আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে ?

অনেকবার এমনটা হয় যে, আপনি নতুন বই বা নতুন জামা-কাপড় কেনার পরে তৎক্ষনাত সেটাকে খুঁজে পাননা!
 আপনি নিজের বাড়ীর প্রতিটি কোনা তন্ন-তন্ন করে খুঁজতে থাকেন! ওটা এখুনি রেখেছিলাম….. তাহলে খুঁজে পাচ্ছি না কেন?
আমাদের মস্তিষ্কের একটা ভাগ এমনই সব তথ্য আর প্ল্যানকে একত্রিত করে …. যেগুলো অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য অত্যান্ত আবশ্যক!
 যদি আপনি নিজের উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট ভবে পরিভষিত না করে থাকেন … তাহলে তার অর্থ হল এই য়ে, আপনি নিজের স্বপ্নকে সাকার 
করার জন্য নিজের মস্তিষ্ককে ঠিকমত কার্য্যবদ্ধ করেননি!
যখন আপনি নিজের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষিত করেন, তখন আপনি রেক্টিকুলর এ্যাক্টিভেটিং সিষ্টেমকে সঞ্চালিত করেন! আপনার
 মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ চুম্বকের মতো হয়ে ওঠে, যেটা তথ্য এবং সুযোগকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে! নিজের জিবনের 
কায়াকল্প করার জন্য নিজের মস্তিষ্কের স্যুইচকে ট্রিপ দেওয়া শিখুন!
ব্যর্থতার ভেতরেই সফলতা লুকিয়ে আছে!
আপনি যদি প্রথম প্রচেষ্টায় নিজের উদ্দেশ্য সফল না হতে পারেন, তাহলে কি আপনার চেষ্টা করা বন্ধ করে দেওয়া উচিত…
 নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত? আজ্ঞে হ্যাঁ… যতক্ষন না সফলতার প্রাপ্ত হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত!
দৃড়তা আর প্রতিবদ্ধতা হচ্ছে আপনার ব্যক্তিত্বের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কোন কিছুর প্রতি আগ্রহী হওয়াটাই যথেষ্ট হয়না প্রতিবদ্ধতা 
হচ্ছে অত্যন্ত জরুরি! এমনটাও হতে পারে যে, আপনার সাময়িক ব্যর্থতা ভবিষ্যতের সফলতার জন্য আপনার ভিতর দৃড় নিশ্চয়তার উৎপত্তি করে!
নিজের ব্যর্র্র্র্থতার মূল্যাংকন করুন যে, আপনি তার থেকে কি শিখেছেন ? আরও ভাল সফলতার জন্য এই মূল্যাংকনকে 
মাথায় রেখে চেষ্টা চালিয়ে যান!
লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য নিজেকে প্রেরিত কি ভাবে করবেন?
নিজের জিবনের সেই উদ্দেশ্যের কথা চিন্তা করুন, যে উদ্দেশ্য আপনি সফলতা অর্জন করেছেন ! এটাও চিন্তা করুন যে, 
সেই উদ্দেশ্য প্রাপ্তির পথে কি ভাবে বাধা-বিপত্তি এসেছিল আর আপনি কিভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে বাধা-বিপত্তির মোকাবিলা
 করে সেই সব বাধা-বিপত্তিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন?
যখন আপনি নতুন স্বপ্ন এবং ইচ্ছের অনুভব করেন, তখন বাধা-বিপত্তির ব্যাপারে চিন্তা করা বন্ধ করে দিন… কারণ 
আপনি এর আগেও নিজের জিবনের রাস্তায় আসা বড়-বড় পাথর সরিয়ে দিয়েছেন!
আপনাকে জেতার প্রবল ইচ্ছে, সফলতার নির্ণয়, নিজের জিবনের ওপর নিয়ন্ত্রন এবং মাষ্টারি দ্বারা সুসজ্জিত থাকতে হবে!
 সবার আগে নিজের উদ্দেশ্যগুলোকে চিনে নিন এবং নিজের মনে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তুলুন যে, কোন বাধা-বিপত্তিই 
আপনাকে আটকাতে পারবে না! নিজের উদ্দেশ্য সফলতা প্রাপ্ত করার জন্যদৃঢ় প্রতিজ্ঞা হয়ে ওঠুন!
যখন চিন্তিত হয়ে উঠবেন, এটাকে স্মরণ করুন !
আপনি জীবনে কখনো-না কখনো নিশ্চয় ক্রদ্ধ, কুন্ঠিত এবং সংকটাপন্ন অনুভব করেছেন! আপনি যদি সেই সব মুহুর্তগুলোকে
 স্মরণ করেন, তাহলে হয়তো আপনার হাসি পাবে এটা ভেবে যে, আপনি বৃথায় চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন… যখনকি সেটা 
এমন কিছুই ব্যাপার ছিল না! আপনি আবার একবার ঐসব ভায়ানক পরিস্থিতির উপর হাসুন! আপনি তৎক্ষনাত এমনটা অনুভব 
করবেন যে, ঐ ধরনের  পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে!

মনোযোগকে কোথায় কেন্দ্রিত করবেন?
আপনি যদি নিজের মনোযোগকে লাগাতার নেতিবাচক চিন্তায় কেন্দ্রিত করেন, তাহলে প্রচন্ড বিপদজ্জনক ঘটনা আপনার সঙ্গে 
পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে! উদাহরণ হিসেবে, তীব্র বেগে গাড়ী চালাবার সময় যদি আপনি গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় 
গাড়ী পিছলে যায়… তখন আপনি সে মুহুর্তে বাঁচার জন্য দেওয়ালের দিকে দেখতে লাগেন, কিনন্তু ভয় পেয়ে উঠে আপনি 
নিজের গাড়ীকে দুর্ঘটনাগ্রসস্থ করে ফেলেন!
ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেয়! নিজের জীবনকে দেওয়াল থেকে দূরে আকাশের উচ্চতার দিকে নিশ্চিত রূপে র্ধিরিত করে
 আপনি যেটা চান, তার ওপরে নিজের মনোযোগকে কেন্দ্রিত করুন… অন্য কোনো দিকে নয় ! আপনি স্বাভাবিক রূপে নিজে 
থেকে কাজ করতে সরু করে দেবেন ! আপনার যেটা ইচ্ছা, আপনি যেটার যোগ্য… তার উপর মনোযোগ কেন্দ্রিত করুন!
সঠিক প্রশ্ন – সঠিক সিদ্ধান্ত
একদিন একটা ছেলেকে নবম শ্রেণীর এক গুন্ডা টাইপের ছেলে ধরে খুব পিটল! সেই ছেলেটা রেগে উঠে সেই গুন্ডাটার ওপরে
 বদলা নেবে বলে স্থির করল আর ও একটা পিস্তল কিনে এনে সেই গুন্ডা ছেলেটার দিকে পিস্তল উচিঁয়ে ধরল ! গুলি চালাবার 
আগে ও নিজেকে প্রশ্ন করল-‘আমি যদি একে গুলি করে দিই, তাহলে তারপর কি হবে ?’ ওর চোখের সামনে জেলের দৃশ্য
 নেচে উঠল ! ও সেই গুন্ডা ছেলটার বদলে একটা গাছের ওপরে গুলি করে দিল! সেই ছেলেটার নাম ছিল বো জ্যাকসন! 
ও সামান্য একটু বুদ্ধির মাধ্যমে যন্ত্রনাকে আনন্দে পরিবর্তিত করেদিয়েছিল! ও এমন এক ছেলে, যার কোনো ভবিষ্যত ছিল 
না… আর পরমুহুর্তেই এমন এক ছেলে, যে পরে খেলার জগতের তারকা হয়ে উঠেছিল… এই দুটো ছেলের মধ্যে পার্থকের 
সৃষ্টি করে তুলেছিল! নিজেকে সঠিক প্রশ্ন করুন… নিজেকে বদলান!
অসম্ভব কেবলমাত্র চিন্তাধারার কামাল!
বছরের পর বছর ধরে, চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ানোকে এক অসম্ভব কাজ বলে মনে করা হত ! 
কিন্তু রজার ব্যানিষ্টার ৩ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে এক মাইল ছুটে সেই কিংবদন্তীকে মিথ্যে বলে বলে প্রমাণিত করে দিয়েছিলেন! 
উনি এই বিজয়ের মানসিক ছবি এই ভবে পেশ করেছিলেন যে, ওনার দৃঢ় বৃশ্বাস হয়ে পরেছিল, উনি নিশ্চিত রূপে সফলতা অর্জন করবেন!
 ব্যনিষ্টারের সফলতা অন্যদের কাছে সফলতার দরজা খুলে দিয়েছিল এক বছরের ভেতরে বেশ কিছু ধাবক এই অসম্ভব কাজকে 
সম্ভব করে তুলেছিলেন! আপনাকে নিজের মস্তিষ্কের বাধার বৃত্তকে ভেঙে ফেলতে হবে এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে  এগোতে হবে!
 এর ফলে আপনার এবং আপনার আশে-পাশের ব্যক্তিদের জীবনতাই বদলে দেবে!
মস্তিষ্কের সমতল প্রক্রিয়া!
যখন আমরা কোন ঘটনা মুখোমুখো হই, তখন আমাদের মাস্তিষ্ক সেটাকে কষ্ট বা খুশীর রূপে গস্খহণ করে নেয়! 
এই বর্গী করণ এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করা হয় যে, আপনি কোন ঘঁনাকে কি ধরনের কষ্ট বা খুশির রূপে অনুভব করেন! 

এটা ঠিক যে, আমাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতি আমাদের দিয়ে কাজ করায়… কিন্তু তার একটা সিমা আছে ! 
কিছু লোক নিজেদের অপদার্থ শ্রেনীতে রাখেন! কারণ ওনারা বেশ কয়েকবার ব্যর্থতার মুখ দেখছেন! 
এই ভাবে নিজেকে একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে পড়তে পারে… যেটা সম্ভবকেও অসম্ভব করে তোলার রাস্তাকে খুলে দেয়!
আপনি কি নিজের সীমিত মূল্যাংকনের তুলনা অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে করেন? না কি তার ব্যতিক্রম?
সঠিক প্রশ্ন করে নিজের বদঅভ্যাসকে পাল্টান!
আপনি হয়তো বেশ কয়েকবার নিজের ওজন কম করার চেষ্টা করেছেন… কিন্তু হয়তো প্রতিবারই আপনি ব্যর্খ হয়েছেন! 
আপনি কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কি করে আমার ভ’ড়ি বরবে? আমার ফেবারিট ভাজাভুজি খাবার কোনটা? এছাড়াও, 
নিজেকে প্রশ্ন করুন- কোন খাবার আমাকে শক্তি প্রদান করবে? কোন হাল্কা স্যুপ এনার্জি প্রদান করবে? 
আপনিও যদি খাবার খাওয়ার প্রতি লালায়িত হয়ে খাকেন যে, এই খাবার খেলে আমার কত কিলো ওজন বাড়বে? 
তারপর কি আমি নিজের উদ্দেশ্য সফল হতে পারব?
প্রশ্নে পরিবর্তন আপনার ভদঅভ্যাসের ভেতরে পরিবর্তন আনবে এবং আপনার জীবনের গুণবত্তার উন্নতি হবে!
আপনি কি চান? এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত, নাকি উচিত নয়? উদাহরণ হিসেবে, ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে 
চিন্তা করার এমনটা চিন্তা করুন যে, কি করে সুস্থ থাকা যায় ? এতে আপনি মূখ্য বিন্দুতে নিজের মনোযোগ 
কেন্দ্রিত করেতে সহায়তা পাবেন এবং উদ্দেশ্যকে প্রাপ্ত করা আপনার পক্ষে সহজ হয়ে উঠবে! আপনি কি চান এবং 
তাতে কি-কি বাধা আছে, সেগুলোকে জানুন!
সঠিক প্রশ্ন প্রণালী কি ভাবে কাজ করে?
আপনি যা খুঁজছেন, তার প্রতি জাগরুক থাকুন! নিম্নলিখিত অভিজ্ঞতাকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন! 
এটাকে এক অপরিচিত ক্ষেত্রে করূন! এক মিনিট সময় ধরে নিজেকে আশেপাশের পরিবেশ সমন্ধে চিন্তা করুন ্এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন :
‘আমি হলুদ রং কোথায় দেখি?’ সেই রং সম্পর্কিত সকল তথ্য নোট করে নিন ! তারপর নিজের চোখ বন্ধ করে নিন ! 
মনে-মনে সবুজ রং স্মরণ করুন! এমনটাও হতে পারে যে, আপনার খয়েরী রং সম্পর্কে সব মনে পড়ে যাবে,
 কিন্তু আপনার মস্তিষ্কে সবুজ রং-য়ের সম্পর্কে কিছুই প্রকট হবে না! এবার নিজের চোখ খুলুন… আপনার সব কিছই সবুজে-সবুজে বলে মনে হবে।
‘যাকে খুঁজবেন, তাকে পেয়ে যবেন!’
বিশ্বাস/ চিন্তাধারা !
যে কোন উদ্দেশ্যের সফলতা আমাদের বিশ্বাসের ওপরে নির্ভর করে যে, আমরা সেই উদ্দেশ্যের সফলতার যোগ্য কি না? 

আপনার বিশ্বাস এবং ফোকাস আপনার অতীতের অভিজ্ঞতার ওপরে নির্ভর করে যেটা নেতিবাচক ভবনাত্মক চিন্তাধারা হতে পারে! 
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দু ধরাই চিন্তাধারায় আমাদের ভিতর সমাহিত করে!
যে কোন চিন্তাধারা একটা বিশ্বাসের রূপ নিতে পারে, যদি আমরা প্রসঙ্গ আর অভিজ্ঞতাকে এই কাজে সহায়ক করে তুলি!

নীচের বাক্য গুলো র ওপরে চিন্তা ভাবনা করুন :-
১. লোকেরা সাধারনতঃ সৎ এবং ভালো হন!
২.লোকেরা নিজেদের জন্যই বেইমান হন!
এমনটা হতে পারে যে, আপনার এমনটা বিশ্বাস করার পক্ষে যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা রয়েছে যে, লোকের ভিতর থেকে খারাপ হন!
 আপনি যদি অন্য অভিজ্ঞতাগুলোর উপর দৃষ্টি দেন, তাহলে সহজেই আপনি এমনটা মনে করবেন যে, লোকের ভিতর থেকে ভালো আর সৎ হন! 
আপনার কাছে এমনটা বিশ্বাস করার যথেষ্ঠ কারণ থাকে!