Knock us for your business/company articles/content & SEO: 01823-660266
চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কি করে ইন্টারভিউ কল পাওয়া যায়- ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটি বেছে নিব - ‘চাকুরী’ না ‘ব্যবসা’

চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কি করে ইন্টারভিউ কল পাওয়া যায়- ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটি বেছে নিব - ‘চাকুরী’ না ‘ব্যবসা’
চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কি করে ইন্টারভিউ কল পাওয়া যায়- ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটি বেছে নিব - ‘চাকুরী’ না ‘ব্যবসা’
জনসংখ্যার অনুপাতে চাকুরির ক্ষেত্র খুবই কম আমাদের দেশে। তাই প্রচুর পরিমানে চাকুরির আবেদন করার পরও চাকুরিত হয়ই না এমনকি চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে অনেকের কলও আসে না। তাহলে দেখুন কিভাবে আপনি কল পাবেনই ইনশাল্লহ্ যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
দুটি বিষয়ে খুব ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত এমপ্লোয়ার অর্থাৎ চাকুরীদ্বাতার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ এন্ড জব সেন্টিমেন্টস (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক এবং চাকুরী দেয়ার মনোভাব)।
আরএকটি ব্যাপার তা হল সকল চাকুরীদ্বাতাই চাকুরী দেয়ার উদ্দেশ্যে পত্রিকায় বা অনলাইনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন না। এছাড়াও চাকুরিদ্বাতা নিজেও অথবা তার কর্মী দিয়েও সিভি শর্টলিস্ট করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আবারও দুটি কাজ করতে হবে। তা হল এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক) এবং তার এসিস্ট্যান্ট কর্মীর মাধ্যমে সিভি শর্ট লিস্ট করা হলে তার ট্রেন্ডস্ বা ঝোঁক/প্রবণতা বুঝতে হবে।
১. এমপ্লোয়ার ট্রেন্ডস্ এন্ড জব সেন্টিমেন্টস (চাকুরীদ্বাতার ঝোঁক এবং চাকুরী দেয়ার মনোভাব) বুঝার ওপায়।: প্রথমত, চাকুরিদ্বাতার সম্পূর্ণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভালভাবে পড়তে হবে। পড়লে দেখা যাবে সেখানে তিনি বিশেষ বিশেষ কিছু শর্ত আরোপ করে দেন। এই শর্তসমূহের নূন্যতম ৯৫% শর্ত আপনাকে ফিল আপ করতে হবে।
শর্তসমূহ কিভাবে পূরণ করবেন:
১. উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে সকল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারিভাবে তিন গ্রেডের হয়ে থাকে যেমন- ফার্স্ট গ্রেড, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড বা বিলো থার্ড গ্রেড।
বাংলাদেশের কোম্পানিসমূহের নাম বলতে চাচ্ছিনা তাহলে কোন না কোন ভাবে পক্ষপাত হয়ে যেতে পারে।
(ক) সর্ব প্রথম শর্ত হল: কর্মী মাসিক বেতন
ফার্স্ট গ্রেড (বেসরকারি) (সরকারি বেতনের স্কিল একটু ভিন্নভাবে ক্যালকুলেট করা হয়)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (৩৫,০০০ - ৪৫,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ১ থেকে ১.৫ লক্ষ)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৩ থেকে ৫ লক্ষ)
সেকেন্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (২০,০০০ - ২৫,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ৬০ থেকে ৮০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (১.৫ থেকে ২ লক্ষ)
থার্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (১৫,০০০ - ২০,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ৪০ থেকে ৫০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ)
বিলো থার্ড গ্রেড (বেসরকারি)
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ: (৫,০০০ - ১২,০০০ টাকা)
মিডেল এক্সপেরিয়েন্সড বা মাঝামাঝি অভিজ্ঞ: ( ২০ থেকে ৩০ হাজার)
হাই এক্সপেরিয়েন্সড বা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ: (৪০ থেকে ৫০ হাজার)
অতএব, আপনি যদি এখন কোন কোম্পানিতে আপনার পজিশন বা যোগ্যতা অনুসারে আবেদন করতে যান আর আপনার এক্সপেকটেড সেলারি যদি কোম্পানির গ্রেডের অনুপাতে অনেক বেশি অথবা খুবই কম হয় তাহলে নিশ্চয় আপনি চাকুরীদ্বাতার নিকট হতে কোন প্রকার ইন্টাভিউ কল পাবেন না।
(খ) দ্বিতীয় শর্ত হল: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা হল অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে। আর অভিজ্ঞতা আর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক যেটি অনেক সময় শিক্ষগত যোগ্যতাকেও হার মানায়।তবে শিক্ষা হল মানুষের নৈতিক আচরণ ও মনুষত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়।তাই শিক্ষা অর্জণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ।ফ্রেসার অর্থাৎ যারা এখনও চাকুরি পাননি তারা ইনটার্ন জব করতে পারেন যেখানে একটু্ হলেও অভিজ্ঞতা অর্জণ করা সম্ভব।
চাকুরি কিভাবে পাব বা কিভাবে ইন্টারভিউ কল পাব:
প্রবাদে আছে "কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মিলে না" অর্থাৎ আপনি যদি পরিশ্রমি না হোন তাহলে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। বর্তমানে চাকুরীর বাজার খুবিই কম্পিটিটিভ, আর তাই আপনাকে আপনার স্বপ্নের চাকুরী পাওয়ার জন্যে বাকী সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে কঠোর পরিশ্রমি হতে হবে, কৌশলি হতে হবে।
চাকরী বাজার বর্তমানে এত সহজ না আর। তার চেয়ে কঠিন আপনি যেখানে চাকরী দিতে যাবেন তারা অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিবেন। তারা কেমন প্রশ্ন করবেন কেমন উত্তর দিতে হবে এই বিষয় আরও জটিল। জটিল এই কারণেই কারণ বর্তমানে চাকরীর প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারাও নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বের করেন চাকরী দেওয়ার জন্যে।
তারাও সিভি দেখার সময় এমন প্রার্থী চান যাদের সাথে কম্পানির চাহিদা ম্যাচ করে আরও এক্সট্রা কিছু থাকবে।
তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু চাকরীদ্বাতার নিকট হতে কিভাবে ইন্টারভিউ এর জন্যে কল পাওয়া যায়।
মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে আমাদের জানা উচিত চাকরী কি?
চাকুরী একটি কর্মকাণ্ড বা কাজ যা সাধারণত নিয়মিত করা হয় এবং অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম তাতে যুক্ত হতে হয় অর্থাৎ টাকার সাথে সম্পর্কিত হতে হয়|
চাকরী মানে আরো বোঝায় একজন ব্যক্তি যেভাবে আয় রোজগার করে বা তার টাকা ইনকামের পদ্ধতি। চাকরি মানে আরো বোঝায় যে একজন ব্যক্তি কারোর কর্মচারী হয়ে কাজ করে তার কাছ থেকে বেতন পায়।
উদাহরণস্বরূপঃ একজন শিক্ষক শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ককে শিক্ষা দিয়ে থাকেন কিন্তু বিনিময়ে তিনি একটি নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকেন, একজন ট্যাক্সি চালক যাত্রী এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নিয়ে যায় এবং তার জন্য ভাড়া পাঁয়। এভাবে মানুষ সমাজে প্রচিলিত উপায়ে যে টাকা ইনকাম করে তাই চাকরী।
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। আমাদের বাংলাদেশে দুই ধরণে চাকরী মানুষ খুঁজে;
১. সাধারণ চাকরী
২. ডিফেন্স
সাধারণ চাকরী আবার তিন রকমের হয়ে থাকে যেমনঃ সরকারী, প্রাইভেট ও বিসিএস। ডিফেন্সের আলাদা নিয়ম। সরকারী বা বিসিএস এই জবগুলোর জন্যে আপনাকে প্রিলি, রিটেন দিয়ে তারপর মেইন ভাইভাতে যেতে হবে। এই টপিকে অন্য একদিন বিষধ আলোচনা করা যাবে।
রয়ে গেল প্রাইভেট চাকরী। এই জবের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় আগে ইন্টারভিউ এর জন্যে ডাকে। আর সেই জন্যে আপনাকে সিভিতে অনেক বেশি কৌশলি হতে হবে। সাধারণত এই জবগুলো বিডি জবসের মাধ্যমে মানুষ অ্যাপ্লাই করে থাকে।
আজকাল বেশির ভাগ মানুষ উচ্চ শিক্ষিত। সমস্যা হয়েছে এই জায়গায়, সবাই শিক্ষিত হওয়ায় ক্যান্ডিডেটের মধ্যে যে বেশি গুণ সম্পন্ন তাকেই ডাকা হয়। কিছু গুণ আছে যা জানা আবশ্যক, তা নিম্নে তুলে ধরা হলো এই গুণ গুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ইন্টারভিয়ের জন্যে ডাক পাবেন;
১. কম্পিউটার জানাঃ বর্তমানে ছোট কিংবা বড়, সরকারি কিংবা বেসরকারী যেকোন চাকরীর ক্ষেত্রে কম্পিউটার জানা থাকাটা আবশ্যক। কোন কোন চাকরীর স্যারকুলারে ক্ষেত্রে তো কম্পিউটার জানা আবশ্যক এটা লিখেই দেয়।
এখন আপনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন কম্পিউটারের কোন বিষয়গুলো উপর সাধারণ প্রাধান্য দিয়ে থাকে? কম্পিউটারে মাইক্রোসম্ফটের এম.এস, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট এই তিনটা কাজ জানা আপনার জন্যে আবশ্যক। বিশেষ করে এক্সেল এর কাজ আজকাল সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন পরে। কারণ এই এক্সসেলে দৈনন্দিন সকল কিছু হিসাব রাখা হয়।
ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান হোকা না কেন হিসাব রাখা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। কারণ হিসাব যদি না রাখেন তাহলে লাভ বা ক্ষতি বুঝবে কি করে? আর বড় বড় মাল্টিনেশনাল কম্পানির ক্ষেত্রে পাওয়ার পয়েন্টে কাজ জানাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা আপনি আবশ্যক ও বলতে পারেন।
যেমনঃ চায়না কোন কম্পানির সাথে আপনি ১ কোটি টাকার কোন প্রজেক্ট করতে যাচ্ছেন হতে পারে সেটা কোন দর্শনীয় স্থান যা কিনা যৌথ উদ্যযোগে হবে এবং লভ্যাংশ দুই দেশই নিবে। এখন আপনি এই প্রজেক্টটা কিভাবে দেখাবেন? খাতায় কলমে? নিশ্চয় না এটা আপনাকে পাওয়ার পয়েন্টে করে কম্পিউটারে স্ক্রিনে করে দেখাতে হবে কেননা এটাই স্ট্যান্ডার মেথড। পুরু বিশ্ব এইভাবেই চলছে। তাই আপনাকে সেই সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
কি ভাবছেন? তাহলে এক্সসেল আর পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানলেই হবে? মাইক্রোস্ফট এম.এস এর কাজ আর জানতে হবে না? অবশ্যই জানতে হবে। না একদমই নয়, আপনাকে এম.এস এর কাজও জানতে হবে। ধরেন আপনার অফিসের বস আপনাকে বললো কামাল সাহেব একটা কম্পানির জন্যে একটা ফরমাল লেটার লিখে নিয়ে আসুন। এখন আপনি এটা এক্সসেল কিংবা পাওয়ার পয়েন্টে লিখতে পারবেন না, লিখতে হবে এম.এস এ।
আর আপনি এম.এস এর কাজ জানেনও না, তখন আপনাকে অন্য কলিগের উপর ভরসা করতে হবে। কিন্তু না কি আপনি আপনার বসকে বলতে পারবেন? তাহলে আপনার জন্যে উপরের তিনটি কাজ জানাই আবশ্যক। আর যদি জানেনে তাহলে সিভিতে কম্পিউটার এক্সিলেন্সি এক্সিলেন্ট দিবেন। আর এতে করে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
২. এক্সট্রাকারিকুলাম একটিভিটিসঃ যদি ধরেন আপনার জবটা হয় মার্কেটিং এর সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ট্রাভেল করতে হবে, ভালো করে কথা বলতে হবে। তাহলে আপনার যদি ডিবেটের অভিজ্ঞতা থাকে, এবং আপনি ঘুরতে ভালবাসেন সেটা আপনার জন্যে প্লাস পয়েন্ট হবে।
আপনি লিখবেন আপনি ডিবেটর, আপনি ঘুরতে ভালবাসেন, আপনারা তারাতারি নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং সর্বশেষ আপনি দলভুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন কারণ আপনার মতে লিড দেওয়ার গুণ রয়েছে কারণ আপনি ধৈর্য্যশীল মানুষ। আবার আপনাকে যদি কোন ইনোভেটিভ কাজের জন্যে ডাকে তাহলে আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভ কি গুণ আছে সেটা ওনারা দেখবে। তাহলে এই গুণগুলো আপনার মধ্যে এক্সট্রা যা অন্য কারও মাঝে নাই, সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৩. ইংরেজীর উপর ভালো দক্ষতা থাকাঃ ইংরেজী আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায়, এই ভাষার গুরুত্ব অধিক। শুধু কি ইংরেজি কথা বলা? না ইংরেজি বলা, লিখা ও শুনতে পারা প্রত্যেকটি বিষয়ের দক্ষতার গুরুত্ব অনেক।
এখন অনেক স্যারকুলারে লিখেই দেয় গুড কমান্ড ওভার ইংলিশ। যারা ইংরেজি ভাল জানে তাদের ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়। যেমনঃ আজকাল বেশির ভাগ কম্পানিই আছে যারা বাহিরের দেশের সাথে ডিল করে থাকেন। তাহলে সেই ক্ষেত্রে বস নিশ্চয় সব সময় নিজে করবেন না। বস উনার অধিভুক্ত কর্মচারীকে দিবেন।
আর কর্মচারী যদি ঠিকমত বুঝাতে ব্যর্থ হোন তাহলে প্রজেক্টটা ফেইল হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে কম্পানির অনেক টাকার লস হয়ে যাবে তাই মালিক আগে থেকেই চান ইংরেজী ফ্লুয়েন্টলি কথা বলতে পারেন, এমন কেউ আসুক তার কম্পানিতে।
তাহলে কম্পিউটারে যদি আপনি ভালো হোন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৪. বহু ভাষায় দক্ষতাঃ আবার এমন যদি হয় আপনি ইংরেজীর পাশাপাশি উর্দু, হিন্দি কিংবা কোরিয়ান ভাষায় দক্ষ মানে হচ্ছে আপনি অনর্গল কথা বলতে পারেন বুঝতে পারেন তাহলে এটাও আপনার জন্যে প্লাস পয়েন্ট এবং ইন্টারভিউ হোল্ডারদের জন্যে বাড়তি পাওয়া।
কারণ আপনার সিভি দেওয়া কম্পানি যদি হয় মাল্টিনেশনাল এবং তাদের বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে বাণিজ্য হয়ে থাকে তাহলে তাদের এমন এমপ্লয়ি লাগবে যারা কিনা অনেক ভাষায় কথা বলতে পারেন। আজকাল এই বহুভাষায় দক্ষ প্রার্থীদের অন্য সাধারণ প্রার্থী থেকে অনেক বেশি প্রায়ুরিটি দেওয়া হয় ফলে ঔই সব প্রার্থীদের
ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।
৫. আলাদা কোন বিষয়ে ট্রেইনিং থাকাঃ কম্পিউটার বা যদি অন্য কোন বিষয়ে ট্রেনিং থাকে তাহলে সেটা চাকরী ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্যে একটা প্লাস পয়েন্ট। যেমন হতে পারে আপনার তথ্য প্রযুক্তি কিংবা কোন মহান ব্যক্তি বর্গ যারা সাধারণত যুগপোযগী বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার করেন এবং আপনি যোগ দিয়েছেন তাহলে সেই সার্টিফিকেট আপনি চাইলে অ্যাড করতে পারেন।
এছাড়া অনার্স কিংবা মাস্টার্স এর পর বিষয় ভিত্তিক বিষয় ভিত্তিক বিষয়ের ওপর আলাদা কোর্স ছয়মাস কিংবা বছর ভিত্তিক করতে পারেন যেটা কিনা আপনি সিভিতে যুক্ত করতে পারেন ফলে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
৬. ভালো রেফারেন্স দেওয়াঃ সিভি সমাজে উচ্চ পদস্ত মানুষের যারা আপনাকে চিনে হতে পারে ভার্সিটি টিচার কিংবা কোন সরকারি প্রথম প্রর্যায়ের অফিসার তাদের রেফারেন্স দিতে পারেন। ফলে এটা আপনার মান অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় উচ্চ পদস্ত মানুষের রেফারেন্স দেখলেও আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়া সম্ভাবনা অন্য সবার চেয়ে বেড়ে যায়।
যেহেতু আমাদের সমাজে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাই বেশি তাই আপনাকে নিজের মধ্যে আলাদা কিছু পরিপূর্ণ করতে হবে। যাতে করে সিভি দেখা মাত্রই ইন্টারভিউ বোর্ডের মানুষ আপনাকে ডাকে ভাইভা নিতে। মনে রাখতে হবে যোগ্য মানুষ কখনো হেরে যান না, হাজারো মানুষের ভিড়ে তারা তাদের স্থান ঠিকিই করে নেন।
আশা করি উপরের ছয়টি বিষয় যদি আপনার সিভিতে থাকে তাহলে অবশ্যই ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকবে, ইন শা আল্লাহ।
কোন চাকুরী না পেলে কি বেকার থাকবো নাকি কোন ব্যবসা শুরু করে দেব? অথবা কি করবো ?

কোন চাকুরী না পেলে কি বেকার থাকবো নাকি কোন ব্যবসা শুরু করে দেব? অথবা কি করবো ?
আমাদের জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়তই আমরা কোনো না কোনো কাজের উপর নির্ভরশীল। কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে আমরা পরিবারের চাহিদাগুলো পূরন করার চেষ্টা করি। অনেকে পরিবারের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ উপার্জন করে আবার অনেকে তুলনামূলক খুব কম অর্থ উপার্জন করে। এই অর্থ আয়ের যে প্রক্রিয়াটা সেটা পুরোটাই নির্ভর করে কাজের উপর। আপনি কি কাজ করেন, কোন ধরনের কাজ করেন, কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের পরিধি কেমন, বিস্তার কতটা এসব কিছুর উপর নির্ভর করে যে আপনার কতটুকু লাভ হচ্ছে।
✔ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে ব্যবসায় না চাকুরি কোন কাজের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করছেন আর সেটা আপনার জন্য কতটা লাভজনক হয়েছে।
✔ অনেকের মাঝেই এমন প্রশ্ন বিদ্যমান থাকে যে আসলে ব্যবসায় আর চাকুরির মধ্যে কোনটা করলে আমি বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবো।
✔ তাই আজ আমরা ব্যবসায় এবং চাকুরি নিয়ে আলোচনা করবো এবং বিস্তারিত জানবো যে কোনটির মাধ্যমে আমাদের খুব বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় ??
ব্যবসায় হচ্ছে বিভিন্ন পন্য, শিল্প, নিয়ে গঠিত। যার ফলে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক তৈরি হয় লেনদেনের মাধ্যমে। যে কোনো ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্যই থাকে মুনাফা অর্জন। এবং তাদের লক্ষ্য থাকে জনগনের চাহিদা ও প্রয়োজনমতো যেকোনো পন্য সরবরাহ করা। ফলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনেক কম সময়ে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে।
☑ ব্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় :
▪ জনগনের চাহিদাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পন্য সরবরাহ।
▪ পণ্য আকর্ষনীয় করার জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজিং, স্লোগান ও লগো তৈরি।
▪ প্রয়োজনে অধিক পন্য সংরক্ষন, সংযোজন যাতে জনগন চাওয়া মাত্রই পন্য দেওয়া সম্ভব হয়। ▪ শুধুমাত্র একটি পন্য নয়, চাহিদা সম্পন্ন বিভিন্ন পন্য নিয়ে কাজ করা। এভাবে পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করলে খুব সহজেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লাভবান হতে পারে। যদিও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেক সময় বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই উচিত ঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রনয়ণ।
চাকুরি ক্ষেত্রে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় ??
চাকুরি হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। চাকুরি ক্ষেত্রে যে অর্থ উপার্জন করা হয় সেটা নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধি পায়। তাই এখানে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুবই কম। তবে চাকুরির মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এই চাকুরি দুই রকমের হয়ে থাকে যেমন:
1. সরকারি চাকুরি।
2. বেসরকারি চাকুরি।
সরকারি চাকুরি :- এই চাকুরির অর্থ সরকার দ্বারা প্রদত্ত তাই এই চাকুরিতে অর্থজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাসভিত্তিক সময় মতো অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা সবসময় বিদ্যমান। বরং এখানে নানা রকম সুবিধা রয়েছে। যেমন: প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বোনাস, বিভিন্ন ভাতা, প্রতি বছরে বেতন কিছুটা করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং চাকুরি শেষকালীন সময়ে পেনশন। তাই এই চাকুরিতে অর্থগত ঝুঁকি বা লোকসান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বেসরকারি চাকুরি:- এই চাকুরি যে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত তাই যদি কোনো প্রতিষ্ঠানটি কোনো রকম অর্থজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাহলে সেখানে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি কর্মচারীদের কিছু সময়ের জন্য অর্থজনিত সমস্যায় পরতে হয়। কারন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পন্য বা শিল্পের সাহায্যে ভোক্তা বা জনগনদের সেবা প্রদান করে অর্থ আয় করে । বিদেশে পন্য রপ্তানি করেও অর্থ আয় করে। এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমাদের দেশে। সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও অনেক এক প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানের। যে প্রতিষ্ঠান যত ভালো সার্ভিস দিতে পারে সেই প্রতিষ্ঠান ততটাই লাভবান হতে পারে। ফলে সব প্রতিষ্ঠান সবসময় সমানভাবে আয় করতে পারে না কখনো কম বা কখনো বেশি । এমনকি অনেক সময় অনেক বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার জন্য কর্মচারীদের কয়েক মাসের বেতন দিতে অক্ষম হয়ে যায় প্রতিষ্ঠান। সেই সময় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ চালু রাখে আর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রাখে কয়েক মাস বা বছরের জন্য। তখন কর্মচারীদের অর্থজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এমনকি চাকুরি চলে যাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যখন অনেক পরিমানে লোকসান দেখা যায়। যে কাজের মাধ্যমে কর্মচারীরা অর্থ উপার্জন করে। সেই কাজ যখন বন্ধ হয় তখন পরিবারের বহন খরচ তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পরে। এভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের মাধ্যমে কখনও লাভবান হয় আবার কখনও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন ও হয়।
লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও চাকুরি কাজের মাধ্যমে কি একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত ??
হ্যাঁ, নীতিগত ভাবে যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চাকুরির সাথে সম্পর্কিত কারণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারীরা চাকুরিরত অবস্থায় থাকেন। এমনকি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের মাধ্যমে কর্মচারিদের নির্দিষ্ট সময়ে বেতন প্রদান করে। অনেক সুবিধাও গ্রহন করেন কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে। প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বোনাসও পায় কর্মচারিরা তাই বলা যায় ব্যবসায় চাকুরির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। তবে সব চাকুরি ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। এমন অনেক চাকুরি রয়েছে যা মানুষেকে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আয় করে থাকে। যেমন : ডাক্তার, শিক্ষক । নীতিগত দিক দিয়ে ডাক্তারি এবং শিক্ষকতার চাকুরি কোনো রকম ব্যবসায়ের বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন নয়। এই পেশার কর্মরত ব্যক্তিরা সরকারি ও বেসরকারি দুই রকম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সেবা প্রদান করেন। তাই বলা যায় ব্যবসায় ও চাকুরি একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত থাকলেও সবরকম চাকুরি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নয় কিন্তু সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চাকুরির সাথে জড়িত। তাই লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও চাকুরি একে অন্যের সাথে জড়িত।
✔ ব্যবসায় ও চাকুরি মানুষ দ্বারা সংগঠিত। অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশকে কেন্দ্র করে কাজ করা হয় প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেই। তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি ভালো হতে পারে মন্দও হতে পারে, এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠনের আয়-ব্যয়, লাভ-লোকসান, ঝুঁকি ইত্যাদি ।
✔ অর্থাৎ, চাকুরির তুলনায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লাভবান হওয়াটা সহজ তবে ব্যবসায়ে লাভ-লোকসান, ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত ফলে সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে যেকোনো সময় লাভের অর্থ লোকসানে পরিনত হতে পারে । কিন্তু চাকুরিতে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না । যদি বেসরকারি চাকুরি হয় তবে সেখানে কিছু ঝুঁকি থাকে তার মধ্যে রয়েছে, সময় মতো বেতন না পাওয়া এবং যেকোনো সময় চাকুরি শেষ হয়ে যাওয়া।
উপসংহার...
পরিশেষে বলা যায় আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে কাজই করি না কেন সেটা ব্যবসায় হোক বা চাকুরি এই দুটোই আসলে একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত থেকে লাভবান হওয়ার জন্য কাজ করে। আসলে আমরা একে অন্যের সাথে এতোটাই তুলনা করতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি তাই সবসময় আমরা ভাবি যে কোন কাজ ভালো, কোন কাজ মন্দ, কোন কাজে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়, কোন কাজে কম অর্থ উপার্জন হয়, তবে আমরা ভুলে যাই যে যেকোনো কাজই প্রকৃতপক্ষে পরিশ্রমকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়। কিছু কাজে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং কিছু কাজে তুলনামূলক পরিশ্রম কম। কিন্তু পরিশ্রম করতেই হবে সেটা হোক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বা চাকুরির ক্ষেত্রে। তাই বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করেই যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করা সম্ভব।
Next Page
Home Page
|