আপনার জীবনকে বদলে দেবে…আউটসোর্সিং…

আপনার জীবনকে বদলে দেবে পরিশ্রম সত্যিই মানুষকে বদলে দেয়। ধ্যান-ধারনাকে ইতিবাচক করে তুলে। মানুষকে চেষ্টাশীল, কর্মনিষ্ট ওধৈর্য্যশীল হতে একান্তভাবে সাহায্য করে। পরিশ্রম সবসময় কাজে লেগে থাকার একটি শিক্ষা দিয়ে থাকে। এস ডব্লিউ রুলের মতে, কেউ করবে, কেউ বরবে না তাতে কি! কেননা কেউ না কেউ তো সবসময় অপেক্ষায় আছেই…Some Will Some won’t So what, because someone else is always Waiting…… ”আপনার সামর্থ্য ও যোগ্যতা আছে কি নেই সেটা বড় কথা নয়,সফলতা র্অজনরে আগ্রহ থাকাটাই মূল বিষয়। জীবনে যারা বড়, মহৎ কিছু করেছেন, বড় সাফল্য পেয়েছেন, তাদের সে সাফল্যের গোপন রহস্য একটাই। তা হলো চেষ্ট করা ধৈর্য্যসহকারে লেগে থাকা। বিশিষ্ট বিজ্ঞানি লুইপাস্তর বলেছিলেন, “আমাকে যদি কেউ বলে আমার গন্তব্যে পোঁছানোর গোপন রহস্য কি? যাকে বলে নাছোরবান্দা ধৈর্য্য সহকারে লেগে থাকা। এটাই আমার সফলতার মূল শক্তি।” যারাই জিবনে সফল হতে চায় তাদের মধ্যে অবশ্যই চেষ্টা বা কোনো কাজের পেছনে লেগে থাকার প্রবণতা থাকতে হবেই। আপনি যদি একজন বেষ্ট লজিন্ডে হতে চান তাহলে অবশ্যই উদ্দ্যেশ্য প্রতিষ্ঠা করার অভিপ্রায় তথা জীবনে সফল হবার কর্ম-পরিকল্পনা ছকে নেয়া অত্যাবশ্যক। সফল ফ্রল্যিান্সাররে ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সহজে অনুমান করতে পারি। Objective -এর শিক্ষা হচ্ছে আমরা কোথায় আছি এবং কোথায় যেতে চাই তা নির্ধারণ করা। Objective indicates when we are and when we want to go.তাই বলা হয়ে থাকে- There can not be successful ফ্রল্যিান্সার or best ফ্রিল্যান্সার without a not objective. লক্ষ্যও উদ্দেশ্য নির্ধারণ ব্যাতীত কোনো ফ্রল্যিান্সারই সফল ফ্রল্যিান্সার কিংবা সেরা ফ্রল্যিান্সার হতে পারে না। “সাফল্যের যাত্রাপথ” নামের বিখ্যাত বইটিতে Objective সম্পর্কে বলা হয়েছে, , If a man dose not know to which port he is steering know wind is favourable to him. অর্থাৎ একজন নাবিক যদি না জানে তার জন্যে কোন্ দিকের বাতাস অনুকূল হচ্ছে, তাহলে তার উদ্দেশ্য অর্জন হবে না অর্থাৎ সে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না। এ জন্যেই উদ্দ্শ্যে অর্জনের জন্য Action plan কর্মকৌশোল নির্ধরণ অবশ্যক। তার পরসে অনুযায়ী কাজ করা বা কাজে লেগে থাকা। কোনো কাজে অরবরত লেগে থাক অর্থাৎ অধ্যবসায়ের পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করে যিনি ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন তিনি হলেন টমাস আলভা এডিসন। যখন তিনি ৯,৯৯৯ বার পরীক্ষা চালোনো শেষ করেছেন তখন একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, “স্যার আপনি কি ১০,০০০ বারের মতো ব্যর্থ হতে চলেছেন?” এডিসন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জবাব দেন, ,’আমি পরীক্ষা চালানোর সময় একবারও ব্যর্থ হয়নি, বিদ্যুতবাতি হয়তো আমি এখনো আবিষ্কার করতে পারিনি, তবে ৯,৯৯৯ টি পথ আমি আবিষ্কার করতে সমর্থ হওয়ছি , কোনো না কোনো ভাবে এ পথ গুলো আমার ১০,০০০ রকমের সফলতার ইশারা দিচ্ছে। টমাস এডিসনের চেষ্টায় প্রথম রহস্য ছিল তিনি একান্ত ভাবে জানতেন তার আবিষ্কার গুলো কাজ করবে, কারণ তিনি এমন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যা তাঁর আবিষ্কৃত বস্তুটি কাজের যোগ্যতা অর্জন করবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে “পিটেন্ট” পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ডের অধিকারী, কারণ তিনি শিখিয়ে ছিলেন ব্যর্থহয়েও কীভাবে পদ্ধতিগতভাবে কাজ করতে হয়। এডিসন প্রত্যেকটি সম্ভাব্য “সমাধান” যচাই করে নেবার জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করে ছিলেন যাতে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে সমাধান না পেলে তিনি খুবই উত্তেজিত হয়ে পরতেন। কেননা তিনি জানতেন এখন সমস্যা সমাধানের ধার প্রান্তে এসে পরেছেন। এখন আসুন আমরা দেখি সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যর্থতার সঙ্গে একটি জেলিবিন পাত্রের সম্পর্ক কি হতে পারে। যদি এডিসনের কাছে একপাত্র জেলিবিন থাকতো তা হলে তিনি তাঁর “ধারনার বিন” দিয়ে ঐ জিনিস ভরে রাখতেন। রকমারি ধারণারবিন থেকে সমস্যা সমাধানের একটি ভিন্ন প্রক্রিয়াবের হয়ে যেতো। টমাস আলবা এডিসন “ধারণা বিন” দিয়ে ঐ জিনিস ভরে রাখতেন যার একটু খালি হলেই পুনরায় অন্য ধারনা দিয়ে ভরে রাখতেন। যে পর্যন্ত তিনি সমাধানের আলোকবর্তিকা নিযে কক্ষটি পরিপূর্ণ ভাবে আলোকিত না করতে পারেন; ততক্ষন পর্যন্ত তার গবেষণা চলতে থাকতো । তিনি থামতেন না, তিনি থামার কথা মনের মাঝে আনতেন না মনের মাঝে কখনও অলস চিন্তা আনবেন না। টমাস আলবা এডিসন কখনও অলস চিন্তার লোক পছন্দ করতেন না। তিনি নিজের আবিষ্কার করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অবিরাম চেষ্টায় মগ্ন থাকতেন। কেননা তার কাছে নতুন চিন্তা ভাবনা কম ছিল না। যখন কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি তখন আমরা প্রয়োজনীয় ২/৩টি বিকল্প সমাধনের কথা ভাবি। দুই/তিন পরিকল্পনা যদি কাজে না লাগে তাহলে আর চেষ্টা করি না, হাল ছেড়ে দেই। সমাধানের পথ থেকে সরে দাঁড়াই। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো হয়তো বা চতুর্থ ধারনা থেকেই আপনি একটি সমাধান পেয়ে যেতেন কিন্তু আমাদের চিন্তা দৈন্য এতে বেশিযে এ কথা না ভেবেই নতুন চিন্তা ধারা স্বল্পতা দেখে আমরা সমাধানের পথ থেকে সরে দাঁড়াই। এখানে টমাস আলভা এডিসন ৩, ৪ কিংবা ৫ টি বিকল্প প্রাক্রয়ার কথা ভেবে কোনো সমস্যার সমাধান না পেয়ে প্রয়োজনের তাগিদে একে একে ১০০০ বিকল্প ধারণার কথা ভেবেছেন। নিজেকে চ্যলেঞ্জ মুখে ছেড়ে দিয়ে একটার পর একটা সমাধানের পথ খুঁজেছেন। এভাবেই তিনি সফল হয়েছেন। বেঁচে থাকপার জন্য সুন্দরভাবেন জীবন গড়ার জন্য আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। কাজের সফলতার জন্য আমাদেরকে এডিসনের মতো চেষ্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো প্রস্তাব, বা কাজের স্বপক্ষে কিছু যুক্তি খুজুন, বিকল্পপথ বের করুন ক্ষুরধার, তীক্ষ্ম কৌশলের কথা ভাবুন। তীব্র মনোযোগের মাধ্যমে কোনো কাজের স্বাপেক্ষে কিছু যুক্তি বা নতুন নতুন সমাধানের কথা ভাবলে আপনি অবশ্যই অলসতার বৃত্তথেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। দূর বিশ্বাস থেকে আমি অনেক সফলতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছি। আমার মতে “জ্ঞান প্রশিক্ষন” অর্থাৎ “মেধার পশিক্ষন।” আপনার মেধার প্রশিক্ষন হচ্ছে সমস্যা সমাধানের জন্য নানা উপায়ে সন্ধান করা এবং মেধা সক্তিকে সাফল্যের লক্ষে যথাযথ ব্যবহার করা। আপনি এভাবে কাজ করলে, এটা নিশ্চিত যে আপনার মেধা থেকে নতুন নতুন চিন্তা-চেতনা বেরিয়ে আসবে, চিন্তা-চেতনাগুলোকে হয়তো আপনি আগে কথনও কাজে খাটাতে পারেননি। আপনার সমস্যা গুলোর সমাধানের জন্য একটা বেছে নিন। এক টুকরা কাগজ নিন, কাগজের উপরের দিকে আপনার সমস্যাসার কথা লিখুন। এরপর কয়েকটি সমাধানের পথ আবিষ্কারের চেষ্টা করুন এবং ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, এভাবে সমস্যাগুলো লিপিবদ্ধ করুন।