সাহিত্য

মোঃ হাবিবুর রহমান

জীবন থেকে নেয়া বাস্তব অথবা কাল্পনিক ঘটনা অবলম্বনে চিত্রীত কাহিনীর উপস্থাুপনায় পাঠককে আনন্দ দেওয়ার মধ্য দিয়ে কাব্যিক ঢঙ্গে যে নৈতিক শিল্প সৃষ্টি হয় তাকে সাহিত্য বলে । যে প্রশ্নের কোন উত্তর হয়না কিংবা উত্তর আছে কিন্তু যার কোন প্রশ্ন হয় না, এটা হল অচিন্তন বা আধ্যাত্মিক সাহিত্য । সাধারন চিন্তা ভাবনার বাইরেও আর এক প্রকার চিন্তার জগৎ আছে যেটি ভাবা যায় ও সন্দেহ করা যায় কিন্তু তা চিন্তার বাইরে থেকে যায় । পছন্দের বহি:প্রকাশের মধ্যে আত্মিক সাহিত্যবাদ অন্তর্নিহিত থাকে । যার কোন পছন্দই নেই, তারও অন্তত একটি পছন্দ আছে; সেটি হল তার ঐ নির্দিষ্ট অপছন্দ । নিজেকে অপছন্দের মধ্য দিয়ে সকল অপছন্দকে তার পছন্দ হতে শুরু করে । ভাল লাগা ও চাওয়া পাওয়ার অন্য নাম হল অভাব, ঠিক যেমনটা প্রশংসার অন্য নাম অজ্ঞতা; সৌন্দর্যের অন্য নাম ধ্বংস । সাহিত্যের শিকার হল মস্তিষ্ক ও জ্ঞান ।দেহ মস্তিষ্কের মালিক হতে পারে কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধির ও মনের মালিক হল এরা নিজেরাই অথবা হতে পারে অন্য কেও যা এখনও জানা যায়নি । বোধগম্যতা যখন কোন প্রশ্নের সমাধান খুঁজে না পায় তখন সে কষ্ট পায়, মন খারাপ করে আর ধীরে ধীরে বিরক্ত হতে থাকে । প্রকৃত পক্ষে, মস্তিষ্কের ভান্ডারে জ্ঞান-বুদ্ধির ঘাটতি থাকলে তখন ঐ হাতুরে মস্তিষ্ককে সন্দেহ, বিরক্তি, অবহেলা ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার অবলম্বন করতে হয় । তাই বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, চিন্তার স্বাধীন ও স্বত:স্ফুর্ত প্রকাশের নিঁপুন মিশ্রণই হল সাহিত্য । গায়ে কোথাও লিখে রাখার প্রয়োজন নেই অথবা প্রমান চিহ্ন করে রাখারও প্রয়োজন নেই এজন্য যে শরীর বা দেহটি আমার নিজেরই । ঘোড়া জীব হিসেবে মানুষের চেয়ে কম বিচক্ষণ হলেও সে এটা বুঝতে পারে যে অনেকগুলো সরু রাস্তার মধ্য থেকে যে রাস্তাটি অধিকতর প্রশস্ত, ঠিক তার উপর দিয়েই তাকে দৌড়াতে হবে । এই বুদ্ধিটুকু ঘোড়ার জ্ঞানে কিভাবে উদয় হল তা একটু ভাবার বিষয় হলে হতেও পারে । খাবার খেলে দেহ বা শরীর সন্তুষ্ট হয় বটে । কিন্তু কিছু দেহ আছে যা খাবার খেলে তার ক্ষুধা আরও বেড়ে যায় । পেট ভরে গেলে সে আরও বেশি বেশি খেতে চায় । সাহিত্যের আদালতে মিথ্যা, অবিচার ও অসম্ভবের কোন স্থান নেই । তফাৎ শুধু এতটুকু যে, সাধারন ও স্বাভাবিক জীবনে যা কিছু সত্য ও সার্বজনিন, সাহিত্যে জগতে এসেও তা সত্য ও সার্বজনিন; আবার অপর দিকে সাধারন ও স্বাভাবিক জীবনে যা কিছু অসত্য, অলৌকিক, অবাস্তব, হাস্যকর ও একেবারেই পাগলামো তা সাহিত্যের রাজ্যে চীর সত্য ও চীর শ্বাসত । উদাসীন ও খেয়ালী পথিক কেবলমাত্র এই সাহিত্যের বিশাল-স্বাধীন মাঠে মুক্ত ভাবে মনের খুশিতে অবাদে বিচরন করতে পারে। সে ভুল করে, ভুল থেকে শিক্ষা লাভ করে এবং আত্ম-পরিশুদ্ধ হয় ।সাহিত্যকে যদি একটি খাবারের সাথে তুলনা করা হয় তবে একে খাওয়ার পর এর স্বাদ যার কাছে যেমন মনে হয়, আসলে সাহিত্যের রুপটিও তার কাছে তেমন ।গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ব্যক্তির সামান্য অবাস্তব স্বপ্নটুকুই হল এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর মায়াজাল ।ভোর হলেই কল্পনার আঙ্গিনা থেকে বিদায় নিয়ে আবার সারা জীবনের তরে চীর নিদ্রায় পাড়ি জমাতে হবে ।ঠিক যেন ছোট শ্শিুটির মিছে মোহ আর উদ্ভট বিভ্রান্তি । সত্যের ভেতরে থাকা সেই অপরুপ লুকানো প্রতিমূর্তীটিই হল সাহিত্য । স্বর্ণকারের কষ্টি পাথরটি হল সাহিত্য । জ্যোতির্বিদের স্বচ্ছ কাঁচের আয়নাটি হল সাহিত্য; কামাড়ের ধাতুর পাত ও হাতুরি হল সাহিত্য; নিঁপুন হাতের তৈরী নঁকশী কাথাটির নকশা হল সাহিত্য; পল্লীবালার খোপায় কমলি ফুল ও কোমড়ে শাপলা ফুলের বিছা হল সাহিত্য; নদীর তীরে দুষ্টু শিশুর লেংটি পরা লম্ফ-জম্ফ হল সাহিত্য । এবং নন্দনের পরতে পরতে ছন্দের প্রলেপ মিশিয়ে দেয়া সত্যসুন্দর মুর্ছনাই হল সাহিত্য ।

Awareness for electricity

1.Use rubber sandal for any electricity purpose. 2.Get warmed and not to be wet for that case. 3.Don’t use broken and risky unusable electrical tools. 4.Always make sure of the stoppage of main switch for any repairable electricity works. 5.Try to do any electricity work in cool brain and keep a person in your workplace for security. বাংলায়: ১. বৈদ্যুতিক কাজের উদ্দেশ্যে সবসময় রাবারের জুতা ব্যবহার করুন । ২.ভেজা শরীর নিয়ে এই সকল কাজে জড়াবেন না । ৩.অকেজো ও ঝুঁকিপূর্ণ অব্যবহার্য্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবাহার করবেন না । ৪.যেকোন মেরামত করার জন্য বৈদ্যুতিক কাজে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে যে মেইন সুইচ বন্ধ আছে কিনা এবং তা নিশ্চিত করুন । ৫.যেকোন বৈদ্যুতিক কাজ ঠান্ডা ব্রেনে করার চেষ্টা করুন এবং উক্ত কর্ম ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য একজন ব্যক্তিকে পাশে রাখুন । প্রচারে——- হেমাস কর্তৃপক্ষ ।