মেধা বিকাশের টেকনিক…

 শেখার সহজ পদ্ধতি: CIRCUS ASS = 7টি C = concentration (মনোযোগ) I = Interference law(হস্তক্ষেপ করার নিয়ম) R = Revision Plan (পুণরধ্যায়নের পরিকল্পনা) S = spaced Learning (বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে শেখা) A = Association (সম্পৃক্ততা) S = Seeing/ Visualization (মনে মনে কল্পনা করা) S = Sleep (ঘুমানো) ধনী হওয়ার সিক্রেট কৌশল… POSITIVE P = Patience (ধর্য্য) O = Optimistic (আশাবাদী) S = Satisfaction (সন্তুষ্টি) I = Inspiration (প্রেরনা) T = Target (লক্ষ্য) I = Ideal (আদর্শ) V = Victor (জয়ী) E = Easy (সহজ) “আপনি নিজের লক্ষ্যে কতটা মনোযোগী? এটা আপনার তৃষ্ণার ওপর নির্ভর করছে। কেননা যতটা তীব্র তৃষ্ণা হবে, ততটাই মনোযোগ সহকারে আপনি আপনার লক্ষ্যে কাজ করবেন।” বড় লোক হবার জন্য কোন বয়স কিংবা শিক্ষার প্রয়োজন হয় না বরং এই কথায় নির্ভর করে যে আপনি কত বড় সপ্ন দেখছেন। আকর্ষনের নিয়ম বলছে সমান জিনিস সমান জিনিস গুলোকে আকর্ষিত করে থাকে। সুতরাং যারা অর্থ সম্পদ সম্পর্কে চিন্তা করছেন সম্পদ তার দিক আকর্ষিত হয়। বড় লোক হতে চান তাহলে কম ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কেননা বেশী ঘুমালে আপনার রচনাত্মক মুহুর্ত নষ্ট হয়ে যায়। সত্যটি মনে রাখুন: ১/ পজিটিভ এপ্রোচ রাখুন। ২/ কথা বার্তায় আটশাট/ পরিদর্শন হন। ৩/ ফ্যাশন এবং ট্রেন্ডের দিকে খেয়ল রাখুন। ৪/ কল্পনা শান্তির ব্যবহার করুন। ৫/ নিরন্তর/ প্রখর প্রচেষ্টায় অভ্যাস করুন। ৬/ সর্বদা পুষ্টিকর খাবার খান। ৭/ নিজের শরীরে উপর নজর নিন। “যখন আপনি নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যান তখন সাফল্য অনেক দুরে যায়, কিন্তু যখন আপনি নিজের লক্ষ্যের উপর টিকে থাকেন তখন সাফল্য আপনার পায়ের নীচে থাকে।” ধণীদের জীবন পড়ুন ও ফলো করুন। নিজের ক্রোধের উপর সংযম করুন। “নিজের ব্যাক্তিগত কথা আপনার প্রতিজনদের বলবেন না। তা থেকে তারা আপনাকে ব্ল্যাক মেইল করতে পারে।” “কোন ব্যক্তিকে নিজের ব্যবহারে সরলতা দেখানো উচিত নয়। কেননা জঙ্গলে সবচেয়ে সোজা থাকা বৃক্ষ প্রথমে কাটা পড়ে; সেই ভাবে সরল লোকদের প্রথম নিশানা করা হয়।” অন্যের কথা শোনার অভ্যাস করুন। “যখন আপনি জীবনে চারিদিক থেকে হতাস হয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাকে কারও ভালবাসার সাহায্য নেওয়া উচিৎ। কেননা ভালবাসা হচ্ছে জীবনের প্রতিটি দুঃখকে ভোলানোর নির্ভুল দাওয়ায়” নিজের আশেপাশের পরিবেশকে পরিবর্তন করুন। অজুহাত করা থেকে বিরত থাকুন। সাফল্য হচ্ছে একটি যাত্রা, লক্ষ্য-স্থল নয়। কেননা লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে চিন্তা করার পর সাফল্যের সিড়িগুলি শেষ হয়ে যায়। জীবনে সাফল্য অর্জন করার জন্য বেশি বেশি নিষ্টা, পরিশ্রম ও নম্রতার সাথে কাজ করুন। আপনি সেটাই দেখতে পান যা আপনি দেখতে চাইছেন এবং সেটাই শুনতে পান যা আপনি শুনতে চাইছেন, কেননা আপনার শোনার এবং দেখার ক্ষমতা বিস্তারের জন্য তৈরি হয় না । সেই সাফল্য অর্জন করে যে এই কথা ভাবে না -সাফল্য কত দিনে অর্জন হবে বরং এই চিন্তা করতে মন দেয়া যে সাফল্য কেমন ভাবে অর্জিত হবে। সাফল্যকে নিজের চিন্তা ধারার ছাচে ঢালুন। তিনটি বিষয়ে নজর দিন: ১। সময়ের মূল্য বোঝা। ২। সময়ের বন্টন ব্যবস্থিত ভাবে করা। ৩। হাতে যা আছে তা মন দিযে করা। সমস্যাগুলিকে চেপে রেখে সুযোগ কে জন্মোচিত করুন। যদি আপনি নিজের বড় লক্ষ্য কে ছোট ছোট লক্ষ্যে বিভাজিত করে দেন তখন আপনাকে লক্ষ্যস্থল পর্যন্ত পৌঁছানের এলিভেটিভ শর্টকাট পথ পেয়ে যাবেন। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করুন: ১. নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিন। ২. বয়স কোন বাঁধা নয়। ৩. সমস্ত নিয়ম ভেঙ্গে দিন। ৪. মস্তিস্ক থেকে সংবাদ কায়েম করুন। ৫. কল্পনাগুলোকে জাগ্রত করুন। ৬. নেতার হালকা স্পর্শ। ৭. জনসাধারনের সাথে কথাবার্তা। ৮. পুর্বাভ্যাস করা। ৯. আত্ম চিন্তন করুন। ১০. মস্তিস্ককে শান্ত করুন। ১১. পথের উপর টিকে থাকা। ১২. বিশ্রামের মূহুর্ত। ১৩. স্বীকারযোগ্য ব্যবহার। নিজের মস্তিস্কে কিছু বড় আইডিয়া আনুন। নেতৃত্ব ক্ষমতার অর্থ হচ্ছে নিজেকে পথ বদলানো। কেননা কাউকে আদেশ করা ততটাই সহজ যত নাকি কাউকে নিজের বিজনেস কার্ড দেওয়া। বিদ্রোহ হচ্ছে মস্তিস্কের নয়, হৃদয়ের গাঁট এবং তা খোলার জন্য যুদ্ধে নামার প্রয়োজন পড়ে না বরং অন্যের হৃদয় রুপী সমুদ্রে নামতে হবে। লক্ষ্যকে সম্পন্ন করার জন্য কল্পনা শক্তির ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। কেননা কিছু লোক সেই সব মাধ্যমের ওপর বেশী ভরসা করে যা মামুলী হয়। মানুষের ধনী লোক হওয়া তার ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে না বরং তার কর্ম এবং জ্ঞান বোধের ওপর নির্ভর করে। বড় চিন্তা করার জন্য নিজের মস্তিস্কের ওপর চাপ দিন। যে কোন ব্যাক্তি সাফল্য এমনি এমনি পেয়ে যায় না বরং সাফল্য অর্জিত করার লক্ষ্যেকে নিশ্চত সময়ে নিশানা লাগাতে হয়, সুযোগ গুলিকে খুঁজতে হয়, কঠিনতার মুখোমুখি হতে হয়। যদি আপনি সত্যি সত্যি সাফল্য অর্জন করতে চান তাহলে শুধু সোনার ডিমের ওপর খেয়াল রাখুন কিন্তু সেই মুরগিটিকে কখনো অবহেলা করবেন না যা কিনা সোনার ডিম পাড়ছে। শরীরের প্রতি ইতি বাচক দৃষ্টি কোন গ্রহণ করুন। এটা চিন্তা করবেন না যে দেশের অর্থ ব্যবস্থা কবে সমৃদ্ধ হবে, বরং এটা চিন্তা করুন যে আপনার নিজের অর্থ ব্যবস্থা কেমন করে সমৃদ্ধ হবে। ভয় পাবার অভ্যাস ছাড়ুন, নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করুন। যদি আপনার কাছে একটি কলম এবং একটি সপ্ন থাকে তখন আপনি গোটা দুনিয়াকে জয় করতে পারেন। কেননা বড় লোক হবার জন্য কেবল মাত্র এ দুটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। যখন আপনি ভয় পান তখন ভয় আপনাকে আরও ভয় পাওয়ায়। কিন্তু যখন আপনি ভয় কে ভয় পাওয়ান তখন ভয় আপনাকে গ্রহণ করে। আপনার চিন্তা ধারা হচ্ছে একটি রহস্যময় শান্তি এবং রহস্য হচ্ছে আকর্ষনের নিয়ম। যার সাহায্যে আপনি সেই রহস্যকে খুজে পান, যা আপনার চিন্তাধারায় লুকিয়ে থাকে। নিজের ভুল গুলিকে নিজের শিক্ষক হিসেবে দেখুন। লক্ষ্য বাস্তব রূপে দেওয়ার উপায় আপনার মস্তিস্ক লুকিয়ে আছে। কিন্তু আপনাকে এটা চিন্তা করতে হবে যে সেই উপায়কে কেমন করে খুঁজা। কঠিন পরিশ্রম কাউকে সাফল্যের গ্যারান্টি দেয় না। কিন্তু সফল হবার সম্ভাবনা কে ২০% বৃদ্ধি করে। কিন্তু বড় চিন্তন বড় লোক করতে ১০০% সহায়ক হয়। সর্বদা আনন্দে থাকার অভ্যাস করুন। যখন আপনি কোন জিনিস পাবার কল্পনা করেন তখন আপনার মধ্যে সেই জিনিসকে অর্জন করার চিন্তাও মনোভাব উৎপন্ন হতে থাকে। তারপর আকর্ষেনের নিয়ম সেই জিনিসকে সত্যি করে আপনার কাছ পাঠিয়ে দেয়। যে কোন বৃক্ষ বীজ ছাড়া হতে পারে না। এবং বৃক্ষ তৈরি করার জন্য সার জলের দরকার হয়। কিন্তু সবার আগে তাকে মাটিতে পুততে হয়। এই বিশ্বাস রাখ যে তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তাই পেছনে ঘুরে দেখো না, হাসতে হাসতে জীবন কাটাও, কেননা হৃদয়ের বিশালতা দ্বারাই সাফল্যের বুনিয়াদ খড়া হয়। যে ব্যক্তি নিজের সামনে উঁচু লক্ষ্য রাখে সে অবশ্যই এক না একদিন তা সম্পন্ন করতে সফল হয়। নিজের বডি লেঙ্গুয়েজের ওপর বেশি নজর দিন। ভাগ্যের উপর ভরসা রাখুন কিন্তু তার ওপর আশ্রিত থাকবেন না। কেননা পরিশ্রম ছাড়া ভাগ্য চমকায় না। বলার অভ্যাস করুন কেননা বললে আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়, কিন্তু বলার আগে নিজের শব্দকে সৃজনাত্মক পাল্লায় অবশ্যই ওজন দিন। সাফল্য অর্জনের জন্য সৃয়ংকে তৈরি করুন কেননা সাফল্য আপনার কাছ থেকে কয়েক কদম দুরেই আছে যাতে আপনি সংযম দ্বারা অর্জন করতে পারেন। শক্তির মতামতকে জোর দেওয়ার পরিবর্তে চিন্তা ধারায় শক্তির ওপর জোর দিন, তাহলে আপনি নিজের লক্ষ্যে সত্বর পৌঁছাবেন। ব্যর্থ লোকজনের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া ঠিক সেই রকমই যেমন নাকি হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে এইডস এর চিকিৎসা করানো। নিজের অভিজ্ঞতাকে নিজের বন্ধু করুন। তখনই আপনি সামনের ব্যক্তিটির চেহারা পড়তে পারবেন, কেননা চেহারার হাব-ভাব কে শ্রেয় অভিজ্ঞতা দ্বারাই পড়া যেতে পারে। লীডার হবার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আপনি যা শুনছেন তার ওপর খাপে খাপ টিপ্পনি করুন। যাতে ব্যাক্তিটি বুঝতে পারে যে আপনি তার দ্বারা বলা কথাকে মন দিয়ে শুনছেন। নিজের চিন্তাকে বৃহৎ আকার দিন : MAR-RAM গুরুমন্ত্র করে নিন: M = METHODS পদ্ধতি A = ADOPTED গ্রহণ করুন R = REPEATEDLY বারবার R = ROBUST প্রকার A = ACCOUNTABILITY জবাবাদিহী M = MEANS সাধন। লোকদের দ্বারা কাজ বের করার শুদ্ধ একটি পদ্ধতি হল যে আপনি তার প্রশংসা করুন। কেননা প্রশংসা শোনা লোকদের দূর্বলতা হয়। আপনার কাছে নিজের স্বপ্নের যতটা স্পষ্ট ছবি হবে, আপনি সেই সম্পর্কে ততটাই উৎসাহিত হবেন। কেননা আপনার মস্তিষ্কটাকে এটি সপ্ন বাস্তবায়নের ফটোকপি করে। যে কোন লক্ষ্যকে অর্জনের জন্য SMART পদ্ধতি অবলম্বন করুন: S = Spacific – বিশিষ্ট M = Measurable মাপা যোগ্য A = Attainable প্রাপ্ত করার সাধ্য R = Relevent – প্রাসঙ্গিক T = Time bound – সময়বদ্ধতা ফকিরের থলে কখনও ভরে না, কিন্তু ধনীর থলে কখনও খালি থাকে না । বুদ্ধিজীবি লোক বিবেক এর দ্বারা শেখেন, সাধারন লোক অভিজ্ঞতা দ্বারা শেখেন, কিন্তু মূর্খ লোক নিজের ক্ষমতা দ্বারা শেখেন। কল্পনাগুলোকে মনের আত্মায় গড়ে তুলুন: “আপনি শুধু নিজের কর্ম করুন, যখন কর্ম করবেন তখন ফল অবশ্যই পাবেন। কেননা মানুষ হচ্ছে মন প্রধান জীব এবং তার জীবনটি হচ্ছে ত্রিস্তবীয় অর্থাৎ শারীরিক মানুষিক এবং অধ্যাত্মক, কিন্তু আপনার এই তিনটি কে নির্ধারন করতে হবে সবাই কে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।” আপনার চিন্তা চুম্বকের কাজ করে, তাই অন্য ব্যক্তি আপনার দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু যখন আপনার চিন্তার চুম্বকত্ব শেষ হয়ে যায় তখন সেই ব্যক্তি চিন্তা ধারার ওপর নজর দেওয়া বন্ধ করে দেয়। দৃঢ় সংকল্প মানুষকে তার লক্ষ্য পর্যন্ত পৌছেদেয় কেননা সংকল্প ছাড়া কোন মানুষ আজ পর্যন্ত বড় লোক হতে পারে নি। লক্ষ্যের ওপর কাজ করুন এবং সফল হয়ে যান। বই থেকে ভালো আপনাকে কেউ সর্গ দর্শন করাতে পারে না। কেননা বই আপনাকে মহান লোকদের সাফল্য রহস্য জানায় এবং আপনার মস্তিষ্ককে দিশা নির্দেশ দেয়। লক্ষ্যকে অর্জিত করার জন্য আপনাকে তার পেছনে দৌড়ানোর প্রয়োজন হয় না বরং তার ওপর লাগাতার মেহোনত করার প্রয়োজন হয় । ব্যর্থতার প্রতিরোধ করা উচিত নয় বরং তাকে আলিঙ্গন করা উচিত। কেননা ব্যর্থতাই আপনাকে সাফল্যের পথ দেখায়। সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।