শেখার ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয় প্রয়োগ…

ইন্দ্রিয় প্রয়েগ 1.২৫% যা আমরা পড়ি। 2.৩৫% যা আমরা শুনি। 3.৫০% যা আমরা দেখি। 4.৬০% যা আমরা বলি। 5.৭৫% যা আমরা করি। 6.৯৫% যা আমরা পড়ি, শুনি, দেখি, বলি এবং করি। সুতরাং, নিজের ইন্দ্রিয়গুলো ভালো ভাবে উপযোগী করা উচিত। নিজের ইন্দ্রিয়গুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রাশিয়ান সাংবাদিক সোলোমনের নাম বিশেষ রূপে উল্লেখযোগ্য । ওনার স্মৃতিশক্তি এত তীব্র ছিল যে, যদি ওনাকে ১৫ বছর আগে কোন এক বিশেষ দিনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হত, তাহলে উনি কয়েকটা মুহুর্ত চুপ করে থেকে সেই দিনটার ঘটনার বিবরণ হু-ব-হু দিয়ে দিতেন। এমনকি ঐ দিন উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে কোন্ রং-য়ের পোশাক পরেছিলেন এবং ঐ বিশেষ সময়ে ওখানে কারা-কারা মজুদ ছিলেন… সেটাও সোলোমান হু-ব-হু বলে দিতে পারতেন। এর পেছনে রহস্য এটা ছিল যে, উনি অদ্ভ’ত মানসিক চিত্রণ এবং অবিশ্বাস্য বৌদ্ধিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সোলোমন যখনই কোন তথ্য পেতেন, উনি তৎক্ষনাত সেটাকে অত্যন্ত নিয়মপূর্বক নিজের মস্তিষ্কে ‘ষ্টোর’ করে দিতেন। এর ফলে, প্রয়োজনের সময় ওনার সেই তথ্য খুব সহজেই মনে পড়ে যেত। যতটা প্রভাবশালী ভাবে জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলোর প্রয়োগ করা হবে, ততটাই ভালো মনে করা, শেখা এবং ধারণ করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে। এজন্য মানসিক চিত্রণকে ধ্বনি এবং অনুভবের সঙ্গে যুক্ত করে তুলুন… আর যদি সম্ভব হয় তো ঘ্রাণশক্তি এবং আগ্রহের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করুন। যত বেশী তথ্য সম্পর্কিত হবে, তত বেশী সহজ হয়ে উঠবে সেগুলোকে সূত্র দ্বারা মনে করা। সোলোমন এই প্রক্রিয়ার সব থেকে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।