগীতা ও যোগানের লক্ষ্যে অর্থ বা সম্পদ ব্যবহারের মূল নীতিকেই অর্থনীতি বলা হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি কিরুপ ?

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই হতাশাব্যাঞ্জন। বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত হল প্রবাসী আয়, তৈরী পোশাক শিল্প, পাট ও চামড়া দ্রব্য, আইসিটি খাত এবং এছাড়াও আরও কিছু কৃষিজ পণ্য।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সকল প্রকার রপ্তানি আয়ের খাত বন্ধ। স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় দের বছর যাবৎ। শিক্ষক শিক্ষিকাগণ বেকার। বিকল্প আয়ের নেই কোন সু-ব্যবস্থা। পুরো ব্যবসা জগৎ এখন পতনের মুখে। গাড়ির চাকা না ঘুরলে যেমন পরিবহন খাত পঙ্গু তেমনি অর্থনীতির চাকা না ঘুরলে ব্যবসা-বাণিজ্যের খাত অচল।অর্থনীতির আর একটি গোপনীয় সূত্র হল: ‘আপনি যদি কোন পণ্যের সঠিক উপযোগ সৃষ্টি করতে পারেন তবে ঐ ব্যবসা বা পেশায় আপনার সাফল্য নিশ্চিত’। এমন আরও গোপন টিপস্ পেতে আমাদের এই পেজটিতে ভিজিট করুন:
 https://selltoearn.com/article/whatisbusiness.php

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতেকে আরও চাঙ্গা করতে যা প্রয়োজন:

 প্রথমত সকল প্রকার শিল্প-কারখানা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি ও বেসকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে হবে অবিরামভাবে।
 করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধী মেনে যেকোন কাজে নিয়োজিত হতে হবে।
 বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে সরকারের অর্থ বরাদ্দ করতে হবে আরও বেশি আর্থনৈতিক প্রবিদ্ধি বাড়ানোর জন্য।
 কর ফাঁকি, কালো টাকা পাচার, অবৈধ ব্যবসার আমদানী ইত্যাদি বন্ধের লক্ষ্যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
 এছাড়াও বাঙ্গালীকে উন্নত দেশসমূহের ন্যায় আরও বেশি পরিশ্রমী হতে হবে। প্রয়োজনে কর্ম ঘন্টা বাড়িয়ে দিয়ে বেশি বেশি অর্থ উপার্জন করতে হবে। বেশি বেশি অর্থ উপার্জন করলেই অর্থে সুষ্ঠু নীতি বহাল ও বাস্তবায়িত হবে। যতদূর সম্ভব দেশীয় উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যে ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়ে বিদেশী পণ্যের ব্যবহার কমাতে হবে। তাহলেই একমাত্র সম্ভব দেশের অর্থনীতির দৃষ্টিনন্দন সমৃদ্ধি।

আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় দেশসমূহ তাদের অর্থনীতিকে বলিষ্ট রাখতে কতটা ব্যস্ত ও সতর্ক হয়ে পড়েছিল। কারণ তারা জানেন দেশের অর্থনীতিতে ভঙ্গুর অবস্থা হলে বিশ্বের শীর্ষ দেশের নামের তালিকা থেকে তাদের দেশের নাম কাটা পরবে। এবং তারা দিনে দিনে আরও বেশি গরিব হয়ে পরবে।আমরা জানি ‘Money begets money’ অর্থাৎ টাকায় টাকা আনে। ঠিক তেমনি পুঁজিবাদীরা আরও পুঁজি বা অর্থ উপার্জন করে কিন্তু যারা গরিব ও নিম্ববিত্ত তারা দিনে দিনে আরও বেশি শোষিত হয়।

কর্মস্থলে কর্মীদের বৈষম্যের একটি অর্থনৈনিক প্রতিচ্ছবি:

একটি কর্মস্থলে বা কোন অফিস কিংবা কোম্পানিতে আমরা দেখতে পাই যে সেখানে তিন শ্রেণীর কর্মী বিদ্যমান। যেমন:
1. উর্ধ্বতন কর্মকর্তা

2. মধ্যস্তরের কর্মকর্তা

3. এবং অধঃস্তন কর্মকর্তা

উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক এবং মালিক পক্ষের ব্যক্তিদের নিকট সবসময় নিদেজ সাফল্য এবং কৃতিত্ব প্রদর্শনে ব্যস্ত থাকেন। এবং তারা মধ্যস্তরের কর্মীদের শাসন-প্রেরণা কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ আদায় করে নেন।ঠিক তেমনে মধ্যস্তরের কর্মীগণ একই উপায়ে অধঃস্তন কর্মীদের নিকট থেকে কার্য আদায় করে নেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এই অধঃস্তন ও মধ্যস্তরের কর্মীর অভিযোগ কিংবা পরামর্শ কি মালিক শ্রেণী অথবা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শ্রেণীর নিকট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পৌঁছাতে দেন। এই প্রশ্নটির উত্তর আমার জানা নেই। তাহলে পরোক্ষভাবে আমরা এটিও লক্ষ্য করতে পারি যে সকল ক্ষেত্রে একটি বৈষম্য প্রতিনিয়ত বিরাজমান।

এবার আসা যাক সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে শ্রেণীবৈষম্যেল প্রভাব কিরুপ এবং এর প্রতিকারের ব্যবস্থা:

মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব।সৃষ্টিকর্তা মানুষদের এমন ভাবেই সৃষ্টি করেছেন যার মোকাবেলা অন্য কোনো প্রানী করতে পারবে সেটা তাদের সাধ্যের বাহিরে। কিন্তু মানুষেরাই আজ মানুষদের মাঝে বিভিন্নভাবে দ্বন্দের সৃষ্টি করছে।একজনের সাথে আরেকজনের মধ্যে চলছে অর্থের লড়াই, হচ্ছে বিভন্ন শ্রণীর মোকাবেলা। আর সেটা করছে আমাদেরই তৈরি করা সমাজব্যবস্থা। সমাজে তথাকথিত জ্ঞানী ব্যক্তির অভাব নেই বললেই চলে। তাদের কাছে জ্ঞানের ভান্ডার অঢেল। ওনারা বিভিন্নভাবে জ্ঞান সঞ্চয় করেন এবং জ্ঞানগুলো সমাজে বিলিয়ে দেন। আর সেই জ্ঞানগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে বিভিন্ন নিয়ম-নীতি। আর এসব নিয়ম-নীতির মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা মানুষদের মাঝে ভেদাভেদ নামক একটা দেয়াল তৈরি করেছে। সেখানে মানুষদের মাঝে রয়েছে উচু ও নিচু শ্রেণী।

সমাজে মানুষদের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ:

আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে জ্ঞানী ব্যক্তিদের কিছু বানী শুনতে পারি আমরা যে, মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ হয়না, আমরা সবাই মানুষ সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড়পরিচয়।কিন্তু সেই ব্যক্তিরাই আবার সমাজে মানুষদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন।যেমন :

❏উচ্চবিত্ত

❏মধ্যবিত্ত

❏নিম্নবিত্ত

এই প্রতিটি শ্রেণীতে ভাগকরা মানুষরা কোনো না কোনো শ্রেণীর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত আছে।আশ্চর্যের বিষয় হলো মানুষদের তিন শ্রেণীতে ভাগ করলেও এদের গঠন একই কিন্তু আসল ভেদাভেদ হচ্ছে অর্থে, নিমিত্তে, উচ্চবিলাসিতায়, গাড়ী আর বড় বাড়ি নিয়ে।

এখন আমরা জানবো কিসের ভিত্তিতে মানুষদের শ্রেণীবিন্যাস করা হয়??

যার যার উপার্জনের উপর নির্ভর করে মানুষদের তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
❏যারা লাখ-কোটি টাকা উপার্জন করেন তাদের উচ্চবিত্ত বলা হয়।
❏যারা হাজার-লাখের কম বা লাখে পৌঁছানো যায়না এমন উপার্জন করেন তাদের মধ্যবিত্ত বলে।
❏ এবং অবশেষে যারা একশত- হাজারে পৌঁছানো অব্দি সামর্থ্য অর্জন করে তাদের নিম্নবিত্ত বলে।হয়তো বছরে তিন-চার বার এই নিম্ন বিত্ত শ্রেণীর মানুষদের হাজার টাকা দেখার সৌভাগ্য হয় বা ওনারা উপার্জন করতে সক্ষম হন। আর এসব শ্রেণীতে ভাগ হওয়ার ফলেই হয়তো সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা।যাদের সম্মান আমাদের সমাজের কাছে কিঞ্চিত পরিমান।

নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিভাবে তাদের জীবন অতিবাহিত করছেন ??

উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেও নিম্নবিত্ত পরিবারের চাহিদা তুলনামূলক কম তথাপি নেই বললেই চলে।তিন বেলা খাবার খেয়ে, পরিধান করার মতো বস্র পেলেই ওনারা আনন্দে ভাসে।হয়তো এটাই নিম্নবিত্তদের জন্য সর্বচ্চো সুখ, কিন্তু এটুকু চাহিদা মেটানোর সাধ্য ওনাদের থাকেনা। এমনকি সবসময় এই চাহিদা মেটানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনা নিম্নবিত্তদের। তারপরও কোনো অভিযোগ ছারাই দিব্যি জীবন যাপন করছে।কঠোর পরিশ্রম দিয়ে যতটুকু আয় করাযায় তিনবেলা নাহলেও দুবেলা অন্নগ্রহণ করে দেহটাকে সুস্থ রাখতে।

কথায় আছে “পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি”

যদিও এইকথাটা কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে সঠিক কিন্তু সবারক্ষেত্রে নয়। সেটা নিম্নবিত্তদের পরিস্থিতি উপলব্ধি করে বোঝাযায়।তাদের কাছে এই কথার মর্ম ঠিক কতটুকু একমাত্র তারাই ব্যক্ত করতে পারবে।

নিম্নবিত্তদের এই করোনা পরিস্থিতিতে কিরুপ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ??

নিম্নবিত্তদের আয় খুবই সীমিত। তারা যতটুকুই পরিশ্রম করে সারাদিনে তার তুলনায় অর্থ উপার্জন হয় খুবই কম তারপরও দিনশেষে সেটা নিয়েই ঘরে ফিরতে হয় তাদের। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতির জন্য নিম্নবিত্তদের কাজ পাওয়াটাই যেন দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে। কোথাও কাজের কোনো গতি নেই। যারা রিকশা, অটো, ভ্যান চালায় তারা কিছু আয় করতে পারলেও।যারা দিন মজুর, কৃষক, শ্রমিক তাদের কাছে এই লকডাউন সময়ে কাজ নেই বললেই চলে। কোনো রকম এক বেলা অন্নগ্রহণ করলেও অনেক দিন এমনও যায় খালিপেটে কাজের জন্য হণ্য হয়ে ঘোরে কিন্তু কাজের নাগাল পাওনা যায়না। কাজ পেলেও ততটুকু অর্থ উপার্জন হয় না যা দিয়ে দুবেলা নিজের পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারবে। এমনকি গুরুতর অসুস্থ হলেও চিকিৎসা করার কোনো উপায় নেই। যেখানে অন্নগ্রহণ করার ক্ষমতা নেই সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিভাবে খাবে। এমন অনেক পরিবার আছে যারা এই করোনা কালীন আপনজনদের হারিয়েছে, পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম সদস্যকে হারিয়েছে।আর্তনাদ, শোনার মত কেউ নেই অবহেলায় দিন শেষে সব অভিযোগ যেন চোখের জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে।

কিভাবে আমরা এই করোনা পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্তদের সাহায্য করতে পারি ??

❏ কোনো রকম লকডাউনের পূর্বে নিম্নবিত্তের কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
❏ নিম্নবিত্তদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমান খাবার পৌঁছে দেওয়া যাতে লকডাউনে খাবার নিয়ে তাদের কোনো ভোগান্তি না হয়।
❏ গুরুতর অবস্থায় তৎক্ষনাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
❏ থানা বিত্তিক কয়েকজন উচ্চবিত্তদের সাহায্যে নিম্নবিত্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা।
❏ শীতকালে প্রয়োজনীয় বস্র বিতরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
❏ সকল নিম্ন বিত্তদের মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসা।
❏ সাপ্তাহিক বা মাসিকভাবে তাদের ভালো-মন্দের খবরাখবর নেওয়ার পদ্ধতিতে অবলম্বন করা।

এসব উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে নিম্নবিত্তদের কিছুটা সাহায্য করা যেতে পারে।

পরিশেষে...

বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ হলেও অনেক উচ্চবিত্ত পরিবার আছে এদেশে। উচ্চবিত্তদের অপ্রয়োজনীয় কিছু চাহিদা হ্রাস করে এবং উচ্চ বিলাসিতায় তাদের যে অর্থ ব্যয় হয় সেই অর্থ যদি নিম্নবিত্তদের জন্য ব্যয় করে কাজে লাগানো হয় তাহলে হয়তো এই অর্থগুলো প্রকৃত মূল্যে মূল্যায়িত হতো। উচ্চবিত্তরা চাইলেই নিজ নিজ এলাকা, গ্রামে, ইউনিয়নে, থানা ও জেলা-উপজেলায় কিছু অর্থ দিয়ে নিম্নবিত্তদের সাহায্য করতে পারে লকডাউন সময়ে। এবং বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার কৌশল অবলম্বন করতে পারে। তাতে দেশে নিম্নবিত্তরা পরিশ্রম করে তাদের পরিবারকে নিয়ে তিনবেলা খাবার খেয়ে ভালো ভাবে জীবনযাপন করতে পারবে ফলে দারিদ্রতা হ্রাস পাবে।


Offer Source: Plz, click here to show


মিডিয়া এসটিএন**** info@selltoearn.com***

মিডিয়া এসটিএন

Kaliakair, Gazipur, Dhaka, Bangladesh.
https://www.selltoearn.com

প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক: Selltoearn.com

E-mail:selltoearnmoney@gmail.com

উপদেষ্টা সম্পাদক: Selltoearn.com

কারিগরি সহযোগীতায় :
হেমাস আইটি http://www.selltoearn.com

E-mail: info@selltoearn.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার মিডিয়া এসটিএন