হতাশ হবেন না…কখনোই

হতাশ হবেন না ধৈর্য্য হারা বা হতাশ হবেন না, বা ভেঙ্গে পড়বেন না। সফলতার ক্ষত্রেে সাহায্যের গুরুত্ব অনেক বেশি। ব্যবসার উন্নতি হচ্ছে না- এই ভেবে হতাশ হবেন না, হয়তো আপনার কর্মপন্থা একটু পরিবর্তনের প্রয়োজন। আপনার জীবনে অসীম সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মেচন করতে পারে আউটর্সোসিং কিন্তু কীভাবে তা জানার ও বুঝার বিষয়। যখন আউটর্সোসিং-কে আপনি মনে-প্রাণে ভালবেসে ফেলবেন তখন এ ব্যবসায় আপনার সাফল্য নির্ঘাত আসবেই। আসলে কর্মের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকা এবং মনে-প্রাণে বিশ্বাসের সহিত কাজ করার সাথে সফলতার সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আউটসোর্সিং ব্যবসায় আপনি টিকে থাকবেন কি থাকবেন না তা আপনার উপরেই নির্ভরশীল। যদি সহজেই এ ব্যবসা ছেড়ে আপনার চলে যাওয়ার ইচ্ছে হয় তাহলে এ ব্যবসায় আপনি নিশ্চিত ব্যর্থ হবেন, প্রথম বছর আপনি টিকে যান তা হলে একজন নতুন ফ্রল্যিান্সার হিসেবে আপনার সাফল্যের বুনিয়াদ তৈরী হবে। আক্ষরিক অর্থে (ওয়েবেষ্টার ডিকশনারির ভাষ্য অনুযায়ী) “টু সারভাইভ”( to survive) এর অর্থ হলো বেঁচে থাকা অথবা টিকেথাকার উপায়বিশেষ করে চোখের সামনে অন্য সব প্রতিষ্ঠানটির বিনাশ হবে না এ আত্মবিশ্বাসে লেগে থাকা এবং সবসময় ইতিবাচক মনো ভাবের সাথে কাজ করা। সফলতা র্অজনরে বিশেষ বৈশিষ্ট হলো সাফল্যের লক্ষ্যে টিকে থাকা, নিজের অস্থিত্ব ধরে রাখতে পারা। এগুলো সেরা ফ্রল্যিান্সার বড় গুণ। অন্যেরা যখন চলে যাচ্ছে সে সময় আপনি যদি নিজের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেন তা হলে এই ব্যবসা আপনাকে প্রচুর অর্থ এনে দিতে পারে। যারা টিকে থাকে তারা আর্থিক ভাবে পুরস্কিত হয়,পায় সময়জনিত পুরস্কার (Time Reward) অর্থাৎ যারা আপনার নেটে কাজ করে তাদের কে এর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে, তাদের কে ভালবাসা দিয়ে, তাদের সাথে সময় ভাগ করে ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারার কারণে আপনি নিজেও লাভবান হবেন। আজকের দিনে সেখানে প্রথাগত ব্যবসায়ের লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেও লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে নূন্যতম পুঁজি বিনিয়োগ করে একটু মেধা শ্রম দিতে পারলেই আপনার সারা জীবনে আর্থিক নিরাপত্তার ভীত তৈরীর একমাত্র পথ আউটসোর্সিং । আমার মতে, “মুক্ত বাণিজ্যের সবচেয়ে চমৎকার ব্যবস্থায় হচ্ছে এমএমএল ব্যবসা। এটা এমন এক পদ্ধতি যাতে খুব কম বিনিয়োগ করে, কম আত্মপ্রত্যয়ী লোকেরাও বড় রকমের আর্থিক সুবিধে ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পেতে পারেন। পুঁজিবাদের ইতিহাসে আউটর্সোস আসলেই একটা বড় রকমের সুযোগ। স্ত্রী, পরিবার অথবা বন্ধুরা যদি প্রত্যাখান করে তবে কি আপনি কাজ ছেড়ে দিবেন? বা হতাশ হবেন মোটেই না, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। হতাশ হলে তো আপনি পরাজয় মেনেই নিলেন। আউটসোর্সিং ব্যবসা করতে গিয়ে পরিবার ও বন্ধুমহল যদি আপনাকে হতাশ করে সেটা একটা বাঁধা। তবে আপনি কখনও বিচলিত হবেন না। পৃথিবীতে বহু মহামানব তাদের ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন। অপমান হয়েছেন বার বার তাই বলে কি তারা প্রচার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। মোটেই না। তাহলে আপনার বিলিত হওয়ার কারণ নেই। আপনি আগে আপনার নিজেকে বদলান। তাহলে দেখবেন তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাচ্ছে। অর্থাৎ আপনি কখনও তাদের সরাসরি বিরোধিতা করবেন না। তাদের মনের মাঝে আপনার বক্তব্য প্রবেশ করান। আজকে যে আপনার মনের বিরোধী কালকে সে সহযোগী হতে পারেÑতাই নিজেকে ছোট করে দেখার মনোভাব দূর করুন। যতবেশি গ্রাহকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন আপনার ব্যবসার পরিধি ততোই বাড়বে। কারণ কথায় আছে প্রচারই প্রসার। নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে, জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য গভীর পড়াশোনা করতে হবে, ব্যবসা সংক্রান্ত সেমিনারে অংশ নিতে হবে, যাতে আউটসোর্সিং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নিজের জানা কোনো ঘাটতি না থাকে। নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আপনার আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের বিকাশ ঘটবে, ব্যবসায়ের পরিধি বাড়বে। পেশায় ও ব্যক্তিত্বে আপনি আরও উঁচুতে উঠতে পারবেন। প্রত্যাখান হবার ভয়ে হয়তো আপনি একজন সম্ভাবনাময় গ্রহককে হারালেন। তোমার হৃদয় থেকে যা করতে চায় তাই করো, কারণ তোমার সমালোচনা হবেই। তুমি করলেও হবে না করলেও হবে।” কাজেই প্রত্যাখ্যাত হবার ভয়ে গ্রাহক থেকে দুরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং কারো কথা না ভেবে নিজের মন থেকে কাজ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।