Home Page

Offer Id: 920
Company Name: Selltoearn.com
Contact No.: 01823660266
E-mail: selltoearn.com@gmail.com
Business Type: Education/Training
Location: Anywhere in Bangladesh
Offer Title: Click for details

Offer Details:

হতাশা বা মানসিক অবসাদ কি ? বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতে হতাশা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবেন ?

হতাশা বা মানসিক অবসাদ কি ? বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতে হতাশা থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবেন ?

হতাশা শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হল হত+আশা = হতাশা। অর্থাৎ প্রত্যাশিত কোন কিছু হতে যে বিপরীত বা হত আশার পুন:জন্ম হয় তাই হতাশা। মানুষ অনেক ক্ষেত্র হতে হতাশাগ্রস্ত হয়। ব্যাপক প্রাপ্তির আশায় বুক বেধে মানুষ যখন নিরাশ হয় তখন সে বরই অসহায় হয়ে পরে। আর হতাশার পরিমান যখন সর্বোচ্চ অবস্থায় অবস্থিত হয় তখন মানুষ এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছা ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে আর তখনই সে ঘটায় মারাত্মক দুর্ঘটনা এমনকি হতে পারে আত্মহত্যা যা আমাদের কারোও ক্ষেত্রে কাম্য নয়। মনিষিগণ বলে থাকেন “আপনি কখনই হতাশ হবেন না; মনে রাখবেন আজ হয়তো আকাশে অনেক মেঘ, কাল কোন সূর্য্যের অস্তিত্ব দেখা যাবে না কিন্তু অবশ্যই এমনও একটি দিন আসবে যে দিন আকাশে কোন মেঘ থাকবে না এবং সূর্য্য দেখা যাবে খুব ভালভাবে”

হতাশা নামক এই ব্যাধির সবচেয়ে প্রধান প্রতিষেধক হল নিজেকে সব সময় কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত রাখা।

প্রতিটি মানুষের জীবনে উথ্যান পতন রয়েছে। যে জীবনে ঝুঁকি, প্রত্যাশা, অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা, পরাজয় নেই সে জীবনে সাফল্যের মধ্যে প্রকৃত সুখ নেই।

হতাশা বা মানসিক অবসাদ বা depression এই প্রত্যেকটি শব্দ একটি শব্দের সমার্থক শব্দ যা কিনা যেকারো জীবনে বিনা অনুমতিতে এসে তার জীবন এর রং পাল্টে দিয়ে যায়। করোনা মহামারীর মত হতাশাও এক ধরণের মহামারীর মত হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশে। পত্রিকার পাতা খুললে এমন কোন দিন পাওয়া দুষ্কর যেদিন হতাশায় পরে মানুষ আত্নহত্যা করে নি!!

এই হতাশায় ভুগতে দেখা যায় আজকাল স্কুল ও কলেজের ছেলেমেয়েদের, কিন্তু তাদের কিসের হতাশা যাদের জীবনের শুরুই এখনও হয়নি?

কি এই হতাশা? (What is depression?) কি কারণে মানুষ হতাশায় পরে? কি করে বোঝতে পারবো কেউ হতাশায় আছে? কি এমন হয় যে মানুষ হতাশায় ডুবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জীবন ত্যাগ করতেও কুন্ঠিত বোধ করে না? যদিও সে জানে যে তার আর এই পৃথিবীতে ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই। এর থেকে মুক্তির কি উপায়?হতাশাকে যদি বইয়ের ভাষায় সংজ্ঞায়িত করি তাহলে দাঁড়ায়, কোন কিছুর ইচ্ছেপূরণ না হলে বা কাজের আশানুরূপ ফল না পেলে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয় তাই হলো হতাশা। মানুষের তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা-ই হতাশার লক্ষণ।

হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি যার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি কখনও মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে যার ফলাফল সরূপ সে তার জীবন শেষ করে দেয় বা অনেক সময় অনেক অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে থাকে। বর্তমান সময়ে মানুষ নানা কারণে হতাশায় পড়ে থাকে। আমরা সকলেই এক বীভৎস সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যা থেকে চাইলে রাতারাতি উৎরানো সম্ভব না৷ এই কারণে অনেকেরই চাকরী চলে গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।

নিম্নে হতাশার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো;
১.বিশাল সংখ্যক বেকার মানুষদের নতুন কর্মসংস্থান না পাওয়ার হতাশা,
২.নতুন চাকরী প্রার্থীদের চাকরী পরীক্ষা না দিতে পারার হতাশা,
৩.ছেলমেয়েদের মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ার হতাশা,
৪.টিকটক ভিডিও গেমস না খেলতে দেওয়ার হতাশা,
৫.উচ্চাকাঙ্ক্ষা,
৬.প্রেমে ব্যর্থ হওয়া,
৭.নুতন চাকরি শুরু করা,
৮.নতুন কোনো স্কুলে যাওয়া, বা শিক্ষা জীবন শেষ করা,
৯.বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি নানান কারনে মানুষ হতাশ হয়ে থাকে।

এই হতাশা এক ধরণের সামাজিক অবক্ষয়। যার ফলে ব্যক্তি একা ক্ষতিগ্রস্থ হোন না, সাথে তার পরিবারও সামাজিক লোকলজ্জার মুখে পড়েন। তবে সকল সময় শুধু ব্যক্তি একা দোষী থাকেন না, কখনো পরিবারও সমান ভাবে এই হতাশার পিছনে দায়ী থাকেন। কখনও পরিবারের অতিউচ্চ চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েও মানুষ এই হতাশা নামক সমস্যার মুখে পড়ে।

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবো কেউ হতাশাগ্রস্থ?

একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষের মাঝে নিম্ন লিখিত সিমটমগুলো দেখা যায়;
১। যারা হতাশায় থাকে তাদের মেজাজ সাধারণত খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
২। একজনের রাগ অন্য জনের উপর মেটায় কারণ তারা অন্যমনস্ক থাকে সাধারণত।
৩। মন খারাপ করে বসে থাকা।
৪। সবসময় উদাসীন থাকা।
৫। অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাবে।
৬। সবসময় মন খারাপ থাকা।
৭। কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
৮। নিজেকে মূল্যহীন ভাবা
৯। কথা বলতে তাড়াহুড়ো করা ইত্যাদি

এখন প্রশ্ন হলো হতাশায় পড়লে কি করবো? যাতে জীবন নাশের মত ঘটনা থেকে বেঁচে থাকা যায়? বা অন্য মানুষকেই বা আমরা কি উপদেশ দিতে পারি? হতাশা কাটানোর নানান ধরণের উপায় আছে।

নিম্নে ১১ ধরণের উপায়ের কথা উল্লেখ করা হলো যা কিনা আপনার হতাশা কাটানোর ঔষধ হতে পারে;

১.বই পড়াঃ

বই পড়া একটা ভালও মাধ্যম হতে পারে হতাশা কাটানোর। আপনি বিভিন্ন ধরণের বই যেমনঃ উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনি কিংবা সাইন্স ফিকশন ইত্যাদি বই পড়তে পারেন। আবার সফলতার কিংবা ব্যর্থতার বইও পড়তে পারেন। এতে করে আপনি যখন বই পড়বেন নতুন কিছু জানার সাথে সাথে আপনি চরিত্রগুলো ভিতরে ঢুকে যাবেন যা কিনা আপনার সাময়িকভাবে হতাশা কাটানোর সহায়ক হতে পারে।

২.গান শুনাঃ

গান শোনাও একটি চমৎকার মাধ্যম হতে পারে হতাশা কাটানোর। বিভিন্ন ধরণের গান যেমনঃ কষ্টের গান, সুখের গান অথবা দেশাত্নবোধক গান শুনতে পারেন। যখন আপনার মুড অফ থাকে তখন গান শুনলে আপনার মুড সুইং হয় আপনি আলাদা একটা জগৎ এ থাকেন যা কিনা আপনাকে হতাশা থেকে দূরে রাখে। আপনার খেয়াল অন্যদিকে থাকে।

৩.নতুন পরিবেশে ঘুরে আসাঃ

যদি আপনার অনেক ওয়ার্কলোড থাকে বা কোন কারণে মন খারাপ অথবা আপনার কোন কাজেই মন বসছে না তাহলে সাময়িকভাবে সময় নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ফ্রেশ এয়ার আপনার মন ও শরীরের জন্যে খুবিই উপকারী, সাথে সাথে নতুন জায়গা নতুন কিছু শিখার মাধ্যম। আপনার কাছের কেউ যার সাথে কমফোরটেবল কাছে কিংবা দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসলে তা আপনাকে হতাশা থেকে মুক্তি দিবে।

৪. মেডিটেশন করাঃ

মেডিটেশন মানে হচ্ছে আপনি বর্তমানে যা আছে ভুলে কোন একটা স্পেসিফিক বিষয়ে কনসেনট্রেট করা অর্থাৎ আপনি আলাদা কিছুতে বেশি মনোযোগী হয়ে যাবেন যার ফলে আপনি হতাশা থেকে দূরে থাকবেন। মেডিটেশন শুধুমাত্র আপনাকে মনোযোগী করে তোলবে না। প্রতিদিন মেডিটেশন করা ব্যক্তি কাজের প্রতি অধ্যাবসায়ি, ধৈর্য্যশীল ও সংযোমি হয়। এটা অনেকটা একের ভেতর দশ টাইপের। প্রতিদিন মেডিটেশন আপনাকে অনেক কিছু দিবে।

৫.বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়াঃ

বন্ধু একটা বেস্ট মাধ্যম হতে পারে আপনার হতাশা কাটানোর জন্যে। ভাল বন্ধু অনেকটা ঘরের পিলারের মত। তারা সময়ে ও অসময়ে আপনার পাশে সব সময় থাকবে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে, তাদের সাথে খোশগল্পে মেতে থাকলে, হাসাহাসি করলে আপনার মাইন্ড অনেক রিলাক্স হয় যা আপনাকে হতাশা থেকে দূরে রাখে।

৬. ইসলামিক গজল শোনা ও বই পড়াঃ

ইসলামিক অনেক গজল আছে যেগুলো শুনলে মন অনেক হালকা হয়ে যায়। আবার অনেক বই আছে হতাশা থাকে রিকোভার করার যা পড়লে আপনার হতাশা দূর হয়ে যাবে। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে একটা দোয়া আছে আপনি চাইলে তা পড়তে পারেন। দোয়াটি নিম্নরূপ; উচ্চারণঃ ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ। অর্থঃ ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’[ তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত ]

৭. ডাক্রারের কাছে যাওয়া বা কাছের কারও কাছে সমস্যার কথা খুলে বলাঃ

অনেক সময় কথা চেপে রাখা থেকে প্রেশার বেড়ে যায়, এমনকি প্রচন্ড রকমের হতাশায় মানুষ সাময়িক স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে ফলে উল্টা পাল্টা কথা বলে। তাই চরম পর্যায়ে যাওয়ার আগে ভাল কোন সাইকায়েট্রিস্ট দেখাতে পারেন, যার কাছে আপনি সব কথা খুলে বলতে পারবেন। তারপর ওই ডাক্তার আপনাকে একটা ভাল সমাধানের পথ দেখাবে। অথবা আপনার কাছের কেউ যার কাছে আপনি সব কথা শেয়ার করেন, যে আপনাকে একটা ভাল সমাধানের পথ দেখাবে তার কাছে সব সমস্যার কথা খুলে বলুন। তবে এমন কাউকে না বলাই উত্তম যে কিনা সমাধান দেওয়ার বদলে মজা নিবে।

৮. নিয়মিত খেলাধুলা করাঃ

নিয়মিত খেলাধুলা শরীর ও মন উভয়কেই ভাল রাখে। আপনি হতাশায় থাকলে, নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারেন যাকিনা আপনাকে নতুন কিছুতে নিজেকে মত্ত রাখার মাধ্যমে হতাশা থাকে দূরে রাখবে। খেলাধুলা এক ধরণের মেডিসিন হিসেবে কাজ করে বিষন্নতার জন্যে।

৯. সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখাঃ

কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আপনি যখন অলস থাকবেন তখন নানান রকম হতাশার চিন্তা মাতায় ঘুরে। তাই আপনি নানান ধরণের কাজের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। ঘরের কাজ করতে পারেন, বিভিন্ন ধরণের শিক্ষনীয় মুভি দেখতে পারেন যার ফলে আপনি ব্যস্ত থাকবেন আর হতাশা আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে।

১০. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ

অনেক সময় ব্যস্ততায় পড়ে, মানসিক অবসাদ থেকে কিংবা অতিরিক্ত টেনশন থেকে ঠিক মত ঘুম আসে না, ফলে সারাক্ষণ মেজাজ খিটখিট হয়ে থাকে। আর এই ঘুম না আসা থেকে মানসিক এক ধরণের অবসাদের তৈরী হয় যাকিনা হতাশার কারণ। ডাক্তারের হিসেব অনুযায়ী একজন মানুষের দৈনিক ৮-৯ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও আপনার হতাশা তৈরী হতে পারে।

১১. গাছ লাগাতে পারেনঃ

পরিবেশ মানুষের মন পরিবর্তনের একটা বড় মাধ্যম। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আপনার বাড়ির পাশে কিংবা বাড়ির ছাদে গাছ লাগাতে পারেন। যা কিনা আপনাকে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি আপনাকে সতেজ রাখবে আর যদি শাকসবজি লাগান তাহলে তা আপনার খাদ্যেরও একটা মাধ্যম হয়।

পরিশেষে…

ইংরেজীতে একটা কথা আছে "দ্যা শো মাস্ট গো অন" অর্থাৎ আপনার যাই হোক না কেন জীবনের এই যুদ্ধে আপনাকে লড়ে যেতে হবে। আপনি হেরে গেলেন তো অন্য কারও জিতার সম্ভাবনা বেড়ে গেল, অন্য কেউ আপনার জায়গা দখল করে নিল। হতাশায় পড়ে জীবন নাশ বা থেমে থাকা কোনও উপায় হতে পারে না। যাই হোক না কেন আপনাকে হতাশ হওয়া চলবে না। মনে রাখবেন আলেকজ্যান্ডার ছয়বার হারার পর সপ্তম বারে জয়ী হয়েছিল, মুকেশ আম্বানি রাতারাতি বড়লোক হয় নি, সুপারস্টার হওয়ার জন্যে শাহরুখকে কত রাত রাস্তার পাশে কাটাতে হয়েছে!!, এভারেস্ট জয়ের জন্যে এডমন্ড হিলারি কে অনেক ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছিল! কিন্তু তারা কি হতাশ হয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছে? নাকি থেমে গিয়েছিল? যদি থেমে যেত, তাহলে কি তারা আজকে আমার আপনার আইডল হতে পারতো? হতাশা সবার জীবনেই আসে কিন্তু সবাই ভেঙ্গে পড়ে না তখন আপনাকে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে উঠে দাড়াতে হবে। সব কিছুই আপনার কাছে এক নতুন সম্ভাবনা হয়ে আসবে আপনাকে শুধু সঠিক পথ সঠিক সময়ে খুঁজে নিতে হবে। তাহলেই আপনি সফল হবেন, ইন শা আল্লাহ।


Offer Source: Plz, click here to show


মিডিয়া এসটিএন**** info@selltoearn.com***

মিডিয়া এসটিএন

Kaliakair, Gazipur, Dhaka, Bangladesh.
https://www.selltoearn.com

প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক: Selltoearn.com

E-mail:selltoearnmoney@gmail.com

উপদেষ্টা সম্পাদক: Selltoearn.com

কারিগরি সহযোগীতায় :
হেমাস আইটি http://www.selltoearn.com

E-mail: info@selltoearn.com

মিডিয়া এসটিএন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার মিডিয়া এসটিএন