MCQ এবং Written Test প্রসঙ্গে…

Subject: শিক্ষক নিয়োগ: লিখিত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা প্রসঙ্গে যদি আবশ্যিক (Compulsory) বা এমসিকিউ (MCQ) এবং লিখিত বা ঐচ্ছিক (Optional) এই দুইয়ের ওপর গড় করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয় তা হলে অনেক সময়ই মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। কারণ যে প্রার্থী এনটিআরসিএ-এর লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে তার অনার্স ও মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষায়ও কম নম্বর রয়েছে। কম নম্বর থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় অনুমান নির্ভর হয়ে বৃত্ত ভরাট করেও গড় নম্বরের তালিকায় এগিয়ে থাকা ব্যক্তির নিয়োগ পাওয়াটা ‘পানির মত সহজ’ হয়ে যাবে। আর এটি কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে? সর্বোপরি, বিসিএসসহ পিএসসির অন্যান্য সকল পরীক্ষায় শুধুমাত্র লিখিত ও ভাইভা বিবেচনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে লিখিত পরীক্ষাটিই হল একজন প্রার্থীর আসল রূপ, আসল মেধা; যার সাথে এমসিকিউর কোন গড় হতে পারে না। কারণ লিখিত পরীক্ষায় ১ নম্বর পাওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে এক পৃষ্ঠা লিখতে হয় অথচ অনুমান নির্ভর হয়ে একটি বৃত্ত ভরাট করেও আরেকজন সমতায় চলে আসবে তা কী করে হয়? এমনটা হলে অনেক সময়ই মেধাশূন্য লোক বৃত্ত ভরাটের কল্যাণে শিক্ষকতা পেশায় চলে আসবে, যা দেশ ও জাতির জন্য বিরাট বড় হুমকি স্বরূপ। তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আকুল আবেদন, যেন লিখিত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা প্রণীত হয় এবং একাধিক প্রার্থীর লিখিত নম্বর একই হলে যেন এমসিকিউর ফলাফলের ওপর জোড় দেওয়া হয়। শেষকথা, এমনই হওয়া উচিত ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তা হয়নি, হয়ছে উল্টোটা। এতে বৃত্ত ভরাট করে কারো মেধাক্রম এগিয়ে দেওয়ার মত ‘সহজে দুর্নীতি’ করার মাত্রাও অতিসত্বর বেড়ে যেতে পারে। এভাবে লিখিত পরীক্ষায় মাত্র ৩০ পেয়ে বৃত্ত ভরাটের মত ‘সহজ দুর্নীতি’ করে ১০০ এর মধ্যে ৯৮ পেয়ে গড় নম্বর পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন মেধা তালিকায় না আসতে পারে সে দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। লেখক: এ কে আজাদ, গাজীপুর ।