জন্ম

– আল আমিন মাহাবুব সৃজনে করিলেন যিনি মাধুর্য দান সৃজিলেন পূর্নতায় সহস্র প্রান। শতরুপে গীত গান তারই উপমার ভূমি সৃষ্টিতে তার – বালু কনা আর জ্বল উপহার। দক্ষিণা উজানে সমুদ্র স্রোতে – উত্তরে তিনিই সৃজেন এই বঙ্গ বিহার। নিবিড় শব্দে চকিতে হঠাৎ – এক জাতির অাগমন। বেদ-ই ছিল তাদের মুখ্য ধর্ম, নাহি ছিল আধুনিকতার ছোয়া, নাহি ছিল আধুনিক কর্ম। সেই স্রোতে ভাসে তবু স্নিগ্ধতার খেয়া। প্রকৃতি দেবী তাদের করিত লালন, আপন হৃদয় মেলে প্রানপন। ছিল বিশ্বাস, নহে ঐর্শ্বয্য ধন। সময় স্রোতে ভেসে আসে- কত জাতি, কত তাজা তাজা প্রাণ, ধীরতায় রহিল বাধা সভ্যতার উথান। নব নব দিগন্ত পথে – পত্র পল্লবে চলে ধ্বনির সোচ্চার, আরো আসে কত-শত আচার বিচার। এক দলে ঘটে শাসনের বি-জাত, নিপীড়িত শোষণে প্রজার নেই ভাত! সুখে সখা নাহি ছিল অধম কৃষক, হৃদয়হীন সৃষ্টি ঐ পাষন্ড শোষক। কিছু আঞ্চলি সম বেদনারী লৌহে- ভাসজ্য উজানী নিল মন কারী হরি। অবিনারি খোলাসী চৌ -চিলারী প্রসাদ স্বাদে বিদ্যা টুকাটুকি। তৈরী হলি লঙ্গনা বিহা চালনী। চন্দ্র,গুপ্ত,মৌর্য,পাল,সেন এসেছে বলতে যেন যুগ যুগ ধরে – শাসনভার দেন । এসেছে তুর্কি, মোঘল,পাঠান বৃটিশ- পাকিস্তান করতে শাসন বিহার, এই বঙ্গে। শ্যামল বাংলা হত রক্তাক্ত, মা হত শোসিত কত ঢঙ্গে। লাল রাজটীকা একেছে মুজিব বঙ্গমাতার সবুজ- শ্যামল অঙ্গে। গড়া রাজ্য শাসন মিটে তৃপ্তি নাহি, কোথা থেকে রব দান করিলে আজি শেষের আঙ্গিনায় গণতন্ত্রের অবিনাশ। লিখন চিত্রে আজ নৈরাশ স্বপ্ন দাস: এভাবেই কি গনতন্ত্রেরর নামে – মোরা করব মোদেরকেই গ্রাস? – তিলে তিলে যুগ যুগ ধরে! Md. Abul Kalam Azad/24.03.2016