Offer Id: 932
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01648483458
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Electrical and Electronic/Mechanical Engineering
Location: GAZIPUR
Offer Title: স্পিকারটি বিক্রয় করা হবে।
Offer Details: এই স্পিকারটি বিক্রয় করা হবে।
উচ্চতা - ২৪ ইঞ্চি।
এক জোড়া সেট।
সুন্দর সাউন্ড কোয়ালিটি।
মাল্টি প্লে সিস্টেম।
কোন প্রকার সমস্যা নেই।
বর্তমান বাজার মূল্য ১৪৫০০/-
যেহেতু পুরাতন তাই এখন এটির বিক্রয় মূল্য মাত্র ৭৫০০/-
ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে কল করুন- 01648483458
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 931
Company Name: Koby Astudillo
Contact No.: 3074325093
E-mail: info@astudillo.bangeshop.com
Business Type: Beauty Care/Lifestyle & Fitness
Location: ABROAD
Offer Title: Bange New Multifunctional Waterproof Anti Thief Shoulder Bag
Offer Details: We wanted to let you know about our new BANGE backpacks and sling bags that just released. Bange is perfect for students, professionals and travelers. The backpacks and sling bags feature a built-in USB charging port, making it easy to charge your devices on the go. Also they are waterproof and anti-theft design, making it ideal for carrying your valuables. Both bags are made of durable and high-quality materials, and are perfect for everyday use or travel. Order yours now at 50% OFF with FREE Shipping: http://bangeshop.com Many Thanks, Koby
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 930
Company Name: selltoearn.com
Contact No.: +8801648483458
E-mail: selltoearnmoney@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: ABROAD
Offer Title: Brand new Drone sale
SKU: GAOTek - GPSD - 133
Categories: Battery-Powered Drones, Close-Range Drones, Collision-Avoidance Drones, Drones, GPS Drones, Medium Drones, Mini Drones
Share:
Description
Features
GPS returns to the take-off point with one button, returns to home with low power, and returns without signal
GPS smart follow: After the aircraft is connected to the GPS, open the APP follow function, and the aircraft will move with the mobile phone
Image follow: 1-5m from the aircraft to identify the subject and automatically follow the flight
Gesture photography recognition: within 1-5m from the aircraft, face the camera to make a photo gesture/camera gesture
Multi-point flight planning for the route: The aircraft will fly autonomously according to the pre-set route, and the player will focus on shooting
Fixed-point surround: find the center point of the surround, and then use the joystick to move the desired surround radius
Aircraft retrieval function: Click the GPS signal icon 3 times to open the map interface, the map displays the last distance, latitude, and longitude position of the aircraft
MV function: filters, video effects, adding background music, picture/video sharing
Forward obstacle avoidance function: The obstacle avoider uses the laser to scan the front 360° to detect whether there are obstacles in front, and the remote control will sound an alarm if the obstacle is detected within 20 meters, and the drone will automatically hover and cannot move forward
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 929
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: DHAKA
Offer Title: iPhone 14 Pro Max Sales
Offer Details:
Description
iPhone 14 Pro Max Price in Bangladesh
The latest iPhone 14 Pro Max price in Bangladesh is 149,999 BDT Gold | International | 128GB. You can buy the iPhone 14 Pro Max at the lowest price from Sumsah Tech in April 2024. .The brand name for the iPhone 14 Pro Max is Apple. To buy other Apple items, go to our website and look for the Apple brand.
iPhone 14 Pro Max
The iPhone 14 Pro Max is Apple’s latest and most advanced smartphone, designed to deliver unparalleled performance and innovation. With a sleek design, powerful hardware, and cutting-edge technology, this model stands out in the competitive smartphone market. At Sumash Tech, we offer the iPhone 14 Pro Max at competitive prices, ensuring you get the best value in Bangladesh. Read on to explore the detailed specifications, features, and reasons why you should choose Sumash Tech for your purchase.
iPhone 14 Pro Max Specifications
To make an informed decision, it's crucial to understand the specifications that make the iPhone 14 Pro Max a standout choice. Here’s a detailed breakdown of its key features:
Display: 6.7-inch Super Retina XDR display with ProMotion technology for smoother scrolling and responsiveness.
Processor: A16 Bionic chip, the fastest in any smartphone, providing incredible speed and efficiency.
Storage Options: Available in 128GB, 256GB, 512GB, and 1TB, catering to varying needs for storage space.
Battery Life: All-day battery life with up to 29 hours of video playback.
Camera System: Pro camera system with 48MP main, 12MP ultra-wide, and 12MP telephoto lenses for exceptional photography and videography.
Operating System: iOS 17, packed with new features and improvements for a seamless user experience.
Water and Dust Resistance: Rated IP68, offering protection against dust and water.
Offer Id: 928
Company Name: Habib Electro Mart & ICT Center
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Wholesale/Retail/Export-Import
Location: GAZIPUR
Offer Title: Habib Electro Mart & ICT Center Offers Hot Sales
Offer Details: Mobile, Computer, Electrical and Electronics Products Sales offer
Habib Electro Mart & ICT Center
কলেজ রোড, সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।
ইমেইল: selltoearn.com@gmail.com
যোগাযোগ: 01823-660266, 01920-325316
Facebook Page: Selltoearn.com Website: www.selltoearn.com
Youtube Channel: Media STN
বি.দ্র: সরাসরি আমাদের ঠিকানায় চলে আসুন অথবা আপনার নিকটবর্তী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর ঠিকানা আমাদের নিকট প্রেরণ করুন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পণ্য আপনার নিকট পৌঁছে যাবে। পণ্যের মূল্য বিকাশ, রকেট অথবা নগদে সেন্ড মানি করুন এই নাম্বারে: 01823660266 ।
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 927
Company Name: Saad Information Technology
Contact No.: 01841902292
E-mail: globalitkg@gmail.com
Business Type: IT/Telecommunication
Location: GAZIPUR
Offer Title: Computer, Mobile and Office Equipment Sale (Retail & Wholesale)
Offer Details: Computer, Mobile and Office Equipment Sale (Retail & Wholesale)
Location: Hall Market, Level - 1 & 2, Kaliakair, Gazipur
Website: saaditbd.com
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 926
Company Name: Habib Electro Mart & ICT Center
Contact No.: 01823660266 / 01920325316
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: GAZIPUR
Offer Title: Click for details
Offer Details: ভর্তি চলছে !.............. ভর্তি চলছে !!................. ভর্তি চলছে !!!
হাবিব আইটি এন্ড ইংলিশ সলিউশন সেন্টার
সাহেব বাজার, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
মোবাইল নং - 01823660266/01920325316
কোর্স ফিচার:
1. স্পোকেন ইংলিশ এন্ড জেনারেল ইংলিশ (সকল শ্রেণী)
2. মাইক্রোসফ্ট অফিস এন্ড কম্পিউটার ফান্ডামেন্টালস্
3. গ্রাফিক ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডিজাইন
4. এসইও, ফ্রিল্যান্সিং এন্ড আউটসোর্সিং
5. ভিডিও এডিটিং, এনিমেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া
6. ক্যাডেট কোচিং, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ও চাকুরীর কোচিং
7. অটো ক্যাড 2ডি ও 3ডি এবং ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং
8. জন্ম সনদের আবেদন ও সংশোধন করা হয়
9. ভোটার আইডির আবেদন ও সংশোধন করা হয়
10. অনলাইনের যাবতীয় কাজের পাশাপাশি আইটি, ইলেক্ট্রিক্যালস্, ইলেক্ট্রনিক্স, হার্ড
ওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের প্রোডাক্ট বিক্রয় করা হয়।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:
মোবাইল নং - 01823660266/01920325316
ই-মেইল: selltoearn.com@gmail.com
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 925
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Culture & Literature
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details
Offer Details:
হীণমন্যতা ও মানসিক অবসাদ কি ? এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি ??
হীণমন্যতা ও মানসিক অবসাদ কি ? এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি ??
ভূমিকা.
আমাদের জীবন খুব বেশি বড় নয়। জন্ম যখন নিয়েছি কোনো না কোনো সময় মৃত্যু আমাদের জন্য অবধারিত। এই জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝে আমরা যেটুকু সময় পাই সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে জীবনকে সুস্থ রেখে সঠিক কাজে ব্যবহার করে জটিল সময়গুলো অতিক্রম করে ভালো জীবন যাপন করার যে লড়াই সেটাই সবচেয়ে কঠিন। জীবনের এই লড়াইয়ে জরিয়ে থাকে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম, প্রশান্তি ও মানসিক চেতনা, ইচ্ছা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন, আবেগ ইত্যাদি এসবের মাধ্যমে মানুষ নিজেদের বাচিঁয়ে রাখে। এক অজানা গন্তব্যের দিকে ছুটে যায় অনিশ্চিত জীবনকে নিশ্চয়তায় পরিনত করতে। সেই পথে থাকে নানা রকম বিপদ, ভয়, কষ্ট, পরিশ্রম, ভালো কিছু করার তাগিদ, জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজানোর ইচ্ছা যা মানুষকে বেচেঁ থাকার সাহস যোগায়। তবে সবার জীবনে সফলতা বিষয়টি কাম্য নয়। কেননা ব্যর্থতা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজ করে। কিন্তু ব্যর্থতাই যদি না থাকে তাহলে জীবনে সফলতার মূল্য কতটুকুই বা বোঝা যায়। কিন্তু সবাই সেই ব্যর্থতা কে গ্রহন করার মতো মানসিক শক্তি নিজের মধ্যে প্রেরণ করতে পারেনা। ফলে মানুষরা হীণমন্যতায় ভোগে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে, সব কাজে সফল হওয়ার আশা, আকাঙ্খা নিমিষেই যেন নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন শারিরীক ভাবেও সব অচল হয়ে পড়ে। কারন মানসিক চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা যেকোনো কিছু করার শক্তি পাই, সাহস পাই। ফলে যখন আমারা মানসিক ভাবে নিজেদের দুর্বল করে ফেলি তখন বেচেঁ থাকার ইচ্ছেটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এই ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে এর মাধ্যমে নিজের মধ্যে নতুন শক্তির সঞ্চার করে এবং পুনরায় জীবনে সফলতার পথে এগিয়ে যায়।
কিন্তু কিভাবে সেটাই আমরা জানবো আজ এই কন্টেন্টির মাধ্যমে..... ""বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন"" কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কিত জড়িপ হতে প্রাপ্ত তথ্য.... করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ্য করা যায় বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী মানসিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা। অনিশ্চয়তার জীবনকে কেন্দ্র করে, পড়ালেখা, চাকুরি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এসব কিছু মিলিয়ে সবারই সাধারন জীবন যাপন ব্যপকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শিক্ষার্থীরা, বলা যায় তরুন সমাজ আজ হুমকির কবলে যারা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের জীবনই এক প্রকার দুঃশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে কেটেছে এই দেড় বছর। আর দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বাল্যবিবাহ।
☑ ২০২১ সালের ১২ থেকে ২৬ সেপ্টম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে একটি জড়িপ পরিচালিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ৯২ টি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের মানসিক অবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, ২ হাজার ৫৫২ শিক্ষার্থী নিজেদের অবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ৮৪ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্থ যার ফলে তাদের মধ্যে ৪ ভাগের ৩ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখার আগ্রহ হারিয়েছেন। এমনকি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
♻ ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যার আওতায় রয়েছে সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ নারী।
♻ তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। ♻ গ্রামে থাকা মানসিক ভাবে হীণমন্যতায় ভোগা শিক্ষার্থীদের হার ৮৬ দশমিক ২ ভাগ।
♻ মানসিক সমস্যা, ভেঙে পড়া, হতাশাগ্রস্থ হওয়া, হীণমন্যতায় ভোগা এসব কিছু বিশ্লেষন করে দেখা যায় পুরুষ শিক্ষার্থীর তুলনায় নারী শিক্ষার্থীর হার ৭ শতাংশ বেশি।
এখন আমরা জানবো কিভাবে মানসিক চিন্তা-ভাবনা আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে ??
মানসিক চিন্তা-ভাবনা এমনই একটি বিষয় যা আমাদের নিজে থেকে নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে না। যে কোনো ক্ষেত্রে এমনকি যে কোনো বিষয়ের জন্য মস্তিষ্ক থেকে মানসিক চিন্তা-ভাবনা আসতে পারে। যদি আমরা সেটা নাও চাই। বলা যায় এটি সৃষ্টিকর্তার তৈরি আমাদের দেহের এমন একটি অংশ যা প্রকৃতিগত ভাবে সেচ্ছায় কাজ করে। যার মধ্যে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কারো হস্তক্ষেপ নেই। যদিও প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত যার মাধ্যমে অনেক কিছুই করা যায়। মস্তিষ্কের সমস্যা বা মানসিক অবনতির জন্য নানা রকম চিকিৎসা রয়েছে দেশ-বিদেশে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে রয়েছে আধুনিক ও উন্নত যন্ত্র বা মেশিন। যার সাহায্যে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, টেকনোলোজি এসব কিছুই কাজ করেনা। যদি না সৃষ্টিকর্তা চান। মানসিক চিন্তা-ভাবনা আমাদের জীবনে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ??
আমরা যদি চাই যে আমরা সুস্থ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করবো। তাহলে প্রথমেই যেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্ক আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনার সঞ্চালন করতে পারি। কারন মস্তিষ্ক থেকেই আমরা মানসিক চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা পেয়ে থাকি। যদি আমাদের এই চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা না থাকে বা কোনো ভাবে সেটার সঞ্চালনে বাধাঁর সৃষ্টি হয় তখনই মানুষ নিজের বোধ-বুদ্ধি, বিবেক সব কিছু হারিয়ে ফেলে। যা ধীরে ধীরে আমাদের শারিরীক কার্যকলাপে প্রভাব ফেলে। আর যখন আমাদের মানসিক ও শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে তখন বেচেঁ থাকাটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে শারিরীক ও মানসিক অবনতির কারনে বিভিন্ন দিক দিয়ে হতাশা, কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি আমাদের সবচেয়ে কাছের মানুষ পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবাই একসময় বিরক্তি প্রকাশ করে যার ফলে মনোবলও হারিয়ে যায়। বিভিন্ন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়। হয়তো অনেকে এই সময়ে চিকিৎসা নেওয়ার মতো অবস্থায় নাও থাকতে পারে। আবার অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। অনিশ্চয়তার এই সময় গুলো অতিক্রম করাটা তখন জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হয়ে দারায়। ফলে বোঝা যায় মানসিক চিন্তা-ভাবনা আমাদের জীবনে সবটুকুতে বিরাজ করে যার প্রভাবে আমাদের নিশ্চিয়তার জীবন অনিশ্চয়তায় পরিনত করতে পারে।
কি কি কারনে মানুষ হীণমন্যতায় ভোগে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে ??
পরিবার, সমাজ নিয়ে আামাদের বসবাস। এর মধ্যে রয়েছে নানা রকম মানুষ যাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা, ইচ্ছা, আকাঙ্খা, আবেগ, বিবেক, মন-মানসিকতা, আচরনের মধ্যে রয়েছে অনেকভিন্নতা বিদ্যমান। তাই এসব কিছু মিলিয়ে একে অন্যের সাথে মিলেমিশে বছরের পর বছর বসবাস করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু তারপরও মানুষ নানা রকম জটিলতা অতিক্রম করে জীবন যাপন করছে। সেখানে এমন নানা রকম ঘটনা ঘটে সেটা হোক সমাজে, পরিবারে বা আমাদের আশেপাশে। সেই ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে ভালো বা মন্দ দুটোরই প্রভাব রয়েছে মানুষের মধ্যে। এটা হতে পারে শারিরীক ভাবে প্রভাব ফেলছে নয়তো মানসিক ভাবে। বেশির ভাগ সময় মানুষ হীণমন্যতায় ভোগে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে। এখন আমরা জানবো কিভাবে এবং কি কারনে মানুষ হীণমন্যতায় ভোগে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে.. কারন গুলো নিম্নে দেওয়া হলো.....
❏ পরিবার থেকে পাওয়া দুঃখ-কষ্ট, খারাপ আচরন, কটু কথা।
❏ বিনা কারনে অপমান, অবাঞ্চিত প্রশ্ন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
❏ বাবা - মায়ের থেকে প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া, ফলে হীণমন্যতায় ভোগা।
❏ অনেক দিন যাবত শারিরীক অসুস্থতা।
❏ পারিবারিক অশান্তি, ঝামেলা।
❏ অর্থের অভাব বা পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট।
❏ প্রতিষ্ঠানে কাজে চাপসৃষ্টির ফলে কাজ থেকে অবসর না পাওয়া।
❏ অর্থের তুলনায় অধিক পরিশ্রম।
❏ বিভিন্ন কাজে ব্যর্থতা।
❏ চাকুরি বা ব্যবসায় নিয়ে হতাশা।
❏ ভালো বেতনে চাকুরি করতে না পারা।
❏ ব্যবসায়ের লোকসানের দায়ভার নেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা না থাকা।
❏ ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় না থাকতে পারা।
❏ অন্যদের মতো দামি পোশাক পরিধান করতে না পারা, দামি মোবাইল ব্যবহার করতে না পারা, দামি গাড়ি এবং বড় বাড়ি না থাকা ইত্যাদি। এরকম আরো অনেক কারনের জন্য মানুষ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। মানুষের মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই খুব নাজুক ও নমনীয় যার মধ্যে সব সহ্য করার ক্ষমতা থাকলেও একসময় সেই সহ্য শক্তির অবসান ঘটে যা মানুষের মানসিক ও শারিরীক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
হীণমন্যতায় ভুক্তভোগী হলে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে কি হতে পারে ??
❏ কর্মে মনোযোগ ব্যহত হতে পারে।
❏ কাজে বা যেকোনো বিষয়ে গতি হ্রাস পেতে পারে।
❏ সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা রাখার ইচ্ছা জন্ম নিতে পারে।
❏ জনসমাগম ছেড়ে একা এবং দূরবর্তী স্থানে বসবাস করার সিদ্ধেন্তে উপলব্ধ হতে পারে।
❏ মন-মেজাজ খিটখিটে ও তিরিক্ষি হয়ে উঠতে পারে।
❏ পরিবারের কথা অমান্য করে অবাধ্য হতে পারে।
❏ অজান্তেই বেআইনি কাজে লিপ্ত হতে পারে।
❏ নেশায় আশক্ত হতে পারে।
❏ ঝুঁকিযুক্ত কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।
❏ ভালো কাজ করার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
❏ ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
❏ জীবনের সবকিছুই অর্থহীন মনে হতে পারে।
❏ মন-মানসিকতা ক্রমশ খারাপের দিকে চালিত হতে পারে। এরকম ভাবে একটা সময় মানুষ নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, বিবেক কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং মানুষটি মানসিক ভাবে বিপাকগ্রস্থে পরিনত হয় যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে ।
হীণমন্যতায় ভোগা বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ার বিষয়টি পরিবারের উপর ও শারিরীক অবস্থার উপর কি কোনো প্রভাব ফেলে ??
হ্যাঁ, অবশ্যই । কারন আমরা সর্বদা কারো না কারো সাথে বসবাস করে থাকি। সেটা হতে পারে বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, যাদের সাথে আমরা পরিবারের মতোই থাকি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ার ফলে আমাদের আচরন, কথা-বার্তা, মিলেমিশে থাকার ধরন এসবের মধ্যে এক অদ্ভুদ পরিবর্তন হয়ে থাকে সেই সুবাধে পরিবারের উপর সেটা প্রভাব ফেলে । আর যদি শারিরীক দিক দিয়ে প্রভাবের কথা আসে তাহলে বলা যায়, একটা মানুষের মানসিক অবস্থা যখন ক্রমশ অবনতির দিকে ধাবিত হয় তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সেই মানুষের শারিরীক অবস্থা। তখন মানসিক অবস্থার পাশাপাশি শারিরীক ভাবেও মানুষটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তখন দুঃশ্চিন্তায় শারিরীক ভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা চিকিৎসকের মতে মানুষের শারিরীক অসুস্থতার ৬০-৭০ শতাংশ কারন থাকে মানসিক অসুস্থতা, দুঃশ্চিন্তা, দুর্বলতা। যেমন : " থায়রয়েড " খুবই পরিচিত একটি নাম। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ ব্যক্তিরা থায়রয়েডের ফলে নানা রকম চিকিৎসা গ্রহন করে থাকে। তথাপি চিকিৎসকের মতে মানসিক দুঃশ্চিন্তার জন্য দেহে থায়রয়েডের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাধে। তাই বলা যায় মানসিক অবস্থার অবনতি শারিরীক অবস্থার উপর বিপুল প্রভাব ফেলতে পারে।
কেউ যখন হীণমন্যতায় ভোগে বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনো সমাধান রয়েছে ??
হ্যাঁ, আমরা যখন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই তখন আমরা নানা রকম ভুল করি তবে আমাদের বোঝার অক্ষমতা হচ্ছে যেকোনো সমস্যার সমাধান আমাদের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। কিন্তু আমরা হয়তো সেটা উপলব্ধি করতে পারি না আর নয়তো সঠিক সময়ে সেটা উপলব্ধি করে ব্যবহার করতে পারি না। সমাধান : পরিবারের সাহায্যে : জন্মগ্রহনের পর থেকে আমাদের বেশির ভাগ সময় কাটানো হয় পরিবারের সাথে। তাই আমাদের বিষয়ে সবচেয়ে ভালো ভাবে যদি কেউ জেনে থাকে সেটা হচ্ছে পরিবার। বিশেষ করে মা-বাবা। মায়েরা সন্তানদের জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি এক অন্যরকম সম্পর্কে আবদ্ধ যার ফলে সন্তানদের কোনো কিছু হলে সবার আগে সেটা মায়েরা উপলব্ধি করতে পারেন। তাই আমরা যখন কোনো কারনে খুব বেশি খারাপ অনুভব করি বা কোনো কাজ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ি, কোনো কথা ভেবে হীণমন্যতায় ভোগী তখন সবচেয়ে বড় সাহায্য পূর্ণ স্থান হচ্ছে পরিবারে মা- বাবা। অনেকেই আছেন বাবার সাথে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে থাকে সেক্ষেত্রে মায়ের সাথে কথা বলা। সেই কথা নিয়ে ভালো-মন্দ আলোচনা করা। সেক্ষেত্রে বিষন্নতা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। এমনকি সেই সমস্যার কোনো না কোনো সমাধান অবশ্যই পাওয়া যাবে। কারন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সন্তানদের কাছে সবচেয়ে ভরসার স্থান হচ্ছে মা। যিনি নিঃস্বার্থ ভাবে সন্তানদের শুভকামনা করে সবসময়। ভাই-বোনের সাহায্যে : বরাবরই আমরা সমবয়সী ভাই-বোনের সাথে সবকিছু খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করতে পছন্দ করি। অনেক সময় এমন হয় যে মা-বাবাদের আমরা সব কথা বলতে পারি না। কিন্তু সেটা ভাই-বোনকে খুব সহজেই বলতে পারি। কেননা সমবয়সী ভাই-বোনের সাথে এক প্রকার বন্ধুসুলভ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে থাকে যার ফলে আমরা যখন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি তখন ভাই-বোনের সাথে আলোচনার মাধ্যমেও আমরা সমাধান আশা করতে পারি। আর যদি সমাধান না ও পাওয়া যায় অন্তত প্রয়োজনে সাহায্য করতে হবে সেই কথাটা জানিয়ে রাখতে পারি। কাছের সহপাঠীদের সাহায্যে : যখন আমরা একান্তভাবেই পরিবারের কারো সাথে কথা বলতে পারি না আমাদের সমস্যা নিয়ে। তখন আমরা আমাদের খুব কাছের কিছু সহপাঠী বা বন্ধু-বান্ধবী যারা আমাদের শুভাকাঙ্খী তাদের সাথে মানসিক ভাবে কেন হীণমন্যতায় ভুগছী বা কেন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি সেই কথা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। কারন সমবয়সী হওতার ফলে তারা আমাদের পরিস্থিতি খুব ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পারে। হতে পারে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার উপায় তাদের কাছেও থাকতে পারে। চিকিৎসকের সাহায্যে : অনেক সময় আমাদের মানসিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়ে থাকে যার ফলে চিকিৎসকের কাছে থেকে চিকিৎসা গ্রহনের উপদ্রব হয়। অনেক দিন যাবত একটা বিষয় নিজের মধ্যে চেপে রাখা দুঃশ্চিন্তা করা, সেটা নিয়ে হীণমন্যতায় ভোগা, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া একসময় আমাদের শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটায়। তখন আমাদের বিভিন্ন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়। আমরা যখন চিকিৎসকের কাছে যাই তখন যেকোনো চিকিৎসার পূর্বে আমাদের সবরকম সমস্যার কথা চিকিৎসককে জানাতে হয় সেটা হোক শারীরিক বা মানসিক তারপর সেই অনুযায়ী চিকিৎসক চিকিৎসা করে থাকেন। এর ফলে দেখা যায় আমরা আমাদের সব কথা চিকিৎসকের সাথে বিনা সংকোচে বলি এবং চিকিৎসক ওনার সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব সমাধান দিয়ে থাকেন। [ Psychologist ] মনোবিজ্ঞানীর সাহায্যে : যখন আমরা আমাদের মানসিক অবস্থার অবনতির কারন খুব সামান্য বলে কারো সাথে আলোচনা করতে পারি না। কিন্তু এই মানসিক অবস্থার অবসান না করলেই নয় যার ফলে মানসিক বা শারীরিক প্রশান্তি লাভ হচ্ছে না। তখন আমাদের উচিত [ Psychologist ] মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া। একজন সফল মনোবিজ্ঞানী যেকোনো মানুষের মনে চেপে রাখা কথা, দুঃশ্চিন্তার কারন যখন জানতে পারে তখনই তিনি উপলব্ধি করতে পারেন যে মানসিক ভাবে এসব কিভাবে এবং কতটা প্রভাব ফেলছে। যেহেতু একজন মনোবিজ্ঞানী মনের চিকিৎসক হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করে। যার ফলে অনেকেই ভাবতে পারে যে সমস্যা হচ্ছে মানসিক যা মস্তিষ্ক থেকে সৃষ্ট। তবে আমরা এই কথা থেকে খুব কম মানুষই অবগত যে একজন মানুষের মনের সাথে মস্তিষ্ক অতোপ্রতো ভাবে জড়িত। তাই [ Psychologist ] মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া খুব একটা ভুল সিদ্ধান্ত নয়। একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে সেই কৌশলটা রয়েছে যার মাধ্যমে সেই মানুষটির মনের কথা কিভাবে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলছে এবং সেই প্রভাবটা কিভাবে কাটানো যায় তিনি সেটা চিহ্নিত করতে পারেন এবং সমাধান ও দিতে পারেন। [ Consultant ] পরামর্শদাতার সাহায্যে : অনেক সময় এমন দেখা যায় যে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে হয়তো অনেকের সাথেই আলোচনা করে থাকি তবে ঠিক বা প্রয়োজনীয় কোনো পরামর্শ পাইনা। তখন আমাদের উচিত [ Consultant ] পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া। একজন পেশাদার পরামর্শদাতা মানসিক অবস্থা বিশ্লেষন করে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কেননা যখন একজন পরামর্শদাতা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া, হীণমন্যতায় ভোগা কোনো অসুস্থ ব্যক্তির সাথে কথা বলেন তখন তাদের কৌশল সেই ব্যক্তির ভেতরের সবরকম কথা যাতে বলে সেটার জন্য বাধ্য করেন। এখন অনেকেই ভাবতে পারে হয়তো বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে কথা গুলো বলানো হয়। কিন্তু সেটা একেবারেই নয় কারন সেই [ Consultant ] পরামর্শদাতা তখন এতটাই সংবেদনশীল ও বন্ধুসুলভ আচরন করেন যার ফলে বলা যায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া, হীণমন্যতায় ভোগা ব্যক্তিটি সেচ্ছায় সেই সব কথা বলতে চায় যার জন্য তিনি দিনের পর দিন অসুস্থতায় পরিনত হচ্ছে।
কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে কী মানসিক অবস্থার অবনতির সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে ??
কাউন্সেলিং এমন একটি বিষয় যা আমাদের সবার করা উচিত। আমরা যত বেশি পরিবারের সাথে ভাই-বোনদের সাথে যে কোনো কথা, কাজ, সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো ততো বেশি আমরা দুঃশ্চিন্তা করা, ভেঙে পড়া, হীণমন্যতায় ভোগা, খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে পারবো। আমরা অনেক বেশি মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, টেকনোলজীর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছি। ডিজিটাল যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলার যে চাহিদা আমাদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা আমাদের মেশিনে পরিবর্তন করে দিয়েছে। যার ফলে আমরা আগের মতো পরিবারের সাথে কথা বলা, সময় কাটানো, ভালো-মন্দ কথা নিয়ে আলোচনা করা, কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বড় বা গুরুজনদের পরামর্শ নেওয়া, ভাই-বোনদের সাথে খেলা করা, থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও এখন খেলার জন্য বিরক্ত বা উত্তক্ত করেনা। কারন তারা এখন ফোনে আসক্ত। সেখানে বিভিন্ন গেমস, ফানি ভিডিও, কার্টুন দেখে নিজেদের সময় ব্যয় করে। এখন বর্তমান সময় এমন দারিয়েছে সবাই আমরা নিজের সমস্যার সমাধান কোনো আলোচনা ছাড়াই করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে বেশির ভাগ সময়ই ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যার ফলে নতুনত্ব সমস্যার সৃষ্টি হয় এমনকি বিপদও বৃদ্ধি পায়।
আমরা যাতে মানসিক ভাবে না ভেঙে পড়ি বা হীণমন্যতায় না ভোগী তার জন্য কি করণীয় ???
▪ আমাদের উচিত সবসময় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে পরিবারের গুরুজনদের সাথে পরামর্শ করা।
▪ কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে সে সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ গ্রহনের পূর্বে পরিবারের সদস্যদের সেই সম্পর্কে অবগত করা।
▪ বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের যতটুকু সম্ভব সময় দেওয়া। অনেক সময় বাবা-মায়ের অবহেলার ফলে সন্তানরা হীণমন্যতায় ভোগে।
▪ একাকীত্ব কাটানোর জন্য মোবাইল, লেপটপ এসবকে সঙ্গী না বানিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো, বই পড়া, সাহিত্য চর্চা এসবের মাধ্যমে সময়কে কাজে লাগানো।
▪ বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে উভয়ই রান্নায় খুব ভালো পারদর্শী হওয়ার জন্য অবসর সময়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করে। এটিও মানসিক প্রশান্তি দিয়ে থাকে কারন এর সাথে জড়িত থাকে ইচ্ছা, আবেগ, ভালবাসা।
▪ ছোট ভাই-বোনদের সাথে সময় কাটানো ফলে আমাদেরও সময় ভালো ভাবে কাটবে এবং ছোটরাও মোবাইলে আসক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকবে।
▪ প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা-দাদী, নানা-নানী থাকে। হাতে সময় থাকলে ওনাদের সাথে গল্প করা। ফলে ওনারা বৃদ্ধ বয়সে মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারে।
▪ ভালো সহপাঠীদের সাথে সম্পর্ক রাখা। সেক্ষেত্রে ভালো কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা যায়।
▪ ড্রইং বা আর্ট করা, এটি আমাদের মধ্যে থাকা মানসিক স্মরন শক্তিকে ছবিতে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজেদের মানসিক চিন্তার প্রতিবিম্ব হাতে কলমে খাতায় আঁকাআঁকির মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে।
▪ আমাদের মধ্যে এমন অনেক সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে যা আমরা ভবিষ্যতে নিজেদের পেশা হিসেবে চিহ্নিত করে রাখি। সেই প্রতিভাকে কিভাবে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেই সম্পর্কিত কাজের সাথে নিজেকে জড়িত রাখা।
▪ বিভিন্ন ফুল ও ফলের বাগান করা। কারন এর ফলে মন ভালো থাকে।
▪ মানসিক অবস্থার পাশাপাশি শরীর সাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কিছু সময় নির্ধারন করে প্রতিদিন যোগা, ব্যায়াম করা যেতে পারে।
▪ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলে কোনো রকম দুঃশ্চিন্তা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
▪ মন্দ, বেআইনি এবং অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকা। বেশির ভাগ সময় ছেলে-মেয়েরা খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে, আচরনে পরিবর্তন আসে ও হীণমন্যতায় ভোগে।
উপসংহার...
জীবনে চলার পথে নানা রকম বাধাঁ, বিপদ, কষ্ট আসবে সেটাই মূলত স্বাভাবিক। আর এই স্বাভাবিক জিনিসটা মেনে নিয়ে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলার লড়াই আমাদেরই লড়তে হবে। কারন এসব আমাদের জীবনকে শুধুমাত্র ব্যস্ত ও বিচলিত করে। তাই আমরা যদি একবার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করি তাহলেই উপলব্ধি করতে পারবো যে জীবন কতটা সুন্দর, যা সবাই পায় না, সেটা আমরা পেয়েছি তাতেই আমরা পরম সৌভাগ্যের অধিকারি বাকি সব ঠুনকো বিষয়। ঠিক এখানেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে। যার ফলে আমরা যে কোনো কারনেই হোক না কেন কখনোই মানসিক ভাবে ভেঙে না পড়ে দুর্বল না হয়ে কঠিন সময় গুলোতে যে কোনো সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারবো।
Offer Id: 924
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Career
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details
Offer Details:
ইন্টারভিউ বোর্ডে সফল হওয়ার অব্যর্থ কিছু টিপস:
ইন্টারভিউ বোর্ডে সফল হওয়ার অব্যর্থ কিছু টিপস:
পৃথিবী পাল্টাচ্ছে, জনসংখ্যার বৃদ্ধি হচ্ছে, তার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষিত বেকার ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা। আর এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মহামারী করোনা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেকারত্ব বাড়লেও কিছু মানুষ কিন্তু ঠিকিই তাদের জায়গা তৈরী করে নেয়। তাহলে তারা কেন এগিয়ে? আপনি কেন পেছনে পরে রয়েছেন?
কারণ খুঁজেছেন কখনও? খুঁজলে দেখবেন তারা আপনার চেয়ে এই জন্যে এগিয়ে কারণ তারা পড়াশুনার পাশাপাশি ভাইভাতে কিভাবে এগিয়ে থাকবে এই জন্যে আগে থেকেই প্রিপারেশন নিতে থাকে।
যাইহোক যেকোন চাকরী পাওয়ার ক্ষেত্রে মুখোমুখি ভাইবা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সময়ের স্রোতে এই ভাইভা প্রক্রিয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। তাই আপনাকে চাকরী প্রিপারেশন নেওয়ার সাথে সাথে ভাইভার জন্যেও তৈরী হতে হয়।
এই ভাইভাতে ভালো করলে চাকরী পাওয়ার পসিবিলিটি যেমন বেড়ে যায় ঠিক তেমনি খারাপ করলে না পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
কারণ এই মুখোমুখি ইন্টারভিউতে নিয়োগকর্তা বা যে ইন্টারভিউ নিবেন তিনি আপনার ড্রেসআপ, হাটাচলা এর সাথে করে আপনার বাচনভঙ্গি, আইকিউ সবই দেখেন যাকিনা ওদের কম্পানির জন্যে খুবিই গুরুত্বপূর্ণ।
এখন ড্রেসআপ বা হাটাচলা আপনি শিখে নিলেন কারণ এগুলো এতো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু কি বলবেন সেটা? এর কি কোন সিলেবাস আছে? না সিলেবাস নেই কিন্তু সিলেবাস না থাকলে ভাইবা একটা প্যাটার্ন রয়েছে। শুধু প্রয়োজন ঠিকমত অনুশীলন।
তবে আপনি যথাযথ ভাবে রিসার্চ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারবেন। আজকে এমনি অব্যর্থ কিছু টিপ্স নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। নিম্নে আলোচনা করা হলো;
১. গবেষণা করুনঃ যেকোন বিষয়ে যথযথা জানাশুনা বা গবেষণা অগ্রিম করে নেওয়া ওই বিষয় আপনার কাছে যেমন করে সহজ করে দেয় তেমনি আপনার কনফিডেন্সও বাড়িয়ে দেয়।
আপনার যখন ইন্টারভিউ কল আসে তখন আপনার ওই পোস্টের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। যেমন ধরেন আপনার কল সেন্টার এক্সিকিউটিভের জন্যে চাকরীর ইন্টারভিউয়ের জন্যে কল আসল।
আপনি প্রথমেই এই পোস্টের রেসপন্সসিবিলি প্রথমেই ভালও করে জেনে যাবেন। যাতে করে ইন্টারবোর্ডের মানুষ প্রশ্ন করার সাথে সাথে আপনি উত্তর দিতে পারেন। তখন উনারা ভাববেন যে আপনি সেন্সিপল কাজের প্রতি নিষ্ঠা আছে আপনার।
দ্বিতীয়ত যারা ইন্টারভিউ নিবে তাদের সম্পর্কে একটু ভালও ভাবে জেনে যাবেন। অনেক সময় দেখা যায় ইন্টারভিউ দিতে গেছে কিন্তু কম্পানির নামই ভালো করে জানে না, এটা আপনাকে চাকরী না পাওয়ার দিকে নিয়ে যাবে। কম্পানি উচ্চ পদস্থ মানুষ সম্পর্কে জানার একটা খুবিই ভালো মাধ্যম হচ্ছে বর্তমানে ওই কম্পানির ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইট ঘেটে আপনি সব ভালো আত্তস্থ করে নিবেন। ওই কম্পানি কি করে সমাজে? ওদের কাজ কি? কি কি পোডাক্ট রয়েছে? ইত্যাদি।
ইন্টারভিউ শেষ হবার পর আপনি ওদের কম্পানি সম্পর্কে এমন ভাবে প্রশ্ন করবেন যেন আপনি ভালো করে রিসার্চ করে আসছেন এটা ওনারা বুঝতে পারেন। এতে করে আপনার চাকরী পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. আপনার কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি করুনঃ যেকোন জিনিস যত বেশি অনুশীলন করবেন তত ভালো পারবেন আপনি। কথায় আছে, "প্র্যাকটিস মেকস অ্যা ম্যান পারফেক্ট"।
ভালো করে রিসার্চ করার ফলে আপনি খুব সহজেই জেনে যাবেন আপনাকে কি প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্ন গুলো একটি লিস্ট তৈরী করুন। এছাড়াও ইউটিউব বা গুগলে সার্চ করলে আপনি এমন অনেক ভিডিও বা প্রশ্ন খুঁজে পাবেন। সেগুলো নোট করুন। সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো খাতায় লিখে ভালো করে অনুশীলন করুন।
যেমনঃ শুরুতেই হতে পারে ইনট্রুডিউস ইউরসেল্ফ। আপনি নিজের সম্পর্কে গল্পের ছলে মিষ্টি হাসি দিয়ে সুন্দর করে বলবেন, দেখবেন কথাতে যেন জড়তা না আসে। আপনাকে যখনই কোন প্রশ্ন করবে, এর উত্তর আপনি সাবলীল ভাবে দিন যেন উত্তর গুলো শুনতে মুখস্তের মত না শুনায়। নরমালি আমরা যেভাবে কথা বলি সেই ভাবে ধীরে ধীরে বলতে হবে। সেই জন্যে বন্ধুদের সাথে এই কমন প্রশ্নের কথাগুলো বলে বার বার প্যাক্টিস করবেন।
যখন কোন কিছু পারেন বলবেন, তখন সেটা করেছেন এমন উদাহরণ দিয়ে বলবেন। যেমনঃ আমি ভালো উপস্থাপনা বা সুন্দর করে কথা বলতে পারি এটা না বলে বলবেন আমি ডিবেটর ছিলাম, ভার্সিটি থেকে ন্যাশনাল পর্যায়ে ডিবেট করেছি। বা এমনও হতে পারে ভার্সিটি বড় কোন অনুষ্ঠানে আপনি উপস্থাপিকা ছিলেন এমন কিছু।
তাহলেএটা বেশি ইফেক্টিভ হয়। আর এতে করে আপনার চাকরী পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩.রুচিশীল পোশাকের দিকে মনোযোগী হোনঃ সুন্দরের প্রতি আমাদের ভালো লাগা সৃষ্টির শুরু থেকেই। কথায় আছে, "আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারি"। মানুষ কেমন বা তার রুচি কেমন তা পোশাক দেখেও জাজ করা হয়।
ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা থাকবেন তারা আপনার ফার্স্ট এপিয়ারেন্স দেখেই বুঝে ফেলবেন আপনাকে নেওয়া যাবে কি যাবে না। অনেক সময় এমনও হয় আপনি স্টুডেন্ট ভালো এবং ইন্টারবোর্ডে ইন্টারভিউ ভালো দিয়েছেন কিন্তু তারপরও সিলেক্ট হোন নি এর কারণ হতে পারে আপনার পোশাক। সচেতন মানুষ মাত্রই সে সকল বিষয়ের প্রতি মনোযোগি হবে।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আপনি কিভাবে যাবেন? ছেলেদের ক্ষেত্রে ফরমাল ড্রেস হলো শার্ট ও প্যান্ট এবং তার সাথে অবশ্যই জুতা মুজা, আপনি এমনি ক্যাজুয়াল জুতা পরে চলে গেলে রিজেক্ট হয়ে যাবেন। এখন আপনি যদি শার্ট এর পরিবর্তে টি শার্ট বা পাঞ্জাবি পরে চলে যান তাহলেও আনকোয়ালিফাইড হয়ে যাবেন।
আর মেয়েরা শাড়ি বা থ্রি যেটা ইচ্ছা পরতে পারেন। তবে রং অবশ্যই রুচিশীল মানে হালকা কালারের হতে হবে। চোখে শুভনীয় এমন কিছু। লাল কিংবা দেখতে চটকা কালার ফর্মাল পোশাকে মধ্যে পরে না, এটা মেয়েদের জন্যেও একিই রকম।
তবে আপনার পোশাক যেন সুন্দর করে আয়রন করা থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন, কুচকানো আলমারী থেকে মাত্র বের করা পোশাক পরে যাবেন না। আপনার শরীর বা মুখ থেকে যেন দুর্গন্ধ না বের হয়। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেক সময় এমন অনেক ক্যান্ডিডেট থাকে যাদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে চাকরী থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই আপনি এই ব্যাপারে সচেতন হোন। স্মার্টভাবে গেলে আপনার চাকরী পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪.সময়নিষ্ঠ হোনঃ শুধুমাত্র চাকরী পরিক্ষা নয় জীবনের যেকোন কাজে সময় নিষ্ঠ হওয়াটা খুবিই প্রয়োজন। সময়ের অন্তত ৩০ কিংবা ১ ঘন্টা আগে আপনি পৌছে যাবেন। তাহলে সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে পারবেন এবং রিলাক্স হয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকতে পারবেন ফলে ইন্টারভিউও ভালো হবে।
কিন্তু আপনি যদি সময় কম নিয়ে বের হোন এবং রাস্তার ট্রাফিকে পরে আপনার লেট হয়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে আপনি নার্ভাস থাকবেন ফলে দেখা যাবে আপনার ইন্টারভিউ ভালো হবে না। সেক্ষেত্রে আপনার রিজেক্ট হবার সম্ভাবনা বেড়ে যান। আপনার আগে পৌছাতে হবে মনে রাখবেন ইন্টারভিউ বোর্ডের লোকের আপনার জন্যে অপেক্ষা করবেন না। সুতরাং প্রয়োজনের তাগিদে সচেতন হোন।
৫. কনফিডেন্স রাখুন তবে ওভার কনফিডেন্স নয়ঃ কনফিডেন্স থাকাটা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আপনাকে যখনই কোন প্রশ্ন করা হবে তখনই ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে বলবেন কিন্তু অবশ্যই খেয়াল কথাগুলো শুনতে যেন মুখস্তের মত না শুনায়।
আর যদি না মনে থাকে তাহলে কিছু সময় নিয়ে বলবেন দুঃখিত এখন মনে করতে পারছি না কিন্তু বানিয়ে মিথ্যা বলবেন। আপনাকে যারা প্রশ্ন করবেন তারা অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানে আপনার চেয়ে বেশি পারদর্শী। তাই অবশ্যই উনাদের সামনে নিজের ওভার কনফিডেন্স দেখাতে যাবেন না। যখন আপনি ভুল কনফিডেন্স নিয়ে বলবেন সেটা নেগেটিভ মার্ক নিয়ে আসবে যা আপনার জন্যে কখনোই ভাল নয়।
এছাড়াও যখনই আপনি রুমে ঢুকে হ্যান্ডসেক করবেন কিংবা চেয়ার টেনে বসবেন এগুলো খুবিই কনফিডেন্সের সাথে করুন। যাতে করে উনারা বুঝতে পারেন আপনি যথেষ্ট স্পার্ট। খেয়াল রাখবেন আপনার হাত যেন না কাঁপে। সাথে করে অবশ্যই টিস্যু রাখবেন যাতে করে ঘেমে গেলে মুছতে পারেন।
আপনার হাত ঘামা কিংবা পোশাক ঘেমে গেলে আপনাকে দেখতে একটু অস্বাভাবিক লাগবে। এগুলো যদি আপনি ঠিকঠাক মত মেনে চলেন তাহলে আপনার চাকরী পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৬. স্বাভাবিক থাকুনঃ ইন্টারভিউতে আপনাকে যখনই কোন প্রশ্ন করবে তখন একটা হাসি দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিবেন। অতিরিক্ত হেসে ফেলবেন না কিংবা আবার ভয়ে কেঁদে দিবেন না।
নরমাল থাকুন। ইন্টারভিউকে আপনি একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন যাতে করে সেটা অতিক্রম করাটা আপনার জন্যে সহজ হয়ে যায়। এর জন্যে আয়নার সামনে কিংবা বন্ধুদের সাথে কমন প্রশ্নগুলো বারবার রিহার্সাল করুন ফলে আপনার জন্যে সেটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কথা বলার সময় হাত-পা অনেকে ছুড়াছুড়ি করেন কিংবা অনেক তাড়াহুড়া করেন। এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আপনি এই নিয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে দেখতে পারেন।
৭. ধৈর্য্য রাখাঃ অনেক সময় ইন্টারভিউতে আপনাকে এমন প্রশ্ন করা হবে যেটা হয়ত আপনার সাবজেক্ট এর সাথে মিলবে না। কিন্তু আপনি ধৈর্য্য হারিয়ে বলবেন না এটা কেমন প্রশ্ন হলো, এটা তো আমার সাবজেক্টের সাথে মিলে না। অদরকারী প্রশ্ন এসব কিছু বলবেন না।
যদি পারেন তাহলে সুন্দর করে উত্তর দিবেন আর না পারলে সরি বলবেন। অনেক সময় বস দেখতে চায় আপনি কারও আন্ডারে কাজ করলে কাজ করতে পারবেন কিনা, কারও কমান্ড আপনি শুনবেন কিনা। তাই আপনাকে অনেক অদ্ভুদ প্রশ্ন করে তারা আপনার ধৈর্য্য যাচাই করতে চায়।
তাই এই সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য হারিয়ে নয়, বুদ্ধির সাথে ধৈর্য্য নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। তাহলে আপনার চাকরী হবে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
৮. ক্যারিশমাটিক হোনঃ মুখোমুখি ইন্টারভিউ একটা বড় সুযোগ আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা দেওয়ার। এই সময় আপনি নিজেকে এমনভাবে তুলে ধরবেন যাতে করে তারা আপনাকে দ্বিতীয়বার ডাকতে বাধ্য হয়।
যেমনঃ আপনার ইন্টারভিউ সেলসে হলে আপনি ইন্টারভিউতে বলবেন আপনি যোগাযোগে খুবিই ভালো। ইংরেজী এবং বাংলা উভয় ভাষাতে আপনার দক্ষতা আছে। এবং কথাগুলো বলবেন খুবিই সুন্দর করে গুছিয়ে। এর ফলে উনাদের একটা ভালো দৃষ্টি তৈরী হবে আপনার প্রতি।
তাই নিজেকে ভালো করে জানুন, আপনি কি পারেন? কিসে আপনি বাকী সবার চেয়ে এগিয়ে? এই সুবর্ণ সুযোগের ঠিকঠাক মত ব্যবহার করবেন। তাহলে ইন্টারভিউ হোল্ডারদের একটা পজিটিভ ইম্প্যাক্ট তৈরী হবে আপনার প্রতি। যাকিনা আপনার চাকরী পাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৯. খেয় হারাবেন নাঃ অনেক সময় মানুষ ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকে নার্ভাস হয়ে যায়, সেই জন্যে ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢোকার আগে জোরে জোরে ১০ নিঃশ্বাস নিয়ে নিবেন, এতে করে আপনার প্রেশারও নরমাল থাকবে। আর এই নার্ভাসের ফলে দেখা যায় এমন অনেক কমন জিনিসও আছে যেগুল পারে কিন্তু অতিরিক্ত নার্ভাসনেসের কারণে বলতে পারে না।
দুই ধরণের মানুষ ইন্টারভিউ বোর্ডে কিছু বলতে পারে না এক যারা একদমই কেয়ারলেস থাকে আর দুই যারা বেশি চিন্তা করে। তাই আপনি এদের মাঝামাঝি অবস্থান করবেন, বেশি চিন্তা কিংবা একে বারে কম চিন্তা আপনাকে আপনার গতি থেলে দূরে নিয়ে যাবে।
ফলে আপনি কৌশলি হোন এবং বাজিমার করে দিয়ে আসবেন ভাইভা বোর্ডে। কিছু না পারলে বিনয়ের সাথে বলবেন স্যার এখন মনে করতে পারছি না, দুঃখিত। কিন্তু খেয় হারিয়ে ওল্টাপাল্টা বলবেন না। আর ভাইভা ঠিকঠাক মতো দিতে পারলে তো আপনার চাকরী কনফার্ম।
১০. আশাহত হবেন নাঃ অনেকে দেখা যায় অনেক ভাইবা দেয় কিন্তু কোন চাকরীই হয় না। যার ফলে উনি ভেঙ্গে পড়েন। ভাবেন উনাকে দিয়ে বোধহয় আর কিছুই হবে না। বেশি হতাশার ফলে উনি যখন অন্য কোন চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যায় তখন দেখা যায় পারা জিনিসও বলতে পারে না।
কারণ তখন নিজের মধ্যে একটা না পারা বোধ চলে আসে। উনি ভাবেন উনাকে দিয়ে হয়ত আর কিছুই সম্ভব না। কিন্তু এরকম ভেবে আমাদের বর্তমানটাকে নষ্ট করা উচিত না। সময় সব সময় আমাদেরকে ভালো কিছু করা সুযোগ দেয়। আমাদের উচিত সেটার সৎ ব্যবহার করা।
চাকরীর ইন্টারভিউতে যে কথাগুলো বলা উচিত নয়!
চাকরীর বাজার দিনের পর অনেকটা নদীর মত প্রসারত হচ্ছে। নিয়োগ পদ্ধতি কঠিন হওয়ার কারণে চাকরী প্রার্থীদেরও নিজেকে প্রস্তুত করতে আপ টু ডেট পদ্ধতিতে। চাকরী পরীক্ষার কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়াই কঠিন।
কোন চাকরী প্রার্থী সেই নিয়োগ বোর্ড পর্যন্ত যেতে পারলেও অনেক সময় কিছু ছোট ছোট ভুলের জন্যে তার চাকরী হারিয়ে ফেলে। এমন অনেক কথা আছে যেটা কিনা একজন চাকরী প্রার্থী হিসেবে আপনার বলা উচিত নয়। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বস্তু ওই সকল শব্দ বা কথা যাকিনা একজন প্রার্থী বা ক্যান্ডিডেট হিসেবে আপনার কখনোই বলা উচিত নয়।
নিম্নে এমন বিষয় সমূহ দেওয়া হলো
১.'দুঃখিত আমার দেরি হয়ে গেছে জ্যামের কারণে'- অনেকেই ভাইভা বোর্ডে দেরি করে যায়। তারপর যখন কারণ জিজ্ঞেস করা হয় তখন বলেন যে সরি, রাস্তায় প্রচুর ট্রাফিক ছিলো। আপনি বলতে পারেন, স্যার ঢাকা শহর তো জ্যাম বেশি। কিন্তু আপনার মাথায় রাখা উচিত যারা আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তারা এই জ্যাম ঠেলে কষ্ট করে রাস্তা পার হয়েই এসেছেন। এখন আপনি যখন এমন কারণ দেখাবেন তখন স্বভাবতই তারা আপনার উপর বিরক্ত হয়ে যাবেন। কারণ তারা তখন ধরেই নিবেন যে আপনার সময় জ্ঞান নেই, আপনাকে চাকরী দিলে আপনি অফিসেও দেরি করে আসবেন। সুতরাং এই অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে ত্যাগ করা উচিত।
২. এক হাঁটুর উপর অন্য হাঁটু দিয়ে বসা; অনেক সময় অনেক চাকরীপ্রার্থী দেখা যায় ভাইভা বোর্ডে ঢুকে পায়ের উপর পা দিয়ে বসে থাকেন যাকিনা দেখতে অশালীন দেখায়। মনে রাখতে হবে যারা আপনার ভাইভা নিচ্ছেন তারা আপনার বস, সুতরাং তাদের সামনে কোন রকম বেয়াদবিই গ্রহণযোগ্য নয়। যখন আপনি তাদের সামনে ভদ্র আচরণ করবেন, তখনই উনারা বুঝতে পারবেন যে আপনি উনাদের কমান্ড মানবেন।
৩. প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন করা; অনেক সময় দেখা যায় চাকরী ভাইভাতে অনেক রকম প্রশ্নই করে থাকেন চাকরী প্রর্থীকে। যেগুলো অনেক সময় চাকরীর বিষয়ের সাথে মিলে না, তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার উচিত দক্ষতা সাথে বিরক্ত না হয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। আর না পারলে সরি বলা। যেমনঃ আপনাকে জিজ্ঞেস করা হলো, মঙ্গোলিয়ার রাজধানী কোথায় আপনি এটা বলবেন না যে স্যার এটার সাথে চাকরীর কি সম্পর্ক? বরং বলবেন যে স্যার এই মুহূর্তে মনে পরছে না। কিন্তু উনাকে এই প্রশ্ন করা যাবে না যে, আপনি আমাকে অবান্তর প্রশ্ন কেন করছেন। কারণ উনারা আপনার মেধার সাথে সাথে ধৈর্য্যও পরীক্ষা করেন।
৪.ফোন বেজে ওঠাঃ ভাইভা বোর্ডে ঢুকার আগে অবশ্যই ফোন সাইলেন্ট করে রাখবেন। কারণ ভাইভা বোর্ডে আপনার ফোন বেজে ওঠলে সেটা অশোভন আচরণ দেখায়। আর আপনি যদি বলেন যে, স্যার একটু ফোনটা ধরবো। তাহলে উনারা বুঝবেন যে, আপনার দায়িত্ব জ্ঞান নেই। কাজের চেয়ে বেশি অন্যদিকে মনোযোগ। তখন উনারা নিশ্চয় এমন লোক চাইবেন না, যে কাজের চেয়ে বেশি ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
৫. আপনাদের বার্ষিক ছুটি কেমন হবে ও অসুস্থ কর্মীদের নীতিমালাটা কি?; আপনার কখনোই এই ধরণের প্রশ্ন করা উচিত নয় যখন উনারা আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন যে, আপনার আমাদের অফিসের ব্যাপারে কোন জিজ্ঞাসা আছে কিনা। কারণ আপনি এই প্রশ্ন করলে উনারা বুঝে যাবেন যে, আপনি জয়েন করার আগেই ছুটি নিয়ে ভাবছেন। এতে আপনার কাজের প্রতি কম মনোযোগ প্রকাশ পায়। যেটা আপনি জয়েন করলেই জানতে পারবেন, সেটা আগে থেকে জানার দরকারটা কি?
৬. আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান ভবিষ্যৎ এঃ নিয়োগ কর্তা এমন প্রশ্ন করলে আপনি এটা বলবেন না যে, ভবিষ্যৎ এ আমি আপনাদের এখানেই থাকতে চায় কারণ এটা বললে বুঝা যায় যে, আপনি উনাদের কনভেন্স করানোর জন্যে বলছেন। বরং আপনি এটা বলবেন যে, আমি নিজেকে আমার দক্ষতায় যোগ্য কোন অবস্থানে দেখতে চায় যা কিনা পরিশ্রমের ফলে আমি অর্জন করবো।
৭.আগের চাকরী জঘন্য ছিলোঃ আপনি যদি আগে কোথাও জব করে থাকেন, আর আপনাকে জিজ্ঞেস করলো যে, আগের জব কেন ছাড়বেন তখন আপনি এটা বলবেন না যে সেখানে স্যালারি ভালো না, ম্যানেজমেন্ট ভালও, বস ভালো ছিলো না ইত্যাদি। মোটকথা বদনাম বলাটা অপেশাদার লাগে, এতে করে ওরা ভাববে আপনি আনপ্রফেশনাল। সুতরাং এই রকম প্রশ্নের উত্তর ভদ্রতার সাথে দিবেন।
৮. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অজ্ঞতাঃ অনেক সময় দেখা যায় যে, ভাইভা বোর্ডে প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করলে বলতে পারেন না। কারণ উনি ভাল করে খেয়ালই করেন না, চলে যান ইন্টারভিউ দিতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের এমডি বা আরও যারা গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আছেন তাদের নাম আপনার জেনে যাওয়া উচিত। যখন প্রশ্ন করবে তখন বলবেন যে, আপনাদের ওয়েবসাইট ঘেটে টুকটাক জেনেছি। কিছু প্রশ্ন না পারাটা ঠিক আছে কিন্তু একেবারেই না পারা দায়িত্বজ্ঞানহীন দেখায়।
৯. নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়াঃ আপনাকে নিজের সম্পর্কে বলতে বললে আপনি ধরেই নিবেন না যে, উনারা আপনার সিভি দেখেছেন আপনি আর কি বলবেন। বরং আপনার উচিত নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া কারণ অনেক ক্যান্ডিডেটের ভিতরে আপনার সিভি উনারা খেয়াল করে নাই দেখতে পারেন। তাই নিজের যোগ্যতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলুন যেন বাদ না পড়ে যায়। সিভির বাহিরেও যদি কোন ভালও যোগ্যতা থাকে তাহলে সেগুলোও ফুটিয়ে তুলুন।
১০. এখানে চাকরী পেলে কোন দিকটা আপনার সবচেয়ে বেশি ভালও লাগবে; এমন প্রশ্নের জবাবে কখনই বলবেন না যে, আপনাদের স্যালারি, বার্ষিক ছুটি এগুলো আমার ভাল লাগবে। কারণ অবশ্যই উনারা আপনার কাছ থেকে আরও বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন আশা করেন। আপনার উচিত নিজের স্পার্টনেছ সেখানে দেখানো।
১১. নিজের নেতৃত্বের ভালও গুণ বলুনঃ এক্ষেত্রে এটা বলবেন না যে এখানে চাকরী পেলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো বরং বলুন আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভালও। আপনার কোন লিডিং অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা শেয়ার করুন। আগে কোথাও লিড দিয়ে থাকলে সেটা বলুন।
এমন হাজারো বিষয় থাকে যেগুলো নরমাল সেন্সের মধ্যে পড়ে। সেগুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই সচেতন থাকা উচিত। পড়াশুনার পাশাপাশি বাহিরের জগৎ এর জ্ঞানও আপনার রাখতে হবে। ভাল কিছু পাওয়ার জন্যে জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। আর পরিশ্রমে সফলতা আসবেই, ইন শা আল্লাহ।
পরিশেষে,
ছোট ছোট অনেক ভুলের কারণে আমাদের চাকরী অনেক সময় হয় না। আমরা হয়ত বুঝতে পারি না সেটা, বা বুঝতে পারলে তখন আর কিছু করার থাকে না। তাই আমাদের উচিত সেগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা। উপরের সবকিছুর পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই ভদ্র আচরণ করা উচিত, আমাদের কথা বার্তাই যেন বেয়াদবি ভাব না আসে সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত। নিজেকে বার বার ঘষামাজা করে চাকরী ভাইভা নামক যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করতে হবে।
মেধা, বুদ্ধি, আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সুন্দর কথাবার্তা সবকিছুর সংমিশ্রণে একটা ভালো জব পাওয়া যায়। তাই আপনার উচিত এগুলো প্রতি মনোযোগী হওয়া তাহলেই আপনি ভালো একটা জব পাবেন, ইন শা আল্লাহ।
Offer Source: Plz, click here to show
Offer Id: 923
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Career
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details
Offer Details:
চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কি করে ইন্টারভিউ কল পাওয়া যায়- ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটি বেছে নিব - ‘চাকুরী’ না ‘ব্যবসা’
জনসংখ্যার অনুপাতে চাকুরির ক্ষেত্র খুবই কম আমাদের দেশে। তাই প্রচুর পরিমানে চাকুরির আবেদন করার পরও চাকুরিত হয়ই না এমনকি চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে অনেকের কলও আসে না। তাহলে দেখুন কিভাবে আপনি কল পাবেনই ইনশাল্লহ্ যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
দুটি বিষয়ে খুব ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত এমপ্লোয়ার অর্থাৎ চাকুরীদ্বাতার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ এন্ড জব সেন্টিমেন্টস (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক এবং চাকুরী দেয়ার মনোভাব)।
আরএকটি ব্যাপার তা হল সকল চাকুরীদ্বাতাই চাকুরী দেয়ার উদ্দেশ্যে পত্রিকায় বা অনলাইনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন না। এছাড়াও চাকুরিদ্বাতা নিজেও অথবা তার কর্মী দিয়েও সিভি শর্টলিস্ট করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আবারও দুটি কাজ করতে হবে। তা হল এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক) এবং তার এসিস্ট্যান্ট কর্মীর মাধ্যমে সিভি শর্ট লিস্ট করা হলে তার ট্রেন্ডস্ বা ঝোঁক/প্রবণতা বুঝতে হবে।
১. এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ এন্ড জব সেন্টিমেন্টস (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক এবং চাকুরী দেয়ার মনোভাব) বুঝার ওপায়।: প্রথমত, চাকুরিদ্বাতার সম্পূর্ণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভালভাবে পড়তে হবে। পড়লে দেখা যাবে সেখানে তিনি বিশেষ বিশেষ কিছু শর্ত আরোপ করে দেন। এই শর্তসমূহের নূন্যতম ৯৫% শর্ত আপনাকে ফিল আপ করতে হবে।
শর্তসমূহ কিভাবে পূরণ করবেন:
১. উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে সকল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারিভাবে তিন গ্রেডের হয়ে থাকে যেমন- ফার্স্ট গ্রেড, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড বা বিলো থার্ড গ্রেড।
বাংলাদেশের কোম্পানিসমূহের নাম বলতে চাচ্ছিনা তাহলে কোন না কোন ভাবে পক্ষপাত হয়ে যেতে পারে।
(ক) সর্ব প্রথম শর্ত হল: কর্মী মাসিক বেতন
ফার্স্ট গ্রেড (বেসরকারি) (সরকারি বেতনের স্কিল একটু ভিন্নভাবে ক্যালকুলেট করা হয়)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (৩৫,০০০ - ৪৫,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ১ থেকে ১.৫ লক্ষ)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৩ থেকে ৫ লক্ষ)
সেকেন্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (২০,০০০ - ২৫,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ৬০ থেকে ৮০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (১.৫ থেকে ২ লক্ষ)
থার্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (১৫,০০০ - ২০,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ৪০ থেকে ৫০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ)
বিলো থার্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (৫,০০০ - ১২,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ২০ থেকে ৩০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৪০ থেকে ৫০ হাজার)
অতএব, আপনি যদি এখন কোন কোম্পানিতে আপনার পজিশন বা যোগ্যতা অনুসারে আবেদন করতে যান আর আপনার এক্সপেকটেড সেলারি যদি কোম্পানির গ্রেডের অনুপাতে অনেক বেশি অথবা খুবই কম হয় তাহলে নিশ্চয় আপনি চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কোন প্রকার ইন্টাভিউ কল পাবেন না।
(খ) দ্বিতীয় শর্ত হল: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা হল অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে। আর অভিজ্ঞতা আর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক যেটি অনেক সময় শিক্ষগত যোগ্যতাকেও হার মানায়।তবে শিক্ষা হল মানুষের নৈতিক আচরণ ও মনুষত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়।তাই শিক্ষা অর্জণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ।ফ্রেসার অর্থাৎ যারা এখনও চাকুরি পাননি তারা ইনটার্ন জব করতে পারেন যেখানে একটু্ হলেও অভিজ্ঞতা অর্জণ করা সম্ভব।
চাকুরি কিভাবে পাব বা কিভাবে ইন্টারভিউ কল পাব:
প্রবাদে আছে "কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মিলে না" অর্থাৎ আপনি যদি পরিশ্রমি না হোন তাহলে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। বর্তমানে চাকুরীর বাজার খুবিই কম্পিটিটিভ, আর তাই আপনাকে আপনার স্বপ্নের চাকুরী পাওয়ার জন্যে বাকী সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে কঠোর পরিশ্রমি হতে হবে, কৌশলি হতে হবে।
চাকরী বাজার বর্তমানে এত সহজ না আর। তার চেয়ে কঠিন আপনি যেখানে চাকরী দিতে যাবেন তারা অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিবেন। তারা কেমন প্রশ্ন করবেন কেমন উত্তর দিতে হবে এই বিষয় আরও জটিল। জটিল এই কারণেই কারণ বর্তমানে চাকরীর প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারাও নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বের করেন চাকরী দেওয়ার জন্যে।
তারাও সিভি দেখার সময় এমন প্রার্থী চান যাদের সাথে কম্পানির চাহিদা ম্যাচ করে আরও এক্সট্রা কিছু থাকবে।
তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু চাকরীদ্বাতার নিকট হতে কিভাবে ইন্টারভিউ এর জন্যে কল পাওয়া যায়।
মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে আমাদের জানা উচিত চাকরী কি?
চাকুরী একটি কর্মকাণ্ড বা কাজ যা সাধারণত নিয়মিত করা হয় এবং অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম তাতে যুক্ত হতে হয় অর্থাৎ টাকার সাথে সম্পর্কিত হতে হয়|
চাকরী মানে আরো বোঝায় একজন ব্যক্তি যেভাবে আয় রোজগার করে বা তার টাকা ইনকামের পদ্ধতি। চাকরি মানে আরো বোঝায় যে একজন ব্যক্তি কারোর কর্মচারী হয়ে কাজ করে তার কাছ থেকে বেতন পায়।
উদাহরণস্বরূপঃ একজন শিক্ষক শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ককে শিক্ষা দিয়ে থাকেন কিন্তু বিনিময়ে তিনি একটি নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকেন, একজন ট্যাক্সি চালক যাত্রী এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নিয়ে যায় এবং তার জন্য ভাড়া পাঁয়। এভাবে মানুষ সমাজে প্রচিলিত উপায়ে যে টাকা ইনকাম করে তাই চাকরী।
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। আমাদের বাংলাদেশে দুই ধরণে চাকরী মানুষ খুঁজে;
১. সাধারণ চাকরী
২. ডিফেন্স
সাধারণ চাকরী আবার তিন রকমের হয়ে থাকে যেমনঃ সরকারী, প্রাইভেট ও বিসিএস। ডিফেন্সের আলাদা নিয়ম। সরকারী বা বিসিএস এই জবগুলোর জন্যে আপনাকে প্রিলি, রিটেন দিয়ে তারপর মেইন ভাইভাতে যেতে হবে। এই টপিকে অন্য একদিন বিষধ আলোচনা করা যাবে।
রয়ে গেল প্রাইভেট চাকরী। এই জবের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় আগে ইন্টারভিউ এর জন্যে ডাকে। আর সেই জন্যে আপনাকে সিভিতে অনেক বেশি কৌশলি হতে হবে। সাধারণত এই জবগুলো বিডি জবসের মাধ্যমে মানুষ অ্যাপ্লাই করে থাকে।
আজকাল বেশির ভাগ মানুষ উচ্চ শিক্ষিত। সমস্যা হয়েছে এই জায়গায়, সবাই শিক্ষিত হওয়ায় ক্যান্ডিডেটের মধ্যে যে বেশি গুণ সম্পন্ন তাকেই ডাকা হয়। কিছু গুণ আছে যা জানা আবশ্যক, তা নিম্নে তুলে ধরা হলো এই গুণ গুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ইন্টারভিয়ের জন্যে ডাক পাবেন;
১. কম্পিউটার জানাঃ বর্তমানে ছোট কিংবা বড়, সরকারি কিংবা বেসরকারী যেকোন চাকরীর ক্ষেত্রে কম্পিউটার জানা থাকাটা আবশ্যক। কোন কোন চাকরীর স্যারকুলারে ক্ষেত্রে তো কম্পিউটার জানা আবশ্যক এটা লিখেই দেয়।
এখন আপনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন কম্পিউটারের কোন বিষয়গুলো উপর সাধারণ প্রাধান্য দিয়ে থাকে? কম্পিউটারে মাইক্রোসম্ফটের এম.এস, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট এই তিনটা কাজ জানা আপনার জন্যে আবশ্যক। বিশেষ করে এক্সেল এর কাজ আজকাল সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন পরে। কারণ এই এক্সসেলে দৈনন্দিন সকল কিছু হিসাব রাখা হয়।
ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান হোকা না কেন হিসাব রাখা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। কারণ হিসাব যদি না রাখেন তাহলে লাভ বা ক্ষতি বুঝবে কি করে? আর বড় বড় মাল্টিনেশনাল কম্পানির ক্ষেত্রে পাওয়ার পয়েন্টে কাজ জানাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা আপনি আবশ্যক ও বলতে পারেন।
যেমনঃ চায়না কোন কম্পানির সাথে আপনি ১ কোটি টাকার কোন প্রজেক্ট করতে যাচ্ছেন হতে পারে সেটা কোন দর্শনীয় স্থান যা কিনা যৌথ উদ্যযোগে হবে এবং লভ্যাংশ দুই দেশই নিবে। এখন আপনি এই প্রজেক্টটা কিভাবে দেখাবেন? খাতায় কলমে? নিশ্চয় না এটা আপনাকে পাওয়ার পয়েন্টে করে কম্পিউটারে স্ক্রিনে করে দেখাতে হবে কেননা এটাই স্ট্যান্ডার মেথড। পুরু বিশ্ব এইভাবেই চলছে। তাই আপনাকে সেই সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
কি ভাবছেন? তাহলে এক্সসেল আর পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানলেই হবে? মাইক্রোস্ফট এম.এস এর কাজ আর জানতে হবে না? অবশ্যই জানতে হবে। না একদমই নয়, আপনাকে এম.এস এর কাজও জানতে হবে। ধরেন আপনার অফিসের বস আপনাকে বললো কামাল সাহেব একটা কম্পানির জন্যে একটা ফরমাল লেটার লিখে নিয়ে আসুন। এখন আপনি এটা এক্সসেল কিংবা পাওয়ার পয়েন্টে লিখতে পারবেন না, লিখতে হবে এম.এস এ।
আর আপনি এম.এস এর কাজ জানেনও না, তখন আপনাকে অন্য কলিগের উপর ভরসা করতে হবে। কিন্তু না কি আপনি আপনার বসকে বলতে পারবেন? তাহলে আপনার জন্যে উপরের তিনটি কাজ জানাই আবশ্যক। আর যদি জানেনে তাহলে সিভিতে কম্পিউটার এক্সিলেন্সি এক্সিলেন্ট দিবেন। আর এতে করে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
২. এক্সট্রাকারিকুলাম একটিভিটিসঃ যদি ধরেন আপনার জবটা হয় মার্কেটিং এর সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ট্রাভেল করতে হবে, ভালো করে কথা বলতে হবে। তাহলে আপনার যদি ডিবেটের অভিজ্ঞতা থাকে, এবং আপনি ঘুরতে ভালবাসেন সেটা আপনার জন্যে প্লাস পয়েন্ট হবে।
আপনি লিখবেন আপনি ডিবেটর, আপনি ঘুরতে ভালবাসেন, আপনারা তারাতারি নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং সর্বশেষ আপনি দলভুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন কারণ আপনার মতে লিড দেওয়ার গুণ রয়েছে কারণ আপনি ধৈর্য্যশীল মানুষ। আবার আপনাকে যদি কোন ইনোভেটিভ কাজের জন্যে ডাকে তাহলে আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভ কি গুণ আছে সেটা ওনারা দেখবে। তাহলে এই গুণগুলো আপনার মধ্যে এক্সট্রা যা অন্য কারও মাঝে নাই, সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৩. ইংরেজীর উপর ভালো দক্ষতা থাকাঃ ইংরেজী আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায়, এই ভাষার গুরুত্ব অধিক। শুধু কি ইংরেজি কথা বলা? না ইংরেজি বলা, লিখা ও শুনতে পারা প্রত্যেকটি বিষয়ের দক্ষতার গুরুত্ব অনেক।
এখন অনেক স্যারকুলারে লিখেই দেয় গুড কমান্ড ওভার ইংলিশ। যারা ইংরেজি ভাল জানে তাদের ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়। যেমনঃ আজকাল বেশির ভাগ কম্পানিই আছে যারা বাহিরের দেশের সাথে ডিল করে থাকেন। তাহলে সেই ক্ষেত্রে বস নিশ্চয় সব সময় নিজে করবেন না। বস উনার অধিভুক্ত কর্মচারীকে দিবেন।
আর কর্মচারী যদি ঠিকমত বুঝাতে ব্যর্থ হোন তাহলে প্রজেক্টটা ফেইল হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে কম্পানির অনেক টাকার লস হয়ে যাবে তাই মালিক আগে থেকেই চান ইংরেজী ফ্লুয়েন্টলি কথা বলতে পারেন, এমন কেউ আসুক তার কম্পানিতে।
তাহলে কম্পিউটারে যদি আপনি ভালো হোন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৪. বহু ভাষায় দক্ষতাঃ আবার এমন যদি হয় আপনি ইংরেজীর পাশাপাশি উর্দু, হিন্দি কিংবা কোরিয়ান ভাষায় দক্ষ মানে হচ্ছে আপনি অনর্গল কথা বলতে পারেন বুঝতে পারেন তাহলে এটাও আপনার জন্যে প্লাস পয়েন্ট এবং ইন্টারভিউ হোল্ডারদের জন্যে বাড়তি পাওয়া।
কারণ আপনার সিভি দেওয়া কম্পানি যদি হয় মাল্টিনেশনাল এবং তাদের বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে বাণিজ্য হয়ে থাকে তাহলে তাদের এমন এমপ্লয়ি লাগবে যারা কিনা অনেক ভাষায় কথা বলতে পারেন। আজকাল এই বহুভাষায় দক্ষ প্রার্থীদের অন্য সাধারণ প্রার্থী থেকে অনেক বেশি প্রায়ুরিটি দেওয়া হয় ফলে ঔই সব প্রার্থীদের
ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।
৫. আলাদা কোন বিষয়ে ট্রেইনিং থাকাঃ কম্পিউটার বা যদি অন্য কোন বিষয়ে ট্রেনিং থাকে তাহলে সেটা চাকরী ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্যে একটা প্লাস পয়েন্ট। যেমন হতে পারে আপনার তথ্য প্রযুক্তি কিংবা কোন মহান ব্যক্তি বর্গ যারা সাধারণত যুগপোযগী বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার করেন এবং আপনি যোগ দিয়েছেন তাহলে সেই সার্টিফিকেট আপনি চাইলে অ্যাড করতে পারেন।
এছাড়া অনার্স কিংবা মাস্টার্স এর পর বিষয় ভিত্তিক বিষয় ভিত্তিক বিষয়ের ওপর আলাদা কোর্স ছয়মাস কিংবা বছর ভিত্তিক করতে পারেন যেটা কিনা আপনি সিভিতে যুক্ত করতে পারেন ফলে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৬. ভালো রেফারেন্স দেওয়াঃ সিভি সমাজে উচ্চ পদস্ত মানুষের যারা আপনাকে চিনে হতে পারে ভার্সিটি টিচার কিংবা কোন সরকারি প্রথম প্রর্যায়ের অফিসার তাদের রেফারেন্স দিতে পারেন। ফলে এটা আপনার মান অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় উচ্চ পদস্ত মানুষের রেফারেন্স দেখলেও আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
যেহেতু আমাদের সমাজে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাই বেশি তাই আপনাকে নিজের মধ্যে আলাদা কিছু পরিপূর্ণ করতে হবে। যাতে করে সিভি দেখা মাত্রই ইন্টারভিউ বোর্ডের মানুষ আপনাকে ডাকে ভাইভা নিতে। মনে রাখতে হবে যোগ্য মানুষ কখনো হেরে যান না, হাজারো মানুষের ভিড়ে তারা তাদের স্থান ঠিকিই করে নেন।
আশা করি উপরের ছয়টি বিষয় যদি আপনার সিভিতে থাকে তাহলে অবশ্যই ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকবে, ইন শা আল্লাহ।
কোন চাকুরী না পেলে কি বেকার থাকবো নাকি কোন ব্যবসা শুরু করে দেব? অথবা কি করবো ?
কোন চাকুরী না পেলে কি বেকার থাকবো নাকি কোন ব্যবসা শুরু করে দেব? অথবা কি করবো ?
আমাদের জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়তই আমরা কোনো না কোনো কাজের উপর নির্ভরশীল। কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে আমরা পরিবারের চাহিদাগুলো পূরন করার চেষ্টা করি। অনেকে পরিবারের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ উপার্জন করে আবার অনেকে তুলনামূলক খুব কম অর্থ উপার্জন করে। এই অর্থ আয়ের যে প্রক্রিয়াটা সেটা পুরোটাই নির্ভর করে কাজের উপর। আপনি কি কাজ করেন, কোন ধরনের কাজ করেন, কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের পরিধি কেমন, বিস্তার কতটা এসব কিছুর উপর নির্ভর করে যে আপনার কতটুকু লাভ হচ্ছে।
✔ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে ব্যবসায় না চাকুরি কোন কাজের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করছেন আর সেটা আপনার জন্য কতটা লাভজনক হয়েছে।
✔ অনেকের মাঝেই এমন প্রশ্ন বিদ্যমান থাকে যে আসলে ব্যবসায় আর চাকুরির মধ্যে কোনটা করলে আমি বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবো।
✔ তাই আজ আমরা ব্যবসায় এবং চাকুরি নিয়ে আলোচনা করবো এবং বিস্তারিত জানবো যে কোনটির মাধ্যমে আমাদের খুব বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় ??
ব্যবসায় হচ্ছে বিভিন্ন পন্য, শিল্প, নিয়ে গঠিত। যার ফলে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক তৈরি হয় লেনদেনের মাধ্যমে। যে কোনো ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্যই থাকে মুনাফা অর্জন। এবং তাদের লক্ষ্য থাকে জনগনের চাহিদা ও প্রয়োজনমতো যেকোনো পন্য সরবরাহ করা। ফলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনেক কম সময়ে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে।
☑ ব্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় :
▪ জনগনের চাহিদাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পন্য সরবরাহ।
▪ পণ্য আকর্ষনীয় করার জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজিং, স্লোগান ও লগো তৈরি।
▪ প্রয়োজনে অধিক পন্য সংরক্ষন, সংযোজন যাতে জনগন চাওয়া মাত্রই পন্য দেওয়া সম্ভব হয়। ▪ শুধুমাত্র একটি পন্য নয়, চাহিদা সম্পন্ন বিভিন্ন পন্য নিয়ে কাজ করা। এভাবে পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করলে খুব সহজেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লাভবান হতে পারে। যদিও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেক সময় বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই উচিত ঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রনয়ণ।
চাকুরি ক্ষেত্রে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় ??
চাকুরি হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। চাকুরি ক্ষেত্রে যে অর্থ উপার্জন করা হয় সেটা নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধি পায়। তাই এখানে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুবই কম। তবে চাকুরির মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এই চাকুরি দুই রকমের হয়ে থাকে যেমন:
1. সরকারি চাকুরি।
2. বেসরকারি চাকুরি।
সরকারি চাকুরি :- এই চাকুরির অর্থ সরকার দ্বারা প্রদত্ত তাই এই চাকুরিতে অর্থজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাসভিত্তিক সময় মতো অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা সবসময় বিদ্যমান। বরং এখানে নানা রকম সুবিধা রয়েছে। যেমন: প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বোনাস, বিভিন্ন ভাতা, প্রতি বছরে বেতন কিছুটা করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং চাকুরি শেষকালীন সময়ে পেনশন। তাই এই চাকুরিতে অর্থগত ঝুঁকি বা লোকসান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বেসরকারি চাকুরি:- এই চাকুরি যে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত তাই যদি কোনো প্রতিষ্ঠানটি কোনো রকম অর্থজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাহলে সেখানে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি কর্মচারীদের কিছু সময়ের জন্য অর্থজনিত সমস্যায় পরতে হয়। কারন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পন্য বা শিল্পের সাহায্যে ভোক্তা বা জনগনদের সেবা প্রদান করে অর্থ আয় করে । বিদেশে পন্য রপ্তানি করেও অর্থ আয় করে। এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমাদের দেশে। সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও অনেক এক প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানের। যে প্রতিষ্ঠান যত ভালো সার্ভিস দিতে পারে সেই প্রতিষ্ঠান ততটাই লাভবান হতে পারে। ফলে সব প্রতিষ্ঠান সবসময় সমানভাবে আয় করতে পারে না কখনো কম বা কখনো বেশি । এমনকি অনেক সময় অনেক বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার জন্য কর্মচারীদের কয়েক মাসের বেতন দিতে অক্ষম হয়ে যায় প্রতিষ্ঠান। সেই সময় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ চালু রাখে আর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রাখে কয়েক মাস বা বছরের জন্য। তখন কর্মচারীদের অর্থজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এমনকি চাকুরি চলে যাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যখন অনেক পরিমানে লোকসান দেখা যায়। যে কাজের মাধ্যমে কর্মচারীরা অর্থ উপার্জন করে। সেই কাজ যখন বন্ধ হয় তখন পরিবারের বহন খরচ তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পরে। এভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের মাধ্যমে কখনও লাভবান হয় আবার কখনও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন ও হয়।
লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও চাকুরি কাজের মাধ্যমে কি একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত ??
হ্যাঁ, নীতিগত ভাবে যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চাকুরির সাথে সম্পর্কিত কারণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারীরা চাকুরিরত অবস্থায় থাকেন। এমনকি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের মাধ্যমে কর্মচারিদের নির্দিষ্ট সময়ে বেতন প্রদান করে। অনেক সুবিধাও গ্রহন করেন কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে। প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বোনাসও পায় কর্মচারিরা তাই বলা যায় ব্যবসায় চাকুরির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। তবে সব চাকুরি ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। এমন অনেক চাকুরি রয়েছে যা মানুষেকে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আয় করে থাকে। যেমন : ডাক্তার, শিক্ষক । নীতিগত দিক দিয়ে ডাক্তারি এবং শিক্ষকতার চাকুরি কোনো রকম ব্যবসায়ের বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন নয়। এই পেশার কর্মরত ব্যক্তিরা সরকারি ও বেসরকারি দুই রকম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সেবা প্রদান করেন। তাই বলা যায় ব্যবসায় ও চাকুরি একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত থাকলেও সবরকম চাকুরি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নয় কিন্তু সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চাকুরির সাথে জড়িত। তাই লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও চাকুরি একে অন্যের সাথে জড়িত।
✔ ব্যবসায় ও চাকুরি মানুষ দ্বারা সংগঠিত। অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশকে কেন্দ্র করে কাজ করা হয় প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেই। তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি ভালো হতে পারে মন্দও হতে পারে, এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠনের আয়-ব্যয়, লাভ-লোকসান, ঝুঁকি ইত্যাদি ।
✔ অর্থাৎ, চাকুরির তুলনায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লাভবান হওয়াটা সহজ তবে ব্যবসায়ে লাভ-লোকসান, ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত ফলে সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে যেকোনো সময় লাভের অর্থ লোকসানে পরিনত হতে পারে । কিন্তু চাকুরিতে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না । যদি বেসরকারি চাকুরি হয় তবে সেখানে কিছু ঝুঁকি থাকে তার মধ্যে রয়েছে, সময় মতো বেতন না পাওয়া এবং যেকোনো সময় চাকুরি শেষ হয়ে যাওয়া।
উপসংহার...
পরিশেষে বলা যায় আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে কাজই করি না কেন সেটা ব্যবসায় হোক বা চাকুরি এই দুটোই আসলে একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত থেকে লাভবান হওয়ার জন্য কাজ করে। আসলে আমরা একে অন্যের সাথে এতোটাই তুলনা করতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি তাই সবসময় আমরা ভাবি যে কোন কাজ ভালো, কোন কাজ মন্দ, কোন কাজে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়, কোন কাজে কম অর্থ উপার্জন হয়, তবে আমরা ভুলে যাই যে যেকোনো কাজই প্রকৃতপক্ষে পরিশ্রমকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়। কিছু কাজে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং কিছু কাজে তুলনামূলক পরিশ্রম কম। কিন্তু পরিশ্রম করতেই হবে সেটা হোক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বা চাকুরির ক্ষেত্রে। তাই বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করেই যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করা সম্ভব।