সফলতা হলো পরিশ্রম ও ধর্য্য এর সাথে জড়িত…

সফলতা হলো পরিশ্রম ও ধর্য্য এর সাথে জরিত শুধু ব্যবসাতেই নয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্যের লক্ষ্যটি কে থাকার উপরেই সফলতা নির্ভলশীল। এ ব্যবসায়ে অবশ্যই আপনার একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার বুদ্ধি, শ্রম, সময় এবং নিয়মিত কাজে লাগান তাহলে ঐ লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন হল বিষয়টি সম্পর্কে সতেজ জ্ঞান, গভীর আগ্রহ ও কর্ম দক্ষতা এর জন্য বিশেষ কোনো জ্ঞান বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। তবে এই সব থাকলে সাফল্য আরও তারাতারি আসে। ব্যবসার গোপন কথা হলো এ ব্যবসায়ে কতকগুলি বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এ সব সুবিধেয় অর্থ্যাৎ এর কনবাইট, প্রশিক্ষন ইত্যাদির গ্রহণ করে এবং অন্যকে সাহায়্য সহযোগিতা করে আপনি অতি সহজেই আপনার সাফল্যের দার প্রান্তে পৌঁছাতে পারেন। যারা এই ব্যবসার সাথেসম্প্রক্ত হয় তার সত্যিকারার্থে সফল হতে চায়। এজন্য আপনি আপনার লোকদেরকে বিশেষ একটা কৌশল সম্পর্কে করতে হবে, যেটাকে “ক্রিয়েটিভ ভিজুয়ালাইজেন” (creative visualization) হিসেবে উল্লেখ করা যায়। আপনি তখন ভাবেন ভবিষ্যতে কি হবেন সেই চিত্রটি নিয়ে লিখে রাখুন তখনই আপনি বাস্তবেও অনুভব করবেন সেটা সত্যিই ঘটতে চলছে। একটা চলচিত্রর স্ক্রিপ্ট যেভাবে লেখা হয় সেভাবে দৃশ্যগুলি সাজিয়ে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গুলো লিখে ফেলুন। ধরুন, এক ব্যক্তি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করে অথবা আমি আগামি বছরের এই সময় হতে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করব। তার জন্য কি কি করতে হবে ইত্যাদি লেখে এগিয়ে যান। পরিকল্পনাগুলো একে একে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন তা হলে দেখবেন “ক্রিয়েটিভ ভিজুয়ালাইজেশন” পদ্ধতিতে আপনি প্রতিনিয়ত অনুভব করতে থাকবেন যে আপনি যা ইচ্ছা করছেন তা ঘটতে যাচ্ছে। আর আপন মনে এর পক্ষে কিছু বলুন। কারণ কথায় শক্তি থাকে। আপনি নিজে যেমন ভাবছেন, করছেন আপনার ডাউন লাইনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও তেমন ভাবতে বা করতে শেখান, দেখবেন সেও একদিন আপনার মতই বদলে গেছে। সে পরিবর্তিত হলে আউটর্সোসিং-এ আপন ইচ্ছায় আপনার উপর তার প্রভাব পড়বে এবং আপওি এত লাভবান হবেন। আপনার লোকদের দিনে দু’বার এ প্রশিক্ষন অনুসরণ করতে উৎসাহিত করুন। দেখবেন একমাসের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করেছে। এ সম্পর্কে আমার নিজের অভিজ্ঞতা হলো অধিকাংশ মানুষই তিন মাসের মধ্যেই বাস্তব ফল পেতে শুরু করে, তার জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য Goal- Setting-এর গুরুত্ব অপরিশিম। অর্থ্যৎ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্যই উদ্দেশ্য নির্ধারণ জরুরী। লক্ষ্য ছাড়া কখনও নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানো যায় না । সফলতা র্অজনরে লক্ষ্যহীনতাই ব্যর্থতা বয়ে আনে। এ পেশার অধিকাংশ মানুষেরই সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য থাকে না বলেই বেশিদূর এগুতে পারেনা। তারা বুঝতে পারে না কত সময়ে, কত পরিশ্রমের বিনিময়ে কি অর্জন করতে চান। তাই সফলতা র্অজনরে একজন সেরা ফ্রল্যিান্সাররে পূর্ব শর্ত হচ্ছে, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে সাফল্যের জন্য সংগ্রাম করা এবং নিজেকে পরিচালিত করা, পরিকল্পনা মত কাজ করে যাওয়া। আপনার লক্ষ্য স্খির নিচের চারটি প্রশ্নের সাথে বিশেষ ভাবে জড়িত (ক) আপনি কি করতে চান? (খ) কত সময়ে করতে চান? (গ) যত সময়ের মধ্যে যা করতে চান তার জন্য যা যা করা দরকার তার পদক্ষেপ নেয়া। (ঘ) সফল হওয়ার জন্য Action-plan কাজের কৌশল তৈরী করা। ধরা যাক, আপনি সফল হতে চান: তাহলে কত সময় লাগবে? ধরে নিলাম আগামী এক বছরের মধ্যে হতে চান এবং সে অনুযায়ী আপনি কাজে লেগে গেলেন। এরপর আপনার যা করনীয়। প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মুখোমুখি হওয়া। প্রত্যেকটি মানুষের একটা নেতি বাচক দিক থাকে, তা হচ্ছে, আজকে নয় কালকে অমুক কাজটা করব। এসব থাকলে আপনি কখনও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। সময়ের কাজ সময়ে না করলে সফল তো দুরের কথা গ্রাহক যোগার করাও হয়তো সম্ভব হবে না। আপনি যত স্মার্টও বুদ্ধিমত্বার সাথে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে লোকজনকে বোঝাতে পারবেন যে আপনার কাজে সাফল্যের অদ্ভুত সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে এসে আপনি সুন্দর, স্মার্ট ও হাসি আনন্দময় জীবনের সন্ধান লাভ করেছেন। তখন লোক আপনার সঙ্গে যোগ দেবে, তারা আপনার সাথে জয়েন করার বিষয়টা তখন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। আপনি কখনও হাল ছাড়বেন না। যদি একবার সাফল্যের সম্ভাবনার সাক্ষাৎ পান, তাহলে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। ধৈর্য ধরুন চেষ্টা করুন আপনি হতে পারবেন সেরা ফ্রল্যিান্সার, হতে পারবেন সফল । হতে পারবেন স্বনামধন্য ব্যক্তি ।