Home Page
Selltoearn.com Latest Image Display |
Blog Id: 107
Blog Title: অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিক্স (Metaphysics)
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Blog Type: Education/Training
Location: ABROAD
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিক্স (Metaphysics) হল দর্শনের একটি শাখা যাতে বিশ্বের অস্তিত্ব, আমাদের অস্তিত্ব, সত্যের ধারণা, বস্তুর গুণাবলী, সময়, স্থান, সম্ভাবনা ইত্যাদির দার্শনিক আলোচনা করা হয়।[১] [২]এই ধারার জনক অ্যারিস্টটল। মেটাফিজিক্স শব্দটি গ্রিক ‘মেটা’(μετά) এবং ‘ফিজিকা’(φυσικά) থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[৩] অধিবিদ্যায় দুটি মূল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়[৪]–
সর্বশেষ পরিণাম কি ?
কিসের মত ?
মেটাফিজিক্স এর একটি মূল শাখা হল. সৃষ্টিতত্ত্ব (cosmology) এবং অন্য একটি শাখা হল- তত্ত্ববিদ্যা (ontology) ।
জ্ঞানতত্ত্ব (ইংরেজি: Epistemology; (শুনুনi/ᵻˌpɪstᵻˈmɒlədʒi/ টেমপ্লেট:Ety) জ্ঞানের[১][২] প্রকৃতি ও পরিধি সংশ্লিষ্ট দর্শনের শাখা। জ্ঞানতাত্ত্বিক অভিযাত্রা মূলত ‘জ্ঞান কি’ এবং ‘কিভাবে এটি অর্জিত হতে পারে’- এ-প্রশ্নগুলো নিয়েই। যেকোনো বিষয় বা সত্তা সম্পর্কে কী মাত্রায় জ্ঞান অর্জন করা যায়- এটা নিয়েও আলোচনা চলে। জ্ঞানের স্বরূপ বা প্রকৃতির দার্শনিক বিশ্লেষণ এবং এটি (জ্ঞানের স্বরূপ) কিভাবে সত্য, বিশ্বাস ও যাচাইকরণ ধারণার সাথে সম্পর্কিত- বেশিরভাগ বিতর্ক এটাকে কেন্দ্র করেই। গ্রিক "epistēmē" ও "logos" শব্দদ্বয়ের সংসক্তিতেই Epistemology শব্দটির উদ্ভব আর এই শব্দেরই বাংলা রূপ, জ্ঞানতত্ত্ব। স্কতিশ দার্শনিক জেমস ফেদারিক ফেরিয়ারের (James Frederick Ferrier) মাধ্যমে Epistemology শব্দটি আলোচনায় এসেছে।
Epistemology শব্দটি জার্মান ধারণা ভাইজেনসাফটসলেহার (Wissenschaftslehre) ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়েছে। হুসার্লের (Husserl) আগে এটি ফিকটে (Fichte) ও বোলযার (Bolzano) ব্যবহার করেছেন। [৩] জে. এফ. ফেরিয়ার দর্শনের ‘তত্ত্ববিদ্যা’ শাখার মডেল তৈরি ও জ্ঞানের অর্থ আবিষ্কার করার সময় শব্দটি ব্যবহার করেন। শব্দটি épistémologie (এর ইংরেজি রূপ, 'theory of knowledge) নামে ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, যেটা মূলের চেয়ে অনেকটা সংকীর্ণতর অর্থবাহী। এমিলি মেয়ারসন(Émile Meyerson) তার ‘Identity and Reality’ (১৯০৮) বইয়ে মন্তব্যসহকারে এভাবে বয়ান করেছেন।
জ্ঞান
জ্ঞান কি, জ্ঞান কিভাবে এবং পরিচয়ের মাধ্যমে জ্ঞান
সাধারণত জ্ঞানতত্ত্ব বা জ্ঞানবিদ্যায় জ্ঞানের যে ধরন সচরাচর আলোচনা করা হয় তা বাচনিক জ্ঞান(propositional knowledge), যে ‘জ্ঞান যা’ (knowledge that) হিসেবেও পরিচিত। এটা ‘জ্ঞান কিভাবে’ (knowledge how) ও ‘পরিচয়-জ্ঞান’ (acquaintance-knowledge)এর চেয়ে পৃথক। কিছু দার্শনিক ভাবেন যে, জ্ঞানতত্ত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট ‘জ্ঞান যা’, ‘জ্ঞান কিভাবে’ ও ‘পরিচয়-জ্ঞান’এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। বার্ট্রান্ড রাসেল তার পেপার On Denoting ও পরের বই Problems of Philosophy-এ "knowledge by description" ও "knowledge by acquaintance" এর মধ্যকার পার্থক্যে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন। গিলবার্ত রাইলও The Concept of Mind বইয়ে উদ্বিগ্নতার সাথে knowing how ও knowing that –এর মধ্যকার পার্থক্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। মিখাইল পোলানঈ (Michael Polanyi) তার Personal Knowledge বইয়ে knowing how ও knowing that-এর জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রাসঙ্গিকতার পক্ষে যুক্তি পেশ করেছেন। বাইসাইকেল চালনার সময়ে ভারসাম্য রক্ষার উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রস্তাব রাখেন যে, ভারসাম্য রক্ষা করা সম্পর্কে পদার্থবিদ্যার তাত্ত্বিক জ্ঞান কিভাবে তা চালানো যায় তার বাস্তব জ্ঞানের পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। কিভাবে উভয়কে প্রতিষ্ঠিত ও ভিত্তিশীল করা যায়, তাও তিনি প্রস্তাব করেন। এ-অবস্থায় রাইল যুক্তি দেন যে, knowledge that ও knowledge how-এর পার্থক্য স্বীকার করার অসামর্থ্যই অসীম পূর্বগতিকে (infinite regress) প্রণোদিত করে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু জ্ঞানতাত্ত্বিক, যেমন- সোসা (Sosa), গ্রেকো (Greco), ভানভিগ (Kvanvig), জাগজেবস্কি (Zagzebski) ও ডান্কান প্রিটচার্ড (Duncan Pritchard) যুক্তি দেন যে, জ্ঞানতত্ত্ব কেবল প্রস্তাবনা বা প্রস্তাবিত-মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়-আশয় নয়, জনগণের ‘বিষয়-আশয়’ (properties), বিশেষ করে বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যের (intellectual virtues) মূল্যায়ন করবে।
বিশ্বাস
বিশ্বাস করা মানে সত্য হিসেবে গ্রহণ করা । বিশ্বাস বলতে সাধারণত যেকোনো বুদ্ধিগম্য বিষয়কে সত্য হিসেবে গ্রহণকে বোঝায় । সাধারণ কথায় , বিশ্বাসের বিবৃতি (statement of belief) হলো বৈশিষ্ট্যগতভাবে কোনো সত্ত্বার অন্য কোনো শক্তি বা অন্য কোনো সত্ত্বার প্রতি ভক্তি বা আস্থার একটি প্রকাশ । যেখানে এটি এ জাতীয় বিশ্বাসকে নির্দেশ করে , সেখানে জ্ঞানবিদ্যা বা জ্ঞানতত্ত্ব কেবল এ-অর্থে নয় , ব্যাপক অর্থে শব্দটি গ্রহণ করে ।[৪]
সত্য
যদি কারো বিশ্বাস সত্য হয়, তবে তার বিশ্বাসের পক্ষে এটি যথেষ্ট নয়। অন্য কথায়, যদি কোনোকিছু প্রকৃতভাবে জানা যায়, তবে তা নিশ্চিতভাবে মিথ্যা হতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ, যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, একটি ব্রিজ তার পারাপারের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ, কিন্তু এটি অতিক্রম করার সময় দেখা যায়-এটি ভেঙে পড়লো, তখন এটা বলা যায় যে, ব্রিজটির নিরাপদ থাকার যে ‘বিশ্বাস’ তার ছিল তা ভুল ছিল। এ-বিশ্বাসকে ‘সঠিক’ বলা যাবে না এই জন্যে যে, ব্রিজটির নিরাপদ থাকার যে-ব্যাপারটি সে ‘জেনেছিল’, তা স্পষ্টভাবে ছিল না। ভিন্নভাবে বললে, যদি ব্রিজটি সঠিকভাবে তার ওজনকে সমর্থন করতো, তবে সে বলতে পারতো- সে বিশ্বাস করেছিলো যে ব্রিজটি নিরাপদ ছিল এবং এখন এটি প্রমাণ করার পর (অতিক্রম করার পর) সে ‘জানে’ ব্রিজটি নিরাপদ।
জ্ঞানতাত্ত্বিক বা জ্ঞানবিদ্যকরা বিশ্বাসকে সঠিক সত্যের বাহক (truth-bearer) বলেও যুক্তি দিয়েছেন। জ্ঞানকে কেউ কেউ খানিকটা যাচাইকৃত সত্য বিবৃতির পদ্ধতি, আবার কেউ কেউ যাচাইকৃত সত্য বাক্যের পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করতেন। প্লাতো তার গর্জিয়াসে (Gorgias) যুক্তি দেন যে, বিশ্বাস হচ্ছে অতি সাধারণভাবে প্রলুব্ধকারী সত্য-বাহক।
যাচাইকরণ
প্লাতোর অনেক ডায়ালগে, যেমন মেনো (Meno) এবং বিশেষ করে থিয়েটেটাস (Theaetetus)-এ, সক্রাতেস ‘জ্ঞান কি’ সংক্রান্ত কিছু মত বিবেচনা করেছেন, এবং শেষে এসে বলেছেন, জ্ঞান হচ্ছে সত্য বিশ্বাস যা কিছু উপায়ে পরীক্ষিত অথবা স্থিরিকৃত অর্থের (meaning) একটা হিসাব (given an account of)। জ্ঞান হচ্ছে যাচাইকৃত সত্য বিশ্বাস (justified true belief) - এই তত্ত্ব অনুসারে, প্রদত্ত বচন (proposition) সত্য, কিন্তু এই প্রাসঙ্গিক সত্য বচনকে কেবল বিশ্বাস করা হবে না, একে বিশ্বাস করার মতো ভালো যুক্তিও থাকতে হবে। এর একটি নিহিতার্থ এই যে, কোনো ব্যক্তি যেটা সত্য হিসেবে ঘটবে তা বিশ্বাস করা দ্বারা কেবল জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ, একজন রোগা লোক, যার কোন ডাক্তারি প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু সাধারণভাবে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আছে, বিশ্বাস করতে পারে যে, সে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। তার এই বিশ্বাস যদি সত্যে পরিণত হয়, তবু বলা যাবে না- রোগী নিশ্চিত করে ‘জানতো’ সে সুস্থ হবে। কেননা এটি ছিলো রোগীর যাচাইশূন্য বিশ্বাস (belief lacked justification)।
‘যাচাইকৃত সত্য বিশ্বাস’- জ্ঞানের এই সংজ্ঞা ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে গৃহীত ছিল না। এই সময়ে, মার্কিন দার্শনিক এডমুন্ড গেটিয়ারের একটি থিসিস পেপার জ্ঞানবিদ্যক এ-বিষয়কে ব্যাপক আলোচনার সম্মুখীন করেন।
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 101
Blog Title: কর্মজীবনে সাফল্য লাভের জন্য ছাত্র জীবনেই যেসব দক্ষতা অর্জন করা উচিত
Contact No.: 01727442293
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Blog Type: Education/Training
Location: DHAKA
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: পড়ালেখা শেষ করার পর আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে একটি ভালো চাকরি নেয়ার। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কর্মজীবনে সেই সুযোগটা হয় না। চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার কিছু দক্ষতা থাকা উচিত যেগুলোর কারণে চাকরিদাতা আপনাকে চাকরি দেবেন। আসলে এই দক্ষতাগুলোই আপনাকে অন্য আরেকজন চাকরিপ্রার্থী থেকে পৃথক করবে। বর্তমানে প্রায় সবাই জানেন, একটি চাকরির জন্য কী কী দক্ষতা থাকা আবশ্যক। চাকরিদাতারা আপনার মাঝে সেই গুণগুলোই দেখতে চান। আপনি যদি অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকতে চান, তাহলে আপনার নিচের গুণাবলিগুলো থাকা উচিত।
১. যোগাযোগ দক্ষতা
যোগাযোগ দক্ষতার ৩টি অংশ আছে। শোনা, বলা এবং লেখা। এই ৩টি গুণ একজন মানুষের মাঝে অবশ্যই থাকা উচিত। শুধু চাকরির জন্যই না, আমাদের দিনে প্রতিনিয়তই কারো না কারোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। তো চাকরির ক্ষেত্রে, আপনাকে প্রতিদিনই ফোনে কথা বলতে হয় অথবা ইমেইল পাঠাতে হয়। আপনার অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলার অভ্যাস কেমন কিংবা আপনি কীভাবে ইমেইল লিখে পাঠাচ্ছেন তা তারা লক্ষ্য করে। সাক্ষাতকারেই তারা এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করে। আপনি তাদের কাছে আপনার পরিচয়পত্র কীভাবে লিখে পাঠাচ্ছেন, ব্যকরণগত ভুল কীরকম করছেন এগুলো থেকে তারা আপনার লেখার দক্ষতা খেয়াল করে। আর আপনি তাদের কথা বুঝতে পারছেন কি না তা থেকে বোঝা যায় আপনার শোনার দক্ষতা। তাই আজ থেকেই এই দক্ষতাগুলো অর্জনের জন্য বেশি বেশি বই পড়া শুরু করুন। নতুন মানুষজনের সাথে মেশার চেষ্টা করুন। এটা আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
যোগাযোগ দক্ষতা
যোগাযোগ দক্ষতা; Source: Lynda.com
২. অনুধাবন এবং গবেষণা দক্ষতা
“ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”। সাক্ষাতকারের সময় এই ভাবাভাবির সময় না থাকলেও, আপনার যদি অনুধাবন করার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কোনো প্রশ্নেরই হুটহাট উত্তর দেয়া উচিত নয়। আগে ভেবে দেখুন আপনাকে কী প্রশ্ন করা হয়েছে। তারপর দেখুন এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিলে সুন্দর হয়। তবে এজন্য আগে থেকেই অভ্যাস থাকতে হয়। আপনি যত বেশি গবেষণা করবেন, তত বেশি জানতে পারবেন। জানার তো আর শেষ নেই। তবে আপনার গবেষণা করার অভ্যাস থাকলে, সহজেই যেকোনো প্রশ্ন অনুধাবন করতে পারবেন। এটি আপনাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে রাখবে।
অনুধাবন
অনুধাবন; Source: Lynda.com
৩. মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা
এটি হলো আপনি আপনার চারপাশের পরিস্থিতির সাথে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন তার দক্ষতা। সময় তো আর সবসময় পক্ষে থাকে না। পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন, আপনার নিজেকে মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। আপনার হয়তো একসাথে অনেক কাজ পড়ে গেলো। এগুলো সামাল দিয়ে ওঠার জন্য আপনার এই দক্ষতা থাকা উচিত। এজন্য আপনি ছাত্রজীবনেই কোনো সংঘের সাথে জড়িত থাকতে পারেন। অথবা কোনো সংঘ পরিচালনা করতে পারেন। এভাবে আপনি এই দক্ষতা অর্জন করতে শিখবেন।
মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা
সবার সাথে মানিয়ে নেয়া; Source: kit8.net
৪. অন্যের মানসিকতার সাথে মানিয়ে নেয়া
দলগত কাজের সময় এই গুণটি থাকা আবশ্যক। একটি দলের সবার মানসিকতা সমান হয় না। সবাই তো আর সব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। কিন্তু সবার মন রক্ষা করে চলাও সম্ভব না। তাই কারো যাতে ক্ষতি না হয়, সেই দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হয়। বিভিন্ন সংঘের হয়ে কাজ করলে আপনি ছাত্রাবস্থাতেই এই গুণ অর্জন করবেন।
৫. সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রতিদিন আমরা অনেক সমস্যার সামনে পড়ি। সেই সমস্যা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিই এবং একটি সমাধান বের করি। কিন্তু হুট করেই তো আর সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। এজন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া উচিত। তারা এই ধরনের সমস্যা কীভাবে সমাধান করেছে তা দেখা উচিত। এভাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখতে পারি। আর নিজের এই দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই কোনো না কোনো সংঘের সাথে জড়িত থাকা উচিত।
সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা
সমস্যার সমাধান বের করে সিদ্ধান্ত নেয়া; Source: LinkedIn
৬. একসময়ে একাধিক কাজ করার দক্ষতা
আপনি যখন একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিবেন, তখন আপনাকে বলা হয় যে, আপনি এই কাজগুলো করবেন। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাকে আরো বাড়তি কিছু কাজ করা লাগতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি যাতে সাদরে সেই কাজ গ্রহণ করতে পারেন, সেই মানসিকতা থাকা উচিত। এতে বাড়তি হিসেবে, আপনি হয়তো আপনার কর্মক্ষেত্রের প্রধানের সুনজরেও চলে আসতে পারেন! তাই আপনি যদি এখনও ছাত্রজীবনে থাকেন, তবে এখনই এই ধরনের মানসিকতা আনার জন্য কাজ করতে থাকুন।
একসাথে একাধিক কাজ করা
একসাথে একাধিক কাজ করা; Source: Medium
৭. নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা
মানুষজন নেতা এবং মনিব এর মাঝে পার্থক্য জানতে চায়। নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আর মনিব পিছন থেকে পরিচালনা করেন। - থিওরো রুজভেল্ট (সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি)।
দলগত কাজের সময় আপনাকে যদি প্রধান করা হয়, তবে আপনার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার মানসিক অবস্থা থাকতে হবে। আপনার উপর নির্ভর করছে আপনার দলের বাকি সবার অবস্থা কেমন হবে। এই নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা আজকের চাকরির বাজারে আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে। তাই এখন থেকেই কোনো না কোনো সংঘে যোগ দিয়ে ফেলুন।
নেতৃত্ব দেয়া
নেতৃত্ব দেয়া - TLNT.com
৮. ভুল স্বীকার করা এবং ভুল থেকে শেখার দক্ষতা
প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের ভুল পদক্ষেপ আসতেই পারে। মানুষ মাত্রই ভুল। তাই ভুল স্বীকার করে নিয়ে নিজেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু আপনি যদি উল্টোটা করেন? নিজের ভুল জেনেও তা স্বীকার করছেন না। এতে আপনি নিজের পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানেরও ক্ষতি করছেন। তার উপর এতে করে আপনার প্রতি সবার একটি বিরূপ মানসিকতা তৈরি হতে পারে। সেই সাথে আপনি নিজেকেও নতুন কিছু শেখা থেকে বিরত করছেন। তাই এখন থেকেই নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা তৈরি করুন।
ভুল স্বীকার করা এবং এর থেকে শিক্ষা নেয়া
ভুল স্বীকার করা এবং এর থেকে শিক্ষা নেয়া; Source: Infiniteach
৯. আত্মবিশ্বাস এবং জনসম্মুখে কথা বলা
আত্মবিশ্বাসের জোরে আপনি যেকোনো অসাধ্যকে সাধ্য করে ফেলতে পারেন! আমার আত্মবিশ্বাস আমার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে আসে না। আসে আমার কর্ম থেকে। - রন পার্লম্যান (মার্কিন অভিনেতা)।
আত্মবিশ্বাস অর্জন করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অনেক জানতে হবে। আপনার পোষাক-পরিচ্ছদ কেমন হলো, তা কোনো বিষয় না। বিষয় হলো, আপনি কী জানেন! আপনাকে বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের হয়ে সবার সামনে কথা বলতে হবে। এজন্য আপনার অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন বই পড়তে পারেন, বিভিন্ন কর্মশালা করতে পারেন, বিভিন্ন সংঘের সদস্য হতে পারেন। এগুলো আপনাকে ব্যবহারিক জীবনে অনেক সাহায্য করবে।
জনসম্মুখে কথা বলা
জনসম্মুখে কথা বলা; Source: YouTube
১০. সৃজনশীলতা
এখনের যুগটাই সৃজনশীলতার। যে যত বেশি সৃজনশীল, তার সামনে সুযোগও তত বেশি। তাই আপনার নিজের মাঝে কী সৃজনশীল প্রতিভা আছে তা খুঁজে বের করুন। আপনার সৃজনশীলতাই আপনাকে কর্মক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনি হয়তো ভালো আঁকতে পারেন, ভালো গাইতে পারেন, ভালো লিখতে পারেন। এমন অনেক প্রতিভাই আপনার মধ্যে আছে। সেগুলো দিয়েই নিজেকে চেনাতে চেষ্টা করুন।
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা; Source: liveplan.com
এই দক্ষতাগুলো আপনার নিজেকে অর্জন করে নিতে হবে। এজন্য ভালো ভালো লেখকদের বই পড়ুন, সৎ সঙ্গের সাথে থাকার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটি সংঘে যোগদান করুন। বিতর্ক সংঘ, কর্ম সংঘ, ব্যবসা সংঘ, সমাজসেবামূলক সংঘ এমন আরো অনেক সংঘ আছে যেগুলো আপনাকে মানসিক ও সৃজনশীল দক্ষতা অর্জন এবং নিজের সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করবে।
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 100
Blog Title: অর্থহীন পৃথিবীর অর্থহীনতার অস্তিত্ববাদ এবং জাঁ পল সার্ত্রে
Contact No.: 01727442293
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Blog Type: Education/Training
Location: ABROAD
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ২০ শতকের বিখ্যাত ফরাসি লেখক, বুদ্ধিজীবী, দার্শনিক জাঁ পল সার্ত্রে বিখ্যাত হয়ে আছেন তার অস্তিত্ববাদ বিষয়ক দর্শনের জন্য। দর্শনের ইতিহাসে তার ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ বইটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী বইগুলোর একটি। এ বইয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারও। অথচ ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক অভিহিত করে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি! ইতিহাসে তার মতো এরকম সাহস কেবল দেখাতে পেরেছিলেন আর একজন ব্যক্তিই। যা-ই হোক, সেসব পরে জানবো। এই লেখায় আমরা মূলত সার্ত্রের অস্তিত্ববাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
‘একজিসটেনশিয়ালিজম’ বা অস্তিত্ববাদে যাবার আগে ‘এসেনশিয়ালিজম’ সম্পর্কে জানতে হবে। এসেনশিয়ালিজম শব্দটির কাছাকাছি বাংলা অর্থ হতে পারে সারবাদ বা সারাংশবাদ। আপনি কখনো “জীবনের অর্থ কী” এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন? যদি হয়ে থাকেন তাহলে এটা নিশ্চিত যে হুট করেই কোনো উত্তর আপনি দিতে পারেননি। কিংবা চিন্তা-ভাবনা করে উত্তর দিয়েও আদতে নিজের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ আপনার দলেই আছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ! জীবনের অর্থ বলতে কেউ বলবে প্রেম, কেউ বলবে ঈশ্বর, আবার কেউ বলবে মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসাটাই জীবনের অর্থ। প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে সহজ উত্তর এটিই। পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রতিটি জীব/জড়ের একটি নির্দিষ্ট পরিচয়, সত্ত্বা কিংবা নির্যাস রয়েছে যা তার অস্তিত্বের অর্থ বহন করে। এই ভাবনাকে বলা হয় এসেনশিয়ালিজম। একটি চাকুর হাতল কাঠের বা লোহার হতে পারে। কিন্তু কেবল হাতলের সাথে যদি কোনো ব্লেড না থাকে, তাহলে সেটিকে কেউ চাকু বলবে না। কারণ ব্লেড হচ্ছে চাকুর পরিচায়ক নির্যাস। আবার মানুষ বুদ্ধি, বিবেক নিয়ে পৃথিবীতে আসে বলে সে মানুষ। বুদ্ধি না থাকলে দর্শনের ভাষায় বলায় যায় মানুষ হিসেবে তার ‘এসেন্স’ নেই। আমরা সাধারণত বলে থাকি লোকটি অন্তঃসারশূন্য।
যারা জীবনের অর্থ নিয়ে ভাবেন না, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু অনেক মানুষ আমৃত্যু জীবনের অর্থ খুঁজতে থাকেন এবং ব্যর্থতা নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করেন। এক্ষেত্রে ভাবুকদের সহায়তায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এসেনশিয়ালিজম নামক এই দার্শনিক মতবাদের প্রবর্তন করেন প্লেটো এবং তার শিষ্য অ্যারিস্টটল। এই তত্ত্ব বলে যে, প্রতিটি বস্তুকে নিজের অস্তিত্ব অর্থবহ করতে হলে কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য বহন করতে হয়। চাকুর উদাহরণে এটি স্পষ্ট হবার কথা। প্লেটোর মতে, মানুষের জীবনের অর্থ এই যে সে মানুষ। মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলী তার অস্তিত্বকে সার্থক করে। সকল মানুষের মাঝেই সেসব গুণাবলী রয়েছে। যারা এসব গুণাবলীর সদ্যবহার করে, তাদের আমরা সৎ মানুষ বলি। বিপরীত দিকে রয়েছে অসৎ মানুষ।
দর্শন হচ্ছে বহমান নদীর মতো, যা সময়ের সাথে সাথে বাঁক পরিবর্তন করে। পূর্বসূরীর করে যাওয়া চিন্তা-ভাবনার সূত্র ধরেই নতুন চিন্তা-ভাবনার উদ্ভব হয়। ১৯ শতকে যেমন জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটশের হাত ধরে এলো ‘নায়ালিজম’ বা ধ্বংসবাদ, যা বিশ্বাস করে সবকিছুর চূড়ান্ত অর্থহীনতায়। নিটশের এই তত্ত্বের ধারাবাহিকতায় পরের শতকেই সুপ্রাচীন এসেনশিয়ালিজমের দিকে আঙ্গুল তোলেন জাঁ পল সার্ত্রে। তার মতে, আমাদের অস্তিত্ব আমাদের পরিচয়ের অগ্রবর্তী। অর্থাৎ, মানবীয় গুণাবলীর মতো উপাদানগুলোর পূর্বে আমাদের অস্তিত্ব জরুরি। অস্তিত্ব লাভ করে তবেই আমরা নিজেদের জীবনের অর্থ খুঁজি। তার এই ভাবনাই ‘একজিসটেনশিয়ালিজম’ নামক দর্শনের নতুন ধারার কাঠামো তৈরি করে।
সার্ত্রের এ ভাবনা খুব সহজ মনে হলেও সে সময় তা ছিল বৈপ্লবিক। কারণ, এসেনশিয়ালিজমে বিশ্বাসী মানুষ বিশ্বাস করতো তারা নিজেদের পরিচয় নিজেরা সৃষ্টি করে না, বরং সৃষ্টিকর্তা সব ঠিক করে দেন। কিন্তু অস্তিত্ববাদ মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য মানুষের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়। এটুকু পড়ার পর যে কেউ ভাববেন যে, অস্তিত্ববাদ পুরোপুরি নিরীশ্বরবাদী। এই ভাবনাটা অমূলক নয় যতক্ষণ না আপনি আরো বিস্তারিত জানবেন। অস্তিত্ববাদ কেন নাস্তিকতার অনুরূপ নয়, তা বুঝতে হলে জানতে হবে ‘টিলিওলজি’ বা পরমকারণবাদ কী। পরমকারণবাদের মূল কথা হচ্ছে আনুষঙ্গিক সকল কার্যকরণ বাদ রেখে কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা কেবলই এর উদ্দেশ্য দিয়ে করতে হবে। মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে পরমকারণবাদের বক্তব্য অনেকটা এরকম, “সৃষ্টিকর্তা কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে রেখেই পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি করেছেন।”
অস্তিত্ববাদ সরাসরি পরমকারণবাদকে অস্বীকার করে। অস্তিত্ববাদের দাবি হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী এবং মানুষ কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে রেখে সৃষ্টি করেননি। অর্থাৎ, অস্তিত্ববাদ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে না। আর এখানেই সমস্যা জটিলতর হতে শুরু করে। যখনই আপনি পরমকারণবাদ অস্বীকার করবেন, তখনই পৃথিবীতে আপনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড এমনকি অস্তিত্বই অর্থহীন হয়ে পড়বে। সহজ ভাষায় বললে, সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষকে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে না রেখে সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? নির্দিষ্ট সময়কাল পর প্রতিটি মানুষই মৃত্যবরণ করে। সেক্ষেত্রে পরমকারণবাদ অস্বীকার করা মানে মৃত্যুপরবর্তী সৃষ্টিকর্তার কোনোরূপ জবাবদিহিতায় বিশ্বাস না করা। আর যদি ব্যাপারটা এরূপই হয়ে থাকে (যা প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক), তাহলে পৃথিবীতে সততা আর ন্যায়ের মতো ব্যাপারগুলোর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
এরকম একটি পরিস্থিতিতে তৈরি হয় নতুন এক সমস্যা, যার নাম ‘অ্যাবসারডিটি’ বা অর্থহীনতা। দর্শনের দৃষ্টিতে এই অর্থহীনতার অর্থ প্রচলিত অর্থের মতো নয়। অর্থহীনতা হচ্ছে অর্থহীন পৃথিবীতে নিরন্তর অর্থ খোঁজা, নিরুত্তর পৃথিবীতে প্রাণপণে উত্তর খোঁজা। একদিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ায় সকল প্রকার ন্যায়, ন্যায্যতা, নিয়ম শৃঙ্খলা, আইনকানুন অর্থহীন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিই আবার নিরন্তর অর্থ খুঁজে চলে। যেকোনো কাজের পেছনে অর্থ খুঁজে না পেলে মানুষ সে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করে। অস্তিত্ববাদের এ অংশের অসাড়তা দূর করতে সার্ত্রে হাজির করেন ‘অথেনটিসিটি’ বা প্রামাণিকতার গুরুত্ব।
একদিকে অস্তিত্ববাদ বলছে জীবনের কোনো অর্থ নেই, পৃথিবীর কোনো অর্থ নেই। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রতিনিয়ত অর্থ প্রয়োজন। সার্ত্রে বেঁচে থাকার এই অপরিহার্য উপাদান অর্থের খোঁজ পেয়েছেন প্রামাণিকতা থেকে। তার মতে, একজন মানুষের জীবনের অর্থ তা-ই যা সে নিজে তৈরি করে নেয়। একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য তা-ই, যা সে নিজে সৃষ্টি করে নেয়। সার্ত্রে এখানে একটি চমৎকার উদাহরণ ব্যবহার করেছেন।
মনে করুন, রহিম নামক এক যুবক যুদ্ধে যেতে চায়। আবার বাড়িতে নিজের একাকী বৃদ্ধ মা কে ফেলে যেতেও তার মন সায় দেয় না। সে যদি যুদ্ধেই যায় শেষতক, তাহলে একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, যদিও তার ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ খুব একটা প্রভাব ফেলবে না যুদ্ধের ফলাফলের উপর। কিন্তু সে যদি যুদ্ধে না গিয়ে মায়ের সেবা করে, তাহলে একজন মানুষ সর্বাত্মকভাবে উপকৃত হবেন, কিন্তু সামষ্টিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরকম সমস্যার সমাধান পৃথিবীর কেউ দিতে পারবে না রহিম নিজে ছাড়া। যুদ্ধে যাওয়া অথবা মায়ের সেবা করা, রহিম যে সিদ্ধান্তই নেবে সেটি হবে তার জন্য অর্থবহ। অন্য কথায়, রহিম নিজের জীবনের অর্থ বা উদ্দেশ্য নিজের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই নির্ধারণ করবে।
এক্ষেত্রে রহিম দুটি সিদ্ধান্ত পরস্পরের সাথে তুলনা করে, প্রামাণিকতা বিবেচনা করে একটি গ্রহণ করতে পারবে। তাই অস্তিত্ববাদে পৃথিবী ততক্ষণ অর্থহীন এবং উদ্দেশ্যহীন যতক্ষণ না মানুষ সেখানে কোনো অর্থ বা উদ্দেশ্য সৃষ্টি করে নিচ্ছে। একই বক্তব্য পৃথিবীতে শৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য উদ্ভব হওয়া নীতি নৈতিকতার ক্ষেত্রেও সত্য। পৃথিবীকে শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখতে মানুষই ন্যায়-নীতি, সততা আর ন্যায্যতার মতো ব্যাপারগুলো সৃষ্টি করেছে। একজন মানুষ যখন ডাক্তার হয়, তখন সে মানুষের চিকিৎসা করাকে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে নিজে ঠিক করে নেয়। তার জীবনের গতিপথ পূর্বনির্ধারিত নয়। অন্তত অস্তিত্ববাদ তাই বলে। অস্তিত্ববাদ বিষয়ক উপরোক্ত সম্পূর্ণ আলোচনার সারকথা ফরাসি দার্শনিক আলবেয়ার কামুর একটি উক্তিতে ফুটে উঠেছে।
“জীবনের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে যা কিছু করি তা-ই।”- আলবেয়ার কামু
জাঁ পল সার্ত্রের আরেকটি অসাধারণ কাজ হচ্ছে ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’। এই বইয়ে তিনি সকল ঘটনার পেছনে দুটি বাস্তবতা আছে বলে উল্লেখ করেন। একটি হচ্ছে সত্তা এবং অন্যটি চেতনা। একদিকে থাকে আমাদের চেতনা তৈরি করার বস্তুগত সত্তা, অন্যদিকে থাকে সেই সত্তা হতে সৃষ্ট চেতনা বা জ্ঞান। সার্ত্রে এক্ষেত্রে দুটি নাম ব্যবহার করেছেন। ‘দ্য বিং ইন ইটসেলফ’ যা হচ্ছে সত্তা নিজে এবং ‘দ্য বিং ফর ইটসেলফ’ যা হচ্ছে সত্তার জন্য সৃষ্ট চেতনা। অর্থাৎ, মোটা দাগে দুটি বিষয় পৃথিবীতে বিরাজমান। একটি হচ্ছে ‘থিং’ বা সত্তা/জীব/পদার্থ/বস্তু এবং অপরটি হচ্ছে ‘নো-থিং’ (Nothing= No thing) বা চেতনা, যা কোনো বস্তু নয়।
সার্ত্রে তার অস্তিত্ববাদের জন্য নানামুখী সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক সমালোচকের চোখে তার দার্শনিক যুক্তিতর্ক অনেকাংশে অধিবিদ্যার উপর নির্ভরশীল, যদিও সার্ত্রে সবসময় দাবি করেছেন তার দর্শনের সাথে অধিবিদ্যার সম্পর্ক নেই। ব্রায়ান সি এন্ডারসন নামক একজন আমেরিকান লেখক তো সার্ত্রের সমালোচনা করতে গিয়ে দাবি করেন যে তিনি স্টালিনিজম ও মাওইজমের সমর্থক! তার যুক্তি এরূপ ছিল যে, অস্তিত্ববাদ দ্বারা সার্ত্রে পৃথিবীর সবকিছুকে অর্থহীন প্রমাণ করার মাধ্যমে স্টালিন আর মাও সে তুং এর মতো ব্যক্তিদের ধ্বংসযজ্ঞের সাফাই গেয়েছেন! তবে সার্ত্রে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন ফ্রাঞ্জ ফানোর ‘দ্য রেচড অব দ্য আর্থ’ বইয়ের মুখবন্ধ লিখে। এই মুখবন্ধে তিনি নিম্নোক্ত উক্তিটি করেন-
“একজন ইউরোপীয়কে গুলি করা মানে এক ঢিলে দুই পাখি মারা! এতে একজন অত্যাচারী এবং একজন অত্যাচারিত ব্যক্তি ধ্বংস হয়, আর অবশিষ্ট থাকে একটি মৃতদেহ এবং একজন স্বাধীন মানুষ!”- জাঁ পল সার্ত্রে
সার্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখাগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হলো।
১) নওসিয়া
২) এজ অব রিজন
৩) নো এক্সিট
৪) ডার্টি হ্যান্ডস
৫) ডেভিলস অ্যান্ড দ্য গুড লর্ড
৬) সার্ত্রে (আত্মজীবনী)
৭) দ্য ট্রান্সেন্ডেন্স অব দ্য ইগো
৮) দ্য ইমাজিনারি
৯) বিং অ্যান্ড নাথিংনেস
১০) ক্রিটিক অব ডায়ালেকটিক্যাল রিজন
১১) অ্যান্টি সেমেটিক অ্যান্ড জ্যু (সমালোচনা)
১২) সিচুয়েশনস ১-১০ (সমালোচনা)
জাঁ পল সার্ত্রে ১৯০৫ সালের ২১ জুন ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার বাবা মারা গেলে তার মা তাকে নিজের পৈতৃক নিবাসে নিয়ে যান। সার্ত্রের নানাবাড়িতে ছিল দর্শনের বইয়ে সমৃদ্ধ এক বিশাল লাইব্রেরি, যা মূলত তার দার্শনিক হয়ে ওঠার বড় প্রভাবক। স্থানীয় স্কুল মাধ্যমিক শেষ করে তিনি ‘ইকোল নহমাল সুপেহাইয়ো’ কলেজে ভর্তি হন উচ্চশিক্ষার জন্য। ততদিনে তিনি ইমানুয়েল কান্ট, হাইডেগার, হুসার্ল, হেগেল আর দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন পড়ে ফেলেছেন। ইকোলে পড়ার সময়ই তার বন্ধুত্ব হয় বিখ্যাত দার্শনিক এবং নারীবাদী সাইমন ডি বিউভয়েরের সাথে।
১৯৩৯ সালের দিকে ফরাসি সৈন্যবাহিনীর সাথে যোগ দেন সার্ত্রে। এক বছরের মাথায়ই নাৎসিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে বন্দী হন। প্রায় ৯ মাস বন্দী থাকার পর তার দার্শনিক জ্ঞানের জন্য নাৎসিরা তাকে ছেড়ে দেয় এবং একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চালাকালেই তার ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ ও ‘নো এক্সিট’ প্রকাশিত হয়। ষাটের দশক থেকে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন। তিনি কিউবা ভ্রমণ করেন এবং ক্যাস্ট্রো ও গুয়েভারার সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে তার কলম এবং কণ্ঠ থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হতো। এরই মাঝে তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল নোবেল কমিটি। তিনি এই উক্তিটির মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
“আমি সবসময় আনুষ্ঠানিক সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানাই। একজন লেখকের নিজেকে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উচিৎ না। আমার এই মনোভাব, লেখক হিসেবে আমার কর্মোদ্দম থেকে তৈরি হয়েছে। একজন লেখক যিনি সাহিত্যিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে যৌক্তিক অবস্থান গ্রহণ করেন, তাকে অবশ্যই নিজের স্ব-কর্মক্ষেত্রের ভেতরেই থাকা উচিৎ, আর তা হচ্ছে লেখা।”
সার্ত্রের জীবন সম্পর্কে দর্শন ছিল অত্যন্ত সহজ সরল। তিনি মনে করতেন, তার কলম যতটুকু প্রতিবাদী হবে, তার নিজেকে ঠিক ততটুকুই প্রতিবাদী হতে হবে। এজন্যই তিনি আমৃত্যু সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন, যোগ দিয়েছেন অসংখ্য আন্দোলন আর প্রতিবাদে। তিনি বিয়েতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তার আমৃত্যু জীবনসঙ্গী বিউভয়ের এবং তিনি, উভয়েই বহুগামীত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। সত্তরের দশকে সার্ত্রের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ১৯৭৩ সালে তিনি দর্শনক্ষমতা হারিয়ে অন্ধ হন। ১৯৮০ সালের ১৫ এপ্রিল, বিউভয়েরের মৃত্যুর ৩ মাস পর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সার্ত্রে। প্যারিসের মন্টপারনাসে সমাধিক্ষেত্রে বিউভয়েরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
ফিচার ছবি: the-philosophy.com
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 97
Blog Title: ভাষার উৎস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Blog Type: Education/Training
Location: ABROAD
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: ভাষার উৎস (ইংরেজি: Origin of language), যার ভাষাবৈজ্ঞানিক ইংরেজি নাম গ্লটোগনি বা গ্লসোগনি (Glottogony, Glossogeny), নিয়ে বহু শতাব্দী ধরে লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু ভাষার পরিবর্তনশীলতার জন্য প্রাচীন ভাষাগুলির উৎসের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য প্রায় নেই বললেই চলে। মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসে আকার-ইঙ্গিতের নির্বাক অথবা প্রাক-ভাষা থেকে অন্তত একবার মৌখিক ভাষার জন্ম হয়। কিন্তু এর বেশি জানা নেই। বর্তমান মানব সভ্যতার কোথাও এখন সেই আদিম প্রাক ভাষার অস্তিত্ব নেই[১]। বিজ্ঞানীরা তাই বিভিন্ন অপ্রত্যক্ষ পদ্ধতি (indirect method) প্রয়োগ করে ভাষার উৎস খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
৮০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার কিছু জঙ্গলে বাস করত এপ-জাতীয় কিছু প্রাণী। এই এপ-জাতীয় প্রাণীগুলির মধ্যে শিম্পাঞ্জি ও মানুষদের পূর্বপুরুষও ছিল। এরা সম্ভবত ছিল বর্তমান গরিলাদের মত। এরা মূলত বৃক্ষে বসবাস করত, মাটিতে চার পায়ে হাঁটত এবং বিশ-ত্রিশটার মত ভিন্ন ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করত। আজ থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে মানুষের পূর্বপুরুষ প্রাণীটি শিম্পাঞ্জিদের পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে এই প্রাণীগুলির ভাষা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশ উন্নত; কিন্তু মানুষদের এই আদি পূর্বপুরুষদের ভাষার প্রকৃতি সম্পর্কে খুব কমই জানতে পারা গেছে। আধুনিক মানুষ তথা Homo Sapiens-এর ভাষার উৎস নিয়ে বিংশ শতাব্দীর বেশির ভাগ সময় ধরেই তেমন গবেষণা হয়নি। কেবল অতি সম্প্রতি এসেই এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞানী, জিনবিজ্ঞানী, প্রাইমেটবিজ্ঞানী এবং স্নায়ুজীববিজ্ঞানীদের আহরিত তথ্য কিছু কিছু ভাষাবিজ্ঞানী খতিয়ে দেখছেন।
বিশ্বের অনেক ধর্মেই ভাষার উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে। ইহুদী-খ্রিস্টান-ইসলাম ধর্মের ধারায় বলা হয়, ঈশ্বর প্রথম মানুষ আদমকে বিশ্বের যাবতীয় পশু-পাখীর উপর কর্তৃত্ব দেন, এবং আদম এই সব পশু-পাখির একটি করে নাম দেন; এটি ছিল আদমের ভাষাজ্ঞানের প্রথম বড় প্রয়োগ। বর্তমানে পৃথিবীতে ভাষার প্রাচুর্যের কারণ হিসেবে বাবেলের মিনারের কাহিনীর উল্লেখ করা হয়; এই কাহিনী অনুসারে বর্তমান পৃথিবীতে ভাষার প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্য হল মানুষের ঔদ্ধত্যের শাস্তি। এই ধর্মীয় কাহিনীগুলি অতীতে মেনে নেয়া হলেও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ভাষার উৎসের একটি প্রাকৃতিক, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
১৮শ শতকের বেশ কিছু ইউরোপীয় দার্শনিক যেমন জঁ-জাক রুসো, কোঁদিয়াক, হার্ডার, প্রমুখ মনে করতেন ভাষার উৎস নির্ণয় করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। ভাষা যে মানুষের লিখিত ইতিহাসের চেয়ে বহু প্রাচীন, এ ব্যাপারটিকে তারা তেমন আমল দেননি। তাঁরা মনে করেছিলেন, ভাষাহীন মানুষ কীভাবে বসবাস করত, তা মনের পর্দায় গভীরভাবে কল্পনা করে যৌক্তিকভাবে এগোলেই ভাষার কীভাবে উৎপত্তি হল, সে বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই অনুমানগুলির মধ্যে কোন ঐকমত্য নেই। ১৯শ শতকে ভাষার উৎস নিয়ে এমন সব উদ্ভট, কল্পনাপ্রসূত তত্ত্বের অবতারণা করা হয়েছিল, যে ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে প্যারিসের ভাষাতাত্ত্বিক সমিতি একটি নির্ভরযোগ্য সংগঠন হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের সমিতিতে ভাষার উৎস সংক্রান্ত যেকোন গবেষণাপত্র পাঠে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আজও বেশির ভাগ ভাষাবিজ্ঞানী ভাষার উৎস সম্পর্কে তেমন আগ্রহী নন, কেননা তাদের মতে ভাষার উৎস নিয়ে যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত এতটাই কল্পনাপ্রসূত যে এগুলিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বের সাথে নেয়া সম্ভব নয়।
১৯৬০-এর দশক থেকে নোম চম্স্কির প্রবর্তিত ধারণাগুলি ব্যাকরণের তত্ত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চম্স্কির মতে ভাষাবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় একটি প্রশ্ন হল মস্তিষ্কে অন্তর্নিহিত যে ক্ষমতাবলে মানুষ তার জীবনের প্রথম বছরগুলিতে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দক্ষভাবে কোন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করে, সেই জৈবিক ক্ষমতার প্রকৃতি কী? এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাষার উৎসের গবেষণা বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানের একটি অংশ বলেই মনে হয়। কীভাবে আদি মানুষের মধ্যে এই অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বিকাশ ঘটেছিল? অন্যান্য প্রাইমেটদের মধ্যে কীভাবে এর বিবর্তন ঘটে? চম্স্কি নিজে অবশ্য বেশ স্পষ্টভাবেই ভাষার বিবর্তন নিয়ে গবেষণাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। ফলে চমস্কীয় ভাষাবিজ্ঞানীরা এক ধরনের স্ববিরোধিতার মধ্যে কাজ করছেন। তাঁরা সব ভাষাকে একটিমাত্র বিশ্বজনীন ব্যাকরণের আওতায় এনে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন, যে ব্যাকরণের উৎস হল মানুষের অন্তর্নিহিত ভাষিক ক্ষমতা। অথচ এই ক্ষমতাটির উদ্ভব ও বিকাশ কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে তাঁরা খুব একটা চিন্তিত নন। ইদানীং স্টিভেন পিংকার-সহ আরও কিছু বিজ্ঞানী এই নিরুদ্বেগ কাটিয়ে ভাষার উৎসের ব্যাপারে মনোযোগী হয়েছেন।
নৃবিজ্ঞানে কেবল মানুষের সংস্কৃতি নয়, জীববৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের বিবর্তনের ধারাও আলোচিত হয়। নৃবিজ্ঞানীরা ভাষাকে মানুষের সংস্কৃতির একটি প্রপঞ্চ হিসেবে যেমন গণ্য করেন, তেমনি এটিকে আধুনিক Homo Sapiens-এর সবচেয়ে স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য হিসেবেও মর্যাদা দেন। তাই সাংস্কৃতিক ও জীববৈজ্ঞানিক উভয় ধরনের নৃবিজ্ঞানীরাই ভাষার উৎস সম্পর্কে আগ্রহী।
ভাষার যে প্রত্যক্ষ লিখিত নিদর্শন পাওয়া গেছে, তার বয়স ৫ হাজার বছরের বেশি নয়। মুখের ভাষার উৎপত্তি কী করে ঘটল, তার উপর এই প্রমাণ তাই আলোকপাত করতে পারে না। তাই ভাষার উৎসের জন্য আমাদেরকে অপ্রত্যক্ষ প্রমাণের উপরেই নির্ভর করতে হবে। প্রাচীন মানুষদের বাগযন্ত্র (জিহ্বা, ঠোঁট, স্বরযন্ত্র) সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারলে আমরা অনেক কিছু জানতে পারতাম, কিন্তু এগুলি নরম পেশীকলা দিয়ে তৈরি বলে আজ আর এগুলির অস্তিত্ব নেই। নৃবিজ্ঞানীদেরকে তাই খুলির হাড় থেকেই প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এর বাইরে প্রাচীন মনুষ্যবসতির আশেপাশে পাওয়া পাথরের হাতিয়ার, ফেলে দেওয়া জীবজন্তুর হাড় ও অন্যান্য উপকরণ থেকে যতদূর সম্ভব তথ্য আহরণ করতে হয়। এ সব বিচার করে নৃবিজ্ঞানীরা দুইটি তুলনামূলকভাবে স্থির তারিখের উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে একটি তারিখের পর থেকে নিশ্চিতভাবেই মানুষের মুখের ভাষা তার আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে অপর তারিখটির পূর্বে নিশ্চিতভাবেই মানুষের মুখের ভাষা তার আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করেনি। এই দুই তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে ভাষার বিবর্তন কীভাবে ঘটেছিল, দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে প্রাপ্ত প্রমাণাদি থেকে এ সম্পর্কে কোন নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।
নৃবিজ্ঞানীরা আরও মনে করেন, ভাষার উৎপত্তির ঘটনা ইতিহাসে একবারই ঘটেছিল, একাধিকবার নয়। বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত মনুষ্য ভাষাগুলির মধ্যে গাঠনিক সাদৃশ্য এই অনুমানের ভিত্তি। ধারণা করা হয় আধুনিক ভাষাক্ষমতা বলতে যা বোঝায়, তার সূচনা ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়াতে Homo Sapiens-দের বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণা অনুসারে এই ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে ৪০ থেকে ৬০ হাজার বছর আগে।
অন্যদিকে এ কথাও সত্য যে আধুনিক মুখের ভাষাগুলির বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য মানুষের বিশেষ উল্টো L আকৃতির বাগনালী প্রয়োজন, এবং স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংক্সের গলার বেশ ভেতরে থাকা প্রয়োজন। কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে নিয়ান্ডার্থাল মানুষদের মধ্যেও ল্যারিংক্সের অবস্থান গলার বেশ উপরের দিকে ছিল এবং তাদের পক্ষে বর্তমান মনুষ্য ভাষার ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করা সম্ভব ছিল না। আবার কোন কোন প্রত্নতাত্ত্বিক মনে করেন মানুষ যখন দুই পায়ে হাঁটা শুরু করেছিল, তখন মানুষের মাথার খুলি মেরুদণ্ডের সাথে একই রেখাতে চলে আসে এবং খুলির ভিত্তির সংকোচন ঘটে, ফলে মানুষের স্বরযন্ত্র গলার গভীরে নেমে আসে। এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন দ্বিপদী মানুষটি হল australopithecus afarensis প্রজাতির লুসি-র কঙ্কাল, যার বয়স প্রায় ৩০ লক্ষ বছর। সুতরাং অনুমান করা যায়, ঐ সময়ের দিকেই মানুষের ভাষা উৎপাদনকারী বিশেষ বাগযন্ত্রের উৎপত্তি হয়েছিল।
আদি মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তনের সাথে ভাষার উৎপত্তির সম্পর্ক স্থাপন করা আরও কঠিন। আদি মানুষের মস্তিষ্কের কোন অবশেষ আমাদের কাছে নেই। এদের মাথার খুলির ভেতরের খাঁজ থেকে মস্তিষ্কের বহির্গঠন সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশের সাথে ভাষার ক্ষমতা জড়িত, তাকে ব্রোকা-র এলাকা বলা হয়। মানুষের আদি পূর্বপুরুষদের মধ্যে ব্রোকার এলাকার মত কোন এলাকা ছিল কি না তা যদি জানাও যায়, তার পরেও সেটি ভাষার উৎস সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে পারবে না। ব্রোকার এলাকা শুধু ভাষা নয়, মানুষের অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত। এছাড়া শিম্পাঞ্জি ও অন্যান্য এপ-জাতীয় প্রাণীর মস্তিষ্কের মধ্যে এরকম কোন আলাদা এলাকা দেখতে পাওয়া যায়নি, যা তাদের মৌখিক ভাষার সাথে সম্পর্কিত।
কোন কোন পণ্ডিত ডান হাতে কাজ করার প্রবণতার সাথে ভাষার সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বেশির ভাগ মানুষের ডান হাতে কাজ করার প্রবণতা বেশি, আর মানুষের ডান হাত নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের বাম অংশ, যে অংশে ভাষা এলাকাগুলি অবস্থিত। তারা মনে করেন যে যদি দেখানো যায় যে প্রাগৈতিহাসিক মানুষেরা বেশির ভাগ ডান হাতে কাজ করত, তাহলে হয়ত ভাষার উৎসের সাথে এই ডান হাতে কাজ করার একটা সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু ডান বা বাম হাতে কাজ করার প্রবণতার সাথে ভাষিক দক্ষতার কী ধরনের কার্যকারণ সম্পর্ক আছে, তার কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আজও দেয়া সম্ভব হয়নি।
জীববৈজ্ঞানিক নৃবিজ্ঞানের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মনে হতে পারে যে মানুষের ভাষিক দক্ষতার উন্নতির ছাপ তার আশেপাশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে, তার হাতিয়ারে, সরঞ্জামে, শিল্পে, ইত্যাদিতে পড়ার কথা। আসলেই প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে মানুষের হাতিয়ার ও সরঞ্জামের বৈচিত্র্য ও মানে এক ধরনের ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। ফ্রান্সের লাস্কো-র বিখ্যাত গুহাচিত্রগুলিও প্রায় ৩০ হাজার বছর পুরনো। কিন্তু এই তারিখগুলিকে আধুনিক ভাষা উদ্ভবের তারিখ হিসেবে বেশ দেরির তারিখ বলেই গণ্য করা হয়।
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 96
Blog Title: পৃথিবীর ইতিহাস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Blog Type: Education/Training
Location: ABROAD
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সৃষ্টির শুরু
ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।
পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ
“থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ।
গলিত লাভার সমুদ্র
থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর।
প্রথম মহাদেশ
এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ।
প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস
মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”।
নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর
প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে।
মহা-মহাদেশ
মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো।
ভয়ংকর শীতকাল
৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ।
প্রাণের বিস্ফোরণ
৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়।
প্রাণীজগতের বিলুপ্তি
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের।
বরফ যুগ
পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ।
প্লাস্টিক যুগ?
বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে।
লৌহ যুগ?
আদিম যুগ?
আধুনিক যুগ
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 95
Blog Title: পৃথিবীর ইতিহাস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Blog Type: Education/Training
Location: ABROAD
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: সৃষ্টির শুরু ঠিক কখন পৃথিবী তৈরি হয়? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী-চাঁদ সংঘর্ষ “থিয়া” নামের মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতির একটা গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় এই গ্রহাণুটি। এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ। গলিত লাভার সমুদ্র থিয়ার সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভার টগবগ করতে থাকা সমুদ্র চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন, তখন পৃথিবীর অবস্থা ছিলো তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী, লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। এ সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। এদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর। প্রথম মহাদেশ এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। এদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ- রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম এসব মহাদেশ। প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে এটা আসলে ভালো কিছু করেনি। এই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে “Great Oxygenation Crisis”। নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি এ সময়ে। মহা-মহাদেশ মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো। ভয়ংকর শীতকাল ৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। এ সময়ে পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। এ সময়ে হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ। প্রাণের বিস্ফোরণ ৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। এই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব হয়। প্রাণীজগতের বিলুপ্তি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের। বরফ যুগ পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ। প্লাস্টিক যুগ? বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে। লৌহ যুগ? আদিম যুগ? আধুনিক যুগ
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 94
Blog Title: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Blog Type: Education/Training
Location: DHAKA
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত প্রতি বছর ১লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১লা মে জাতীয় ছুটির দিন। আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।
১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলীবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। [১][২][৩][৪] ১৮৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক-এর প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে।[৫] ১৮৯১ সালের আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। এরপরপরই ১৮৯৪ সালের মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। পরে, ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই উপলক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে দৈনিক আটঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবী আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজনের সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের (ট্রেড ইউনিয়ন) প্রতি আহবান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে “শ্রমিকদের হতাহতের সম্ভাবনা না খাকলে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে’র ১ তারিখে “বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার” সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[৬] অনেক দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে পালনের দাবী জানায় এবং অনেক দেশেই এটা কার্যকরী হয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট এবং কিছু কট্টর সংগঠন তাদের দাবী জানানোর জন্য মে দিবসকে মুখ্য দিন হিসাবে বেছে নেয়। কোন কোন স্থানে শিকাগোর হে মার্কেটের আত্মত্যাগী শ্রমিকদের স্মরণে আগুনও জ্বালানো হয়ে থাকে। [৭] পূর্বতন সোভিয়েত রাষ্ট্র, চীন, কিউবাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মে দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সে সব দেশে এমনকি এ উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতেও এই দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে আসছে। ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯২৩ সালে।[৮] আমেরিকা ও কানাডাতে অবশ্য সেপ্টেম্বর মাসে শ্রম দিবস পালিত হয়। সেখানকার কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমের নাইট এই দিন পালনের উদ্যোগতা। হে মার্কেটের হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড মনে করেছিলেন পয়লা মে তারিখে যে-কোন আয়োজন হানাহানিতে পর্যবসিত হতে পারে। সে জন্য ১৮৮৭ সালেই তিনি নাইটের সমর্থিত শ্রম দিবস পালনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।[৯]
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 92
Blog Title: ঘোড়ামেলা
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Blog Type: Education/Training
Location: DHAKA
Myself/Company Name: Selltoearn.com
Blog Details: এ ছাড়া সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে প্রচলিত যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে। শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 87
Blog Title: International Mother Language Day
Contact No.: 01727442293
E-mail: info@selltoearn.com
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: International Mother Language Day has been observed annually since 2000[4] to promote peace and multilingualism around the world and to protect all mother languages. It is observed on February 21 to recognize the 1952 Bengali Language Movement in Bangladesh.
The day was proclaimed by the General Conference of the United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO) in November 1999 (30C/62). In its resolution A/RES/61/266, the United Nations General Assembly called on its member states "to promote the preservation and protection of all languages used by people of the world" on 16 May 2009.[5] In the resolution, the General Assembly proclaimed 2008 as the International Year of Languages to promote unity in diversity and international understanding through multilingualism and multiculturalism. The resolution was suggested by Rafiqul Islam, a Bengali living in Vancouver, Canada. He wrote a letter to Kofi Annan on 9 January 1998 asking him to take a step to saving the world's languages from extinction by declaring an International Mother Language Day. Rafiq proposed the date as 21 February to commemorate the 1952 killings in Dhaka during the Language Movement.[citation needed]
Languages are the most powerful instruments of preserving and developing our tangible and intangible heritage. All moves to promote the dissemination of mother tongues will serve not only to encourage linguistic diversity and multilingual education but also to develop fuller awareness of linguistic and cultural traditions throughout the world and to inspire solidarity based on understanding, tolerance and dialogue.
— From the United Nations International Mother Language Day microsite[6]
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 66
Blog Title: Customer Service Training for Call Center Agents
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: Customer Service Training for Call Center Agents
Call centers is a very important and effective element of overall customer service that manages almost 5-6% of overall customer experience. This two-day training will help call center agents learn to make the very most of their telephone based work, including understanding the best ways to listen, be heard, and manage relationships.
At the end of the learning, the participants should be able to:
1. Understand the importance of call center customer service
2. Empathize with customers
3. Build rapport with customers
4. Avoid critical mistake areas that make customers unhappy
5. Develop proper attitude required to become an excellent call center agent
6. Manage difficult or angry customers
7. Develop skills to effectively manage different types of customers
8. Use body language and verbal skills to communicate with customers effectively
9. Manage personal stress level
Contents of Training:
1. Importance of Call center based Customer Service
2. Building relationship with the customer
3. Fixing the CS Basics
4. Delivering superior service
5. Customer Service Skills to Win Customers’ Hearts
6. How to deal with different types of customers
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 64
Blog Title: Leadership Program for Managers & Senior Managers
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: Leadership Program for Managers & Senior Managers
LEADERSHIP IS NOT A MATTER OF CHANCE, BUT A MATTER OF CHOICE
Leadership is about achieving the desired result through collective commitment. It is both a science and an art which can only be perfected over a period of time through continuous learning efforts and on the experience. There is no perfect leadership style, only one that is the most ideal in the situation based on the organizations culture and the specific job function and team players involved. This would be intensely participative two day training course that will both explain the key facets of the leadership skill as well as provide ample opportunities for delegates to practice and become familiar with the technique using generic and real life examples. This two day Leadership & People Management Skills course is designed to help concern managers & leaders develop the essential skills necessary to meet their leadership responsibilities. Over this course, Mr. Rayhan will work and assist individual to prepare their strategic action point for professional & personal excellence.
• Define what leadership is and how it is applied at all levels of organizational management
• Understand the application of leadership and inspiration through outdoor activity
• Determine what is necessary to lead teams and organizations, and how to integrate this with business management
• Develop skills in communicating, influencing and negotiating with peers, subordinates and senior managers
• Become skillful at assessing leadership traits and qualities in ourselves and others
• Learn how to develop leadership in ourselves and others (creating new leaders)
• Appreciate the importance of organization culture and the leader’s role in establishing it
• Understand key success factors (KSFs) for successful rollout of Management of Change in dynamic organizations
Induction
• “The Silent Circle” – Why Are We Here?
• Leading booster dose for kick off the session
• Sharing the basic method and how to follow the session
Leadership: The Intrinsic Transformation
• Leadership throughout the history
• Contemporary leaders: What makes them successful and what the recipe?
• Debrief and discussion: Defining leadership styles
• Are there specific traits and competencies of a successful Leader? What if I don’t fit the “Type”?
• The leader of tomorrow: The CORE attributes – Identifying through Motivational game
• Determining my leadership strengths and improvement area
• Designing a plan for maximizing my leadership capabilities
• Visiting own leadership barriers trough assessment procedure
• Practical Exercise: Breaking away from ineffectual leadership tendencies
• Leveraging my strengths and overcoming my potential barrier to be the leader of tomorrow
Setting the Vision and Moving the Organization Forward
• “One Minute Leader” – A scientific proven method and implication
• Revisiting the mission and vision
• Adventure outdoor task: Finding own cheese
• Making it happen: Developing communication strategies to link the vision with an implementation plan
• Case study: Leader vs. Manager; Good time to close for it
Shifting with a Shifting Culture: The Paradox in professional world
• What is corporate culture and what is change agent?
• Group exercise: Understanding values (Value base customized exercise)
• How to determine culture shifts (Video Case study )
• Team base learn-shop game activity: to exercise creativity
• What to do when your team’s style isn’t shifting with the changing tide
Leadership and Coaching
• What is coaching and mentoring?
• Understanding Own – personal attributes (Group Task of own coaching skill)
• Traits and 15 secrets of developing personality
• Active listening and questioning
• Inner Game and GROW Model with Practical Implication and demonstration
Initiating Change& Change Management through Inspiration
• Make change appetizing, even irresistible
• Designing a plan for major changes
• Making strategic ideas to lead change
• Design and deliver briefings that persuade
• Dissect the leadership team’s current approach to change
• Create a plan for team success: Are we seen as a team that others want to follow?
• Outdoor group task to initiate change and doing something by own
• What is “Failure”? And what’s inside?
Feedback Karma & Mantra with TEAM Building Outdoor Activity
• What's in it? (RAY model on Feedback)
• Introducing and Preparing for 1 to 1 Environment
• Golden Regulations to Provide Effective Feedback
• Introducing TEAM meeting Environment to Execute Effective Feedback
• Preparing for Team building – Team base group task for explore
• Complete Scientifically Infrastructure of the Feedback Process by Managing Expectation
• How to implement the process in work environment
Lead Successfully
• Habits of successful personal and the usage of regular life
• Putting it all together
• Action plan for leadership success
• Q & A, evaluations
Exclusive Feature:
• 45 days of IDP (Individual Development Plan) with action point
• Priority Setting technique with execution strategy
• Empowerment from the Leadership Meth Lab™
• 30 days free one to one coaching based on real case scenario
• Special edition of “LITTLE BLACK BOOK FOR STUNNING SUCCESS” for every participant
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 63
Blog Title: Basic to Advanced Sales Skills & Techniques
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: Basic to Advanced Sales Skills & Techniques
OBJECTIVE:
By learning the practical & theoretical selling techniques, you can make more effective sales call every day, everywhere.
Nowadays, customers and clients aren’t what they used to be. They are more knowledgeable, more sophisticated, more pressured and more demanding. They don’t have time to waste. They want to make informed buying decisions. As a result, organization that needs to increase the performance of their salespeople is adopting a more practical and effective sales approach.
Secret for sales success
Professional Selling Skills is a proven, powerful module for face to face selling that equips your salespeople with the skills to develop lasting, mutually beneficial relationships with customer. Skills that help them differentiate themselves and your products/services in a crowded marketplace. This effective selling skills can enables your organization to achieve and sustain consistently high sales performance.
Your sales people will:
- Learn the essential facts of selling procedure, which is particularly helpful to new hires of fresher with no experience selling to customer
- They can gain the skills to develop solid business relationships while improving sales performance
- They can learn more competitively by establishing a positive, distinctive, highly ethical profile for themselves and for your organization
- They can increase their long term effectiveness by becoming skilled sales man who can help customers in making sound buying decisions
- Sales peoples can improve their ability to build rapport and increase trust with new customers
For experienced sales people, they can plan what to probe for on sales calls to maximize their own and their customer’s time and maximize their chance of success on the call
Your customer will enjoy
- Lasting relationships with salespeople who understand their business realities
- Products that address their specific needs
- Buying decisions based on fact, not on high pressure sales tactics
Your organization will experience
- Increased success in winning new business and building customer loyalty
- Decreased costs by helping salespeople better judge account potential and use their time more efficiently
- A common sales team language, resulting in improved communication and teamwork
- Reduced turnover by providing salespeople with direction, support and development.
Contents of Training:
1. Traits of Great Salespeople
2. Strategic sales planning
3. Developing the selling function
4. Quality elements in sales organizations
5. selling tips
6. Factors influencing strategic management
7. Business mission, Establishing goals and strategies
8. Hierarchy of sales objectives
9. Business portfolio and sales force analysis
10. Sales force strategy
11. Hybrid marketing system
12. What is negotiation?
13. How to go for Win=Win Negotiation
14. SWOT analysis and power of positive thinking is a core value
15. Account relationship strategy
16. Total quality management for wholesales
17. Three phases of selling process
18. Needs discovery
19. Organizational purchasing process
20. Define of whole sales
21. Information needed for creating a Partnership Agreement
22. Types of wholesale markets
23. Skills of negotiation
24. Negotiating behavior
25. Third party negotiation
26. Importance of communication in negotiation
27. Whole sales Management
28. Monitoring a Distribution channels
29. The sales management process
30. Managing territory profitability
31. Government regulation and Consumer protection
32. Building a sales program
33. Why train salespeople
34. Territory design procedure
35. Sales performance analysis
36. Sales analysis principles, Gathering sales data, and Steps in a sales analysis
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 48
Blog Title: The Feni University (FU)
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: The Feni University (FU)
The Feni University (FU) started its academic activities from May 2013 with due approval by the Government of Bangladesh and University Grants Commission (UGC) under the Private University Act, 2010. As an institution of higher education, its aim is to inculcate and promote the ethical standards and values & norms in the society and flourish as a centre of excellence in higher education in the country. The primary mission of FU is to provide tertiary level of education at a reasonably cheaper rate of cost while upholding the expected academic standard in a range of subjects that are relevant to the current and anticipated social and economic needs of the nation and the globe at large.
www.feniuniversity.edu.bd
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 28
Blog Title: মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বাণী
চেয়ারম্যান
প্রিয় শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলী ও শুভানুধ্যায়ী
আসালামু আলাইকুম,
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তবে জন্ম মাত্রই প্রতিটি মানুষ এ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হয় না। বস্তুত জ্ঞানের আলো, বিজ্ঞানের সত্যানুসন্ধান, মূল্যবোধের পরিচর্যা এবং সর্বোপরি সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্ব দান করে থাকে। আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার। ভবিষ্যতে তারাই দেশ ও জাতির কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে যথার্থ ভূমিকা পালন করবে। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যহীন শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত শিক্ষা, উন্নত নৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও আদর্শিক জ্ঞান দান করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই শিশু কিশোরদের সুনাগরিক, সুশিক্ষিত ও অনুপম চরিত্র গঠনের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, সুযোগ্য ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রে “মনপুরা স্কুল এন্ড কলেজ” অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যয় নিয়ে নিজস্ব ভবনে ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এ সব বঞ্চিত মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে অত্র প্রতিষ্ঠান মাইলফলক হয়ে থাকবে। নিয়ম-শৃঙ্খলা, পাঠদানের আধুনিক পদ্ধতি, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে “মনপুরা স্কুল এন্ড কলেজ ” পরিচিতি পাবে বলে আশা করি।
“মনপুরা গ্রুপ” একটি সেবা ও জনকল্যাণমুখী স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান। “মনপুরা গ্রুপ” এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো “মনপুরা ফাউন্ডেশন” আর এই মনপুরা ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আমি মনে করি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হবে বাংলাদেশে বিশ-মানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষার একটি দিক-নির্দেশক। মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে একজন শিক্ষার্থীর যেন বাদ না পড়ে, সে ধরনের একটি শিক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে পারলে আমরা জাতিগতভাবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জসমূহ সহজে মোকাবেলা করতে পারবো।
'মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ' এর এসব মহৎ লক্ষ্যকে সাফল্যমন্ডিত করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী সকল ব্যক্তির অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করছি।
ধন্যবাদান্তে
মো: আনোয়ার হোসেন
চেয়ারম্যান
মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 16
Blog Title: Asian University for Women
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: Asian University for Women
Asian University for Women seeks to graduate women who will be skilled and innovative professionals, service-oriented leaders in the businesses and communities in which they will work and live, and promoters of intercultural understanding and sustainable human and economic development in Asia and throughout the world.
2000
The story of AUW began well before its inaugural Access Academy class entered in 2008. The idea for the University grew out of the World Bank/UN Task Force on Higher Education and Society. In 2000, the Task Force published its findings in a report entitled “Higher Education in Developing Countries: Peril and Promise” (more information available at http://www.tfhe.net/), which concluded that developing countries must improve the quality of their institutions of higher learning, in both governance and pedagogy, in order to compete in today’s increasingly globalized, knowledge-based economy.
2001-2004
In January 2004, the Government of Bangladesh granted more than 100 acres of land for the construction of AUW’s permanent campus in the Chittagong Hill Tracts.
Fundraising and planning efforts for AUW officially began in November 2001, when the AUW Support Foundation was incorporated as a non-profit institution under section 501(c)3 of the United States Internal Revenue Code. AUW’s Support Foundation is governed by a Board of Directors, which was established upon the group’s incorporation as a non-profit organization.
The AUWSF Board of Directors published a Plan of Operations in May 2005, laying out the basic plans for AUW’s curriculum, target student population, and sustainability efforts.
2005-2007
Grants from the Goldman Sachs Foundation and the Bill & Melinda Gates Foundation in 2005 and 2006 provided the start-up funds that enabled AUW to become operational in 2008. In September 2006, the Parliament of Bangladesh ratified the University’s charter, which guaranteed full autonomy and independence to AUW in its operations and academics, a unique arrangement in the region.
AUW began operations in Chittagong in March 2008. Its first cohort of students consisted of 130 young women from six countries: Bangladesh, Cambodia, India, Nepal, Pakistan and Sri Lanka. This inaugural class attended the Access Academy, AUW’s year-long bridge program designed to prepare underserved students for the rigors of university education. After completing the Access program, 128 of them continued into the first year of their undergraduate studies, and were joined by a number of direct-entry students who began the undergraduate program in 2009.
2008-2010
Also in 2009, AUW’s initial Board of Trustees was elected by the International Support Committee of the Asian University for Women in accordance with the provisions of the Charter of the Asian University for Women.
The University appointed its first Chancellor in January 2011: Mrs. Cherie Blair, international human rights lawyer and wife of former British Prime Minister Tony Blair. AUW continues to enjoy a strong and dedicated team of leaders and administrators, as well as a faculty from well-known academic institutions in North America, Europe, Asia, Australia, and the Middle East.
2011-2012
In April 2011, AUW held a foundation stone laying ceremony at the site of its permanent campus in Pahartoli, with the Honorable Prime Minister Sheikh Hasina as the Chief Guest. The Government of Bangladesh has now granted over 140 acres for the University’s campus, which has been designed by Moshe Safdie and Associates.
The summer of 2012 marked the University’s first Summer Term, which offered 20 courses on campus taught by AUW professors and visiting faculty. Also that summer, the University hosted two leadership training seminars co-sponsored by the United States Department of State: the Women in Public Service Institute, also co-sponsored by the Seven Sisters Women’s Colleges, took place in August; the Grassroots Women’s Political Leadership Forum was held in September.
2013-2015
In May 2013, University graduated its first class of 132 students. The 2012-13 academic year saw AUW’s first full complement of classes — a total student body of 535, with cohorts in the Access Academy and all four undergraduate years. They represent 15 countries: Afghanistan, Bangladesh, Bhutan, Cambodia, China, India, Indonesia, Malaysia, Nepal, Pakistan, Palestine, Sri Lanka, Syria, and Vietnam.
As of May 2015, AUW had graduated over 370 alumnae all of whom plan to go on to graduate studies or begin careers in the public sector, non-governmental organizations, and private enterprise.
2016
AUW’s enrollment hits a new high of 605 students from 15 countries. In May, the fourth batch of students graduated, bringing AUW’s alumnae population to more than 440. Pathways for Promise program is introduced, offering garments workers and Rohingya women an additional year of English and Math preparation ahead of the usual Access Academy year.
2017
Professor Nirmala Rao joins AUW as Vice-Chancellor. Professor Rao is a distinguished political scientist who most recently served for eight years as Pro Director of at the School of Oriental and African Studies (SOAS) at the University of London.
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 10
Blog Title: The United International University (UIU)
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: The United International University (UIU)
The United International University (UIU) strives for becoming a center of excellence in education in the South Asian region. It has been keenly pursuing to establish a pleasant and ambient teaching-learning-research environment.
Vision: The vision of UIU is to become the center of excellence in teaching, learning and research in the South Asian region.
Mission: The mission of UIU is to create excellent human resources with intellectual, creative, technical, moral and practical skills to serve community, industry and region. we do it by developing integrated, interactive, involved and caring relationships among teachers, students, guardians and employers.
To realize this mission and vision, the goals of UIU are as follows:
1. To provide state of the art and standard education as preparation for higher studies or future employment in positions of responsibility across a worldwide range of ICT, Business, Social and Public Organizations.
2. To make available internationally recognized education in Bangladesh and to develop our graduates up to international standard through getting accreditation of internationally recognized accreditation bodies.
3. To use modern instructional techniques and technology to the best advantage so as to enhance and enrich students
Blog Source: Plz, click here to show
|
Blog Id: 9
Blog Title: The British Council
Contact No.:
E-mail:
Blog Type: Education/Training
Location:
Myself/Company Name:
Blog Details: The British Council
The British Council is the UK’s international organisation for cultural relations and educational opportunities. We create friendly knowledge and understanding between the people of the UK and other countries. We do this by making a positive contribution to the UK and the countries we work with changing lives by creating opportunities, building connections and engendering trust.
Blog Source: Plz, click here to show
|
|